আমরা প্রায়শই সড়কে সাইনবোর্ডে লেখা দেখতে পাই, সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি, গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন, একটা দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। কিন্তু কজনই বা এসব নীতিবাক্য মেনে চলি। নীতিবাক্যগুলোর স্থান শুধু বইয়ের পাতায় ও সাইনবোর্ডেই মানায়। কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ খুব কমই দেখা যায়। প্রতিদিন সড়কে ঝরছে প্রাণ, পত্রিকার পাতা কিংবা টিভির পর্দায় শিরোনামে দেখতে পাই অহরহ সড়ক দুর্ঘটনা।
ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং লাইসেন্সবিহীন চালক সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এছাড়াও, যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত গাড়ি, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, গাড়ি ওভারটেকিং, মাদকাসক্ত চালক, বেপরোয়া বা অনিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালনা, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১১ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। কল্পনা করলেও যেন শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বয়ে যায়। সড়ক দুর্ঘটনার ফলে আমাদের দেশ হয়তো একজন মানুষকেই হারায় কিন্তু, একটি পরিবার হারায় তাদের পৃথিবী বা একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি কিংবা ঘটে যায় পরিবারের হাজারো স্বপ্নের বলি।
২০১৮ এর নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অনুমোদিত আইনে বলা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যায় মৃত্যুদ- এবং বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে কারও মৃত্যু ঘটালে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদ-। কিন্তু, আইনের প্রয়োগ বাস্তবে রূপ না নিলেও সড়কে নিহতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হলেও সড়ক দুর্ঘটনার লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমাদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে। সড়ক-মহাসড়কগুলোকে ডিজিটাল নজরদারির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। লাইসেন্স বিহীন চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সরকার, চালক, মালিক, শ্রমিক ও যাত্রী সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।
জান্নাতুল ফেরদৌস মিতু
শিক্ষার্থী, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ , ফরিদপুর
বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
আমরা প্রায়শই সড়কে সাইনবোর্ডে লেখা দেখতে পাই, সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি, গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন, একটা দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। কিন্তু কজনই বা এসব নীতিবাক্য মেনে চলি। নীতিবাক্যগুলোর স্থান শুধু বইয়ের পাতায় ও সাইনবোর্ডেই মানায়। কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ খুব কমই দেখা যায়। প্রতিদিন সড়কে ঝরছে প্রাণ, পত্রিকার পাতা কিংবা টিভির পর্দায় শিরোনামে দেখতে পাই অহরহ সড়ক দুর্ঘটনা।
ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং লাইসেন্সবিহীন চালক সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এছাড়াও, যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত গাড়ি, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, গাড়ি ওভারটেকিং, মাদকাসক্ত চালক, বেপরোয়া বা অনিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালনা, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১১ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। কল্পনা করলেও যেন শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বয়ে যায়। সড়ক দুর্ঘটনার ফলে আমাদের দেশ হয়তো একজন মানুষকেই হারায় কিন্তু, একটি পরিবার হারায় তাদের পৃথিবী বা একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি কিংবা ঘটে যায় পরিবারের হাজারো স্বপ্নের বলি।
২০১৮ এর নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অনুমোদিত আইনে বলা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যায় মৃত্যুদ- এবং বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে কারও মৃত্যু ঘটালে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদ-। কিন্তু, আইনের প্রয়োগ বাস্তবে রূপ না নিলেও সড়কে নিহতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হলেও সড়ক দুর্ঘটনার লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমাদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে। সড়ক-মহাসড়কগুলোকে ডিজিটাল নজরদারির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। লাইসেন্স বিহীন চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সরকার, চালক, মালিক, শ্রমিক ও যাত্রী সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।
জান্নাতুল ফেরদৌস মিতু
শিক্ষার্থী, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ , ফরিদপুর