alt

পদ্মার তীরে তাদের জীবন

: বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

পদ্মা নদীর তীরে বসবাসরত হাজারো পরিবার প্রতিদিন নদী ভাঙনের শিকার হচ্ছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তাদের জীবনযাপন, ঘরবাড়ি এবং স্বপ্নগুলো একের পর এক ধ্বংস হচ্ছে। নদীর তীরে মানুষদের জীবন সংগ্রাম শহরের উন্নত স্থাপনার বিপরীতে এক নির্মম চিত্র।

বন্যার সময় যখন পানি উপচে পড়ে তাদের ফসল তলিয়ে যায়। বহু পরিবার তাদের জীবিকা হারায়, আর সাহায্যের জন্য চোখ মেলেও কাউকে বলতে পারে না। শহরের মানুষ জনের মতো আরামদায়ক জীবনযাপন তাদের জন্য দূরবীন থেকে দেখা একটি স্বপ্ন। পদ্মার পাড়ে থাকা মানুষের জীবন যেন অন্ধকারের ভেতর দিয়ে কেটে যাচ্ছে; ঘরে বাতির জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই, সংকটের চরমে তারা।

এ অঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা নেই। তাদের জীবনযাপন নিয়ে আলোচনা করার মতো কেউ নেই, এবং সহানুভূতির অভাবে তাদের সংকটের দিকে নজর দেওয়ার সুযোগও নেই। যদিও তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে, তারা সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত।

নদী ভাঙনের ফলে এই পরিবারগুলোর জীবনে গভীর প্রভাব পড়েছে। তাদের যন্ত্রণার কাহিনী শোনার কেউ নেই; ফলে তারা স্বপ্ন দেখা থেকেও বঞ্চিত। একবার যদি কেউ তাদের পরিস্থিতি দেখার জন্য যায়, তাহলে বুঝতে পারবে, কিভাবে তাদের জীবন-যাপন চলছে।

চরাঞ্চলে মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। যখন ফসল তোলার সময় আসে, তখন পশু ও কৃষি সামগ্রী নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা বাড়ে। কিন্তু যে কোনো মুহূর্তে যদি বন্যা বা নদী ভাঙন ঘটে, তখন তাদের সব কিছু এক ঝটকায় চলে যায়। সেই মুহূর্তে তারা মাথা নিচু করে অসহায়ভাবে নিজেদের ভাগ্যের দিকে তাকায়।

নদী ভাঙন যখন তাদের বাড়ির উঠোনে এসে দাঁড়ায়, তখন দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকে না। ঘরবাড়ি, জমি, ফসলÑ সবকিছুই চলে যায়। অনেক সময় তাদেরকে চলে যেতে হয় অন্যত্র এবং নতুন জায়গায় শুরু করতে হয় আবার সবকিছু। এ কারণে পরিবারগুলোতে সামাজিক ও মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়।

সচেতনতা ও সহযোগিতা ছাড়া তাদের অবস্থা পরিবর্তন সম্ভব নয়। নদী ভাঙনের সংকট মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ অপরিহার্য। চরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা এক যুদ্ধের মতো। তাদের সংগ্রাম ও কষ্টের প্রতিচ্ছবি আমাদের সমাজের এক করুণ চিত্র। সরকারের উচিত এই মানুষের সুরক্ষা এবং উন্নয়ন নিশ্চিত করা, যাতে তারা অন্ধকারের মধ্যে না থাকে।

আব্দুল আলিম

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী

ছবি

গার্মেন্টস শ্রমিকের মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ জরুরি

নিউমার্কেটে সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি

সুন্দরবন রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন

আগুনের শিখায় ভস্মীভূত স্বপ্ন

কোথায় যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা?

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি-ট্যাক্সি চলাচল নিষিদ্ধের আহ্বান

ছবি

ভবদহে জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন

গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

পোস্তগোলা থানা গঠনের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যামেরিকান স্টাডিজ কোর্স চালুর প্রয়োজনীয়তা

ছবি

প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষক সংকট

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

tab

পদ্মার তীরে তাদের জীবন

বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

পদ্মা নদীর তীরে বসবাসরত হাজারো পরিবার প্রতিদিন নদী ভাঙনের শিকার হচ্ছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তাদের জীবনযাপন, ঘরবাড়ি এবং স্বপ্নগুলো একের পর এক ধ্বংস হচ্ছে। নদীর তীরে মানুষদের জীবন সংগ্রাম শহরের উন্নত স্থাপনার বিপরীতে এক নির্মম চিত্র।

বন্যার সময় যখন পানি উপচে পড়ে তাদের ফসল তলিয়ে যায়। বহু পরিবার তাদের জীবিকা হারায়, আর সাহায্যের জন্য চোখ মেলেও কাউকে বলতে পারে না। শহরের মানুষ জনের মতো আরামদায়ক জীবনযাপন তাদের জন্য দূরবীন থেকে দেখা একটি স্বপ্ন। পদ্মার পাড়ে থাকা মানুষের জীবন যেন অন্ধকারের ভেতর দিয়ে কেটে যাচ্ছে; ঘরে বাতির জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই, সংকটের চরমে তারা।

এ অঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা নেই। তাদের জীবনযাপন নিয়ে আলোচনা করার মতো কেউ নেই, এবং সহানুভূতির অভাবে তাদের সংকটের দিকে নজর দেওয়ার সুযোগও নেই। যদিও তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে, তারা সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত।

নদী ভাঙনের ফলে এই পরিবারগুলোর জীবনে গভীর প্রভাব পড়েছে। তাদের যন্ত্রণার কাহিনী শোনার কেউ নেই; ফলে তারা স্বপ্ন দেখা থেকেও বঞ্চিত। একবার যদি কেউ তাদের পরিস্থিতি দেখার জন্য যায়, তাহলে বুঝতে পারবে, কিভাবে তাদের জীবন-যাপন চলছে।

চরাঞ্চলে মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। যখন ফসল তোলার সময় আসে, তখন পশু ও কৃষি সামগ্রী নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা বাড়ে। কিন্তু যে কোনো মুহূর্তে যদি বন্যা বা নদী ভাঙন ঘটে, তখন তাদের সব কিছু এক ঝটকায় চলে যায়। সেই মুহূর্তে তারা মাথা নিচু করে অসহায়ভাবে নিজেদের ভাগ্যের দিকে তাকায়।

নদী ভাঙন যখন তাদের বাড়ির উঠোনে এসে দাঁড়ায়, তখন দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকে না। ঘরবাড়ি, জমি, ফসলÑ সবকিছুই চলে যায়। অনেক সময় তাদেরকে চলে যেতে হয় অন্যত্র এবং নতুন জায়গায় শুরু করতে হয় আবার সবকিছু। এ কারণে পরিবারগুলোতে সামাজিক ও মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়।

সচেতনতা ও সহযোগিতা ছাড়া তাদের অবস্থা পরিবর্তন সম্ভব নয়। নদী ভাঙনের সংকট মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ অপরিহার্য। চরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা এক যুদ্ধের মতো। তাদের সংগ্রাম ও কষ্টের প্রতিচ্ছবি আমাদের সমাজের এক করুণ চিত্র। সরকারের উচিত এই মানুষের সুরক্ষা এবং উন্নয়ন নিশ্চিত করা, যাতে তারা অন্ধকারের মধ্যে না থাকে।

আব্দুল আলিম

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী

back to top