alt

পাঠকের চিঠি

টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষা করুন

: বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

দেশের অনন্য সম্পদ টাঙ্গুয়ার হাওর মৎস্য ও জীবন বৈচিত্র্যের আধার। এই হাওরকে বলা হয় মাদার ফিশারিজ। কিন্তু বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ এই হাওর তিলে তিলে নিঃশেষ হতে চলেছে। ইদানীং পর্যটনের নামে দিন-রাত হাওরজুড়ে অসংখ্য বড় নৌকা বিলাস বহুল হাউজবোট চলাচল করছে। এতে নতুন করে ঝুঁকির মুখে পড়েছে হাওরের পরিবেশ ও প্রতিবেশ। কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই হাউজবোটগুলো প্রতিদিন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা হাওর। এতে ধ্বংস হচ্ছে মাছের অনন্য এই অভয়াশ্রম। মাছের প্রজননের সময় হাওরে ইঞ্জিন নৌকার শব্দে মাছের প্রজনন বাধাগ্রস্ত হয়। এতে মাছের বংশ বৃদ্ধি হয় না। এতে কৃষি ও মৎস্য সম্পদের পাশাপাশি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে উদ্ভিদের ওপরও। সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলার ছয়কুড়ি বিল, নয়কুড়ি কান্দার টাঙ্গুয়ার হাওর ৩৪ হাজার ৫৮০ একরের বেশি আয়তনের। টাঙ্গুয়ায় হেমন্তে ২৪ হাজার ২৫ একর জমিতে পানি থাকে। বিশাল আয়তনের টাঙ্গুয়ার ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি রামসার সাইট ঘোষণা করা হলে এর সঠিক পরিচর্যা নেই।

বিশিষ্টজনেরা বলেছেন টাঙ্গুয়ার হাওর প্রকৃতি-পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং মাছের উৎপাদন বাড়াতে কমিউনিটিভিত্তিক ব্যবস্থাপনা ব্যর্থ।এটি বাতিল করে হাওরের সম্পদ রক্ষায় প্রয়োজনে ইজারা প্রথায় যেতে হবে। ইদানীং টাঙ্গুয়ার পর্যটন ব্যবসাকে ঘিরে এলাকায় কিছুটা কর্মসংস্থান হলে ও হারাতে বসেছে হাওরটি। বিশেষ করে ইঞ্জিন নৌকা ও হাউজবোটের অবাধ চলাচল এবং পর্যটকদের নানা কর্মকা-ে টাঙ্গুয়ার এখন মরতে বসেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ইঞ্জিন নৌকা ও হাউজবোটে করে উচ্চশব্দের সাউ- বক্স বাজিয়ে চলেন হাওরে। ব্যবহৃত পানির বোতল, প্লাস্টিক পণ্য আর মলমূত্র পানিতে ফেলায় নৌকার কালো ধোঁয়া ও কেরোসিন মবিল হাওরের বদ্ধ পানি দূষিত করছে।

ওয়াচ টাওয়ার এলাকায় নৌকাগুলো করচ গাছে বেঁধে রাখার কারণ শতাধিক হিজল-করচ গাছের ডালপালা ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ১৯৯৯ সালে সরকার এই এলাকাকে বিপন্ন প্রতিবেশ এলাকা এবং ২০২০ সালে ইউনেসকো রামসার এলাকা হিসাবে ঘোষণা করে।হাওরটি বিরল প্রজাতির মাছে ও অতিথি পাখীর স্বর্গরাজ্য ছিল। কিন্তু এর অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে।২৬ প্রজাতির প্রানির আবাসস্থল হাওরটির পরিচর্যা ও তদারকির অভাবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

আব্বাসউদ্দিন আহমদ

ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়

সিলেট

হাসপাতালে ‘ফার্মাসিস্ট’ নিয়োগের মধ্য দিয়েই শুরু হউক স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার

শব্দ দূষণ বন্ধ করুন

ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন দরকার

উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি

রাস্তা সংস্কার হোক

পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদের বদলি নীতিমালা

ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার চাই

ছবি

কাবাডি কেন পিছিয়ে?

ছবি

হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন

প্রাণ যাচ্ছে নদীর

ছবি

পোলট্রি শিল্পের দুর্দশা

সম্ভাবনাময় সবুজ প্রযুক্তি

পদ্মার তীরে তাদের জীবন

ভোগান্তির নাম আশুগঞ্জ-আখাউড়া সড়ক

ডিজিটাল ট্রাইবালিজম বন্ধ করা জরুরি

প্রসঙ্গ : পরিবহন ভাড়া

বেকারত্বের প্রতিকার কী

দুর্নীতির মূলোৎপাটন করুন

অতীতে যা ফেলে আসবেন, ভবিষ্যৎ তা ফিরিয়ে দেবে

ছবি

জাতীয় পরিচয়পত্র চাই

ছবি

শিক্ষা সামগ্রীর দাম কমানো হোক

ছবি

বাল্যবিয়ে : সামাজিক অভিশাপ

ছবি

মূল্যস্ফীতির বলির পাঁঠা, নিম্নআয়ের মানুষ

মানুষ ফুল হয়ে ফুটবে!

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান

উত্তর-মধ্যাঞ্চলে বন্যায় ত্রাণ সহয়তা প্রসঙ্গে

সিলেটকে বন্যামুক্ত রাখতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করুন

ছবি

পলিথিন : পরিবেশের জন্য অশনি সংকেত

তাপপ্রবাহ : পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া

ছবি

সবজির অস্বাভাবিক দাম

পেকুয়ায় চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

ছবি

শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্য

উত্তরাঞ্চলে বন্যা

রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী কেন?

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট

ছবি

শব্দদূষণ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

পাঠকের চিঠি

টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষা করুন

বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

দেশের অনন্য সম্পদ টাঙ্গুয়ার হাওর মৎস্য ও জীবন বৈচিত্র্যের আধার। এই হাওরকে বলা হয় মাদার ফিশারিজ। কিন্তু বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ এই হাওর তিলে তিলে নিঃশেষ হতে চলেছে। ইদানীং পর্যটনের নামে দিন-রাত হাওরজুড়ে অসংখ্য বড় নৌকা বিলাস বহুল হাউজবোট চলাচল করছে। এতে নতুন করে ঝুঁকির মুখে পড়েছে হাওরের পরিবেশ ও প্রতিবেশ। কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই হাউজবোটগুলো প্রতিদিন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা হাওর। এতে ধ্বংস হচ্ছে মাছের অনন্য এই অভয়াশ্রম। মাছের প্রজননের সময় হাওরে ইঞ্জিন নৌকার শব্দে মাছের প্রজনন বাধাগ্রস্ত হয়। এতে মাছের বংশ বৃদ্ধি হয় না। এতে কৃষি ও মৎস্য সম্পদের পাশাপাশি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে উদ্ভিদের ওপরও। সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলার ছয়কুড়ি বিল, নয়কুড়ি কান্দার টাঙ্গুয়ার হাওর ৩৪ হাজার ৫৮০ একরের বেশি আয়তনের। টাঙ্গুয়ায় হেমন্তে ২৪ হাজার ২৫ একর জমিতে পানি থাকে। বিশাল আয়তনের টাঙ্গুয়ার ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি রামসার সাইট ঘোষণা করা হলে এর সঠিক পরিচর্যা নেই।

বিশিষ্টজনেরা বলেছেন টাঙ্গুয়ার হাওর প্রকৃতি-পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং মাছের উৎপাদন বাড়াতে কমিউনিটিভিত্তিক ব্যবস্থাপনা ব্যর্থ।এটি বাতিল করে হাওরের সম্পদ রক্ষায় প্রয়োজনে ইজারা প্রথায় যেতে হবে। ইদানীং টাঙ্গুয়ার পর্যটন ব্যবসাকে ঘিরে এলাকায় কিছুটা কর্মসংস্থান হলে ও হারাতে বসেছে হাওরটি। বিশেষ করে ইঞ্জিন নৌকা ও হাউজবোটের অবাধ চলাচল এবং পর্যটকদের নানা কর্মকা-ে টাঙ্গুয়ার এখন মরতে বসেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ইঞ্জিন নৌকা ও হাউজবোটে করে উচ্চশব্দের সাউ- বক্স বাজিয়ে চলেন হাওরে। ব্যবহৃত পানির বোতল, প্লাস্টিক পণ্য আর মলমূত্র পানিতে ফেলায় নৌকার কালো ধোঁয়া ও কেরোসিন মবিল হাওরের বদ্ধ পানি দূষিত করছে।

ওয়াচ টাওয়ার এলাকায় নৌকাগুলো করচ গাছে বেঁধে রাখার কারণ শতাধিক হিজল-করচ গাছের ডালপালা ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ১৯৯৯ সালে সরকার এই এলাকাকে বিপন্ন প্রতিবেশ এলাকা এবং ২০২০ সালে ইউনেসকো রামসার এলাকা হিসাবে ঘোষণা করে।হাওরটি বিরল প্রজাতির মাছে ও অতিথি পাখীর স্বর্গরাজ্য ছিল। কিন্তু এর অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে।২৬ প্রজাতির প্রানির আবাসস্থল হাওরটির পরিচর্যা ও তদারকির অভাবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

আব্বাসউদ্দিন আহমদ

ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়

সিলেট

back to top