বাংলাদেশে একটি আইন আছে, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮। এই আইনের ৮৮ ধারা অনুযায়ী, নির্ধারিত শব্দ মাত্রার অতিরিক্ত উচ্চ মাত্রার কোনরূপ শব্দ সৃষ্টি বা হর্ন বাজানো বা কোনো যন্ত্র, যন্ত্রাংশ বা হর্ন মোটরযানে স্থাপন করলে অনধিক ৩ মাসের কারাদ- বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-িত হইবেন। প্রথমবার আইন ভঙ্গ করলে ৫০০ টাকা জরিমানা এবং দ্বিতীয়বার আইন ভঙ্গ করলে আরও বেশি জরিমানা করা হবে।
অথচ অহরহ এই আইন ভঙ্গ করলেও এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ সড়কে বা নগরে আমরা কখনো দেখতে পাই না। বিশেষ করে বাস টার্মিনাল গুলোতে হর্নের উচ্চ শব্দে অপ্রীতিকর অবস্থায় পড়তে হয়। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে সব সময় বাস-মিনিবাস, ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ সব যানবাহনের হর্ন বাজানো হয়। অযথা হর্ন বাজানোর ফলে শব্দ দূষণ হয়। এই শব্দ দূষণের কারণে শুধু শ্রবণশক্তিই নয়, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাধরা, গ্যাস্ট্রিক আলসার, ফুসফুসের প্রদাহসহ নানা রকমের মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, যানবাহনের শব্দ দূষণ স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ায়। এমনকি মানুষের মৃত্যু ও হতে পারে।
মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দূষণ নগর বাসিন্দাদের মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়। যানবাহনের অতিরিক্ত হর্ন শিশুদের শেখার আগ্রহ কমিয়ে দেয়। উচ্চশব্দ দূষণের কারণে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা ইতিমধ্যেই হর্ন বাজানো নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। পরবর্তী প্রজন্ম যেন শব্দ দূষণ ছাড়া বেড়ে উঠতে পারে, সে জন্য হর্নের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। অযথা হর্ন বাজানো বন্ধে সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি নাগরিকদের মানসিকতাও পরিবর্তন করতে হবে।
জান্নাতুল ফেরদৌস মিতু
কামারখালী, মধুখালী, ফরিদপুর
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশে একটি আইন আছে, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮। এই আইনের ৮৮ ধারা অনুযায়ী, নির্ধারিত শব্দ মাত্রার অতিরিক্ত উচ্চ মাত্রার কোনরূপ শব্দ সৃষ্টি বা হর্ন বাজানো বা কোনো যন্ত্র, যন্ত্রাংশ বা হর্ন মোটরযানে স্থাপন করলে অনধিক ৩ মাসের কারাদ- বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-িত হইবেন। প্রথমবার আইন ভঙ্গ করলে ৫০০ টাকা জরিমানা এবং দ্বিতীয়বার আইন ভঙ্গ করলে আরও বেশি জরিমানা করা হবে।
অথচ অহরহ এই আইন ভঙ্গ করলেও এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ সড়কে বা নগরে আমরা কখনো দেখতে পাই না। বিশেষ করে বাস টার্মিনাল গুলোতে হর্নের উচ্চ শব্দে অপ্রীতিকর অবস্থায় পড়তে হয়। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে সব সময় বাস-মিনিবাস, ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ সব যানবাহনের হর্ন বাজানো হয়। অযথা হর্ন বাজানোর ফলে শব্দ দূষণ হয়। এই শব্দ দূষণের কারণে শুধু শ্রবণশক্তিই নয়, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাধরা, গ্যাস্ট্রিক আলসার, ফুসফুসের প্রদাহসহ নানা রকমের মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, যানবাহনের শব্দ দূষণ স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ায়। এমনকি মানুষের মৃত্যু ও হতে পারে।
মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দূষণ নগর বাসিন্দাদের মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়। যানবাহনের অতিরিক্ত হর্ন শিশুদের শেখার আগ্রহ কমিয়ে দেয়। উচ্চশব্দ দূষণের কারণে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা ইতিমধ্যেই হর্ন বাজানো নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। পরবর্তী প্রজন্ম যেন শব্দ দূষণ ছাড়া বেড়ে উঠতে পারে, সে জন্য হর্নের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। অযথা হর্ন বাজানো বন্ধে সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি নাগরিকদের মানসিকতাও পরিবর্তন করতে হবে।
জান্নাতুল ফেরদৌস মিতু
কামারখালী, মধুখালী, ফরিদপুর