alt

পাঠকের চিঠি

সড়ক দুর্ঘটনা

: বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

আমরা প্রায়শই সড়কে সাইনবোর্ডে লেখা দেখতে পাই, সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি, গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন, একটা দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। কিন্তু কজনই বা এসব নীতিবাক্য মেনে চলি। নীতিবাক্যগুলোর স্থান শুধু বইয়ের পাতায় ও সাইনবোর্ডেই মানায়। কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ খুব কমই দেখা যায়। প্রতিদিন সড়কে ঝরছে প্রাণ, পত্রিকার পাতা কিংবা টিভির পর্দায় শিরোনামে দেখতে পাই অহরহ সড়ক দুর্ঘটনা।

ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং লাইসেন্সবিহীন চালক সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এছাড়াও, যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত গাড়ি, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, গাড়ি ওভারটেকিং, মাদকাসক্ত চালক, বেপরোয়া বা অনিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালনা, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১১ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। কল্পনা করলেও যেন শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বয়ে যায়। সড়ক দুর্ঘটনার ফলে আমাদের দেশ হয়তো একজন মানুষকেই হারায় কিন্তু, একটি পরিবার হারায় তাদের পৃথিবী বা একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি কিংবা ঘটে যায় পরিবারের হাজারো স্বপ্নের বলি।

২০১৮ এর নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অনুমোদিত আইনে বলা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যায় মৃত্যুদ- এবং বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে কারও মৃত্যু ঘটালে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদ-। কিন্তু, আইনের প্রয়োগ বাস্তবে রূপ না নিলেও সড়কে নিহতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হলেও সড়ক দুর্ঘটনার লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমাদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে। সড়ক-মহাসড়কগুলোকে ডিজিটাল নজরদারির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। লাইসেন্স বিহীন চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সরকার, চালক, মালিক, শ্রমিক ও যাত্রী সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।

জান্নাতুল ফেরদৌস মিতু

শিক্ষার্থী, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ , ফরিদপুর

মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নাগরিক সেবা উন্নয়নে পদক্ষেপ নিন

ছবি

খেজুরের রস

ট্যাগিং সংস্কৃতির অবসান ঘটুক

আবাসন সংকট দূর করুন

আখাউড়া-আগরতলা ট্রেন চালু হবে কি ?

উচ্চশিক্ষা ও বেকারত্ব

ছবি

অবৈধ ইটভাটা : দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক

সংঘাত বন্ধ হোক

ছবি

কবে থামবে নদী দখল?

ছবি

কেমন আছে জাতীয় পাখি দোয়েল?

অতিথি পাখি শিকার নয়

নীরব ভূমিকায় কলেজ প্রশাসন

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা কোথায়

ব্রহ্মপুত্রের পাড় হারাচ্ছে সৌন্দর্য

ছবি

সবজির দাম, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, কৃষকের বঞ্চনা

ছবি

ছাদ বাগান

শিশুশ্রম ও শিশু নির্যাতন

ছবি

মেট্রোরেলের টিকেট ভোগান্তি

শব্দদূষণ রোধে উদ্যোগ নিন

শীতের আতঙ্ক নিপাহ ভাইরাস

ফ্লাইওভারে মিলছে না কাক্সিক্ষত সেবা

শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই

ছবি

ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিকাশ : আর্থিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি

পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন

সমাজ পরিবর্তন করে চিন্তার পরিবর্তন, নাকি চিন্তাধারার পরিবর্তন করে সমাজ পরিবর্তন?

বিদ্যালয়ের সংস্কার প্রয়োজন

ছবি

অতিথি পাখি শিকার বন্ধ হোক

আন্দোলন, ন্যায্যতার দাবি ও জনদুর্ভোগ

কক্সবাজারগামী ট্রেনের লাকসাম জংশনে যাত্রাবিরতি চাই

ছবি

যত্রতত্র বাস থামানো বন্ধ করুন

ছবি

বৈদ্যুতিক খুঁটি যেন মাকড়সার জাল

ছবি

কপ-২৯ সম্মেলন ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

ছবি

পরীক্ষাগুলো বিভাগীয় শহরে নেয়া হোক

খাল ও জলাশয়ের বদ্ধ পানি এডিস মশার উৎস

রাস্তা সংস্কার করুন

কৃষককে ন্যায্য মূল্য দিন

tab

পাঠকের চিঠি

সড়ক দুর্ঘটনা

বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

আমরা প্রায়শই সড়কে সাইনবোর্ডে লেখা দেখতে পাই, সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি, গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন, একটা দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। কিন্তু কজনই বা এসব নীতিবাক্য মেনে চলি। নীতিবাক্যগুলোর স্থান শুধু বইয়ের পাতায় ও সাইনবোর্ডেই মানায়। কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ খুব কমই দেখা যায়। প্রতিদিন সড়কে ঝরছে প্রাণ, পত্রিকার পাতা কিংবা টিভির পর্দায় শিরোনামে দেখতে পাই অহরহ সড়ক দুর্ঘটনা।

ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং লাইসেন্সবিহীন চালক সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এছাড়াও, যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত গাড়ি, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, গাড়ি ওভারটেকিং, মাদকাসক্ত চালক, বেপরোয়া বা অনিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালনা, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১১ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। কল্পনা করলেও যেন শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বয়ে যায়। সড়ক দুর্ঘটনার ফলে আমাদের দেশ হয়তো একজন মানুষকেই হারায় কিন্তু, একটি পরিবার হারায় তাদের পৃথিবী বা একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি কিংবা ঘটে যায় পরিবারের হাজারো স্বপ্নের বলি।

২০১৮ এর নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অনুমোদিত আইনে বলা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যায় মৃত্যুদ- এবং বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে কারও মৃত্যু ঘটালে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদ-। কিন্তু, আইনের প্রয়োগ বাস্তবে রূপ না নিলেও সড়কে নিহতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হলেও সড়ক দুর্ঘটনার লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমাদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে। সড়ক-মহাসড়কগুলোকে ডিজিটাল নজরদারির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। লাইসেন্স বিহীন চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সরকার, চালক, মালিক, শ্রমিক ও যাত্রী সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।

জান্নাতুল ফেরদৌস মিতু

শিক্ষার্থী, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ , ফরিদপুর

back to top