alt

সংঘাত বন্ধ হোক

: বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সংঘাত এক রক্তক্ষয়ী খেলা। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মাঝে তর্ক, ক্ষমতার লড়াই, গুজব, কোনো পক্ষের ইন্ধন, উস্কানি একপর্যায়ে মারাত্মক সংঘাতে রূপ নিচ্ছে। স্কুল, কলেজের উঠতি বয়সের তরুণদের কাছে সংঘাত এক সাধারণ বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জ্ঞান অর্জনের পরিবর্তে পরস্পরকে হেয় করার মানসিকতা, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, ক্ষোভ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক সংঘাতে জড়াচ্ছে। পাশাপাশি প্রশাসনের গাফিলতি সংঘাতের অন্যতম কারণ।

সম্প্রতি মোল্লা কলেজের (ডিআরএমসি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে ভুল চিকিৎসার অভিযোগে গত রোববার ন্যাশনাল হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর, লুট চালায় ঢাকায় বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিশোধে পরের দিন মোল্লা কলেজে ভাঙচুর, সংঘর্ষ জড়ায় তিন কলেজের শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষ আহত হয় শতাধিক এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। যেকোনো ধরনের সংঘাত কখনোই কাম্য নয়। সংঘাতের ফলে শিক্ষার্থীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয় সঙ্গে জনগণের মনে আতঙ্ক, তীব্র যানজট ও চূড়ান্ত পর্যায়ে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।

শিক্ষার্থীদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কলেজ প্রশাসনকে অবশ্যই কঠোর হতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জ্ঞানার্জন, দেশপ্রেমিক, সুবিবেচক হতে শেখায়। সেখান থেকে যেন হানাহানি, সংঘর্ষ, ধ্বংসের শিক্ষা না দেওয়া হয়। আর শিক্ষার্থীদের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মতো কঠিন, নিকৃষ্ট জিনিসকে সহজ বানানোর মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি কোনো স্বার্থান্বেষী মহল এসব ঠুনকো বিষয়কে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে সবসময় তৎপর ও কঠোর হতে হবে। আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীদিনের কর্তধার। তাই সুখী, সমৃদ্ধ, সুশৃঙ্খল দেশ গড়তে দেশপ্রেমিক, মানবীয় গুণসম্পন্ন নাগরিকের বড় প্রয়োজন।

তাওহীদ ইসলাম সজীব

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।

পারিবারিক বন্ধনের ভাঙন

উপকূলে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার

নারী শ্রমিকের সুরক্ষা

বৃষ্টিতে অদৃশ্য ড্রেনের প্রাণঘাতী ফাঁদ

শিক্ষার্থীদের হাফভাড়া ন্যায্যতার দাবি

ফেনীর দেওয়ানগঞ্জে ময়লার পাহাড়

তাদের গল্প থেমে গেছে, কারণ আমরা আর শুনি না

দুবলার চরের রাসমেলা হতে পারে পর্যটকদের জন্য এক বিস্ময়ভ্রমণ

ছবি

খাদ্য অপচয় রোধে সচেতনতা এখন জরুরি

ছবি

জিপিএ ৫: পরিশ্রমের প্রতিবিম্ব, তবে ভবিষ্যৎ গড়ার মানদণ্ড নয়

ছবি

কোথায় হারালো বাবুই পাখি ও তাদের বাসা

ছবি

সাইবার বুলিয়িং-এর বাস্তবতা

প্রাণীর প্রতি সহমর্মিতা

র‌্যাগিং: শিক্ষাঙ্গনের ছায়ায় বেড়ে ওঠা এক অমানবিকতার সংস্কৃতি

বর্জ্য অব্যবস্থাপনায় হুমকির মুখে নগরের ভবিষ্যত

ঢাকায় তাল-নারকেল-সুপারির সবুজ সম্ভাবনা

শকুন বাঁচানো মানে ভবিষ্যৎ বাঁচানো

ছবি

এআই যুগে নিরাপত্তার সংকট : প্রযুক্তির অন্ধকার দিক

রাজধানীর নগর জীবন : ঝুঁকি, দূষণ ও মানুষের নিরাপত্তা

সরকারি স্বাস্থ্যসেবা : গ্রামীণ রোগীর পাশে আছে কি?

ছবি

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : সাধারণ মানুষের নৈরাশ্যের কারণ

জিপিএ-৫ এবং শিক্ষার প্রকৃত মান

প্রবাসী শ্রমিকদের মর্যাদা ফিরিয়ে আনা জরুরি

ছবি

এইচএসসি ফল : শিক্ষার বাস্তব চিত্র

ছবি

গার্মেন্টস শ্রমিকের মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ জরুরি

নিউমার্কেটে সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি

সুন্দরবন রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন

আগুনের শিখায় ভস্মীভূত স্বপ্ন

কোথায় যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা?

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি-ট্যাক্সি চলাচল নিষিদ্ধের আহ্বান

ছবি

ভবদহে জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন

গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

পোস্তগোলা থানা গঠনের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যামেরিকান স্টাডিজ কোর্স চালুর প্রয়োজনীয়তা

ছবি

প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষক সংকট

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

tab

সংঘাত বন্ধ হোক

বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সংঘাত এক রক্তক্ষয়ী খেলা। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মাঝে তর্ক, ক্ষমতার লড়াই, গুজব, কোনো পক্ষের ইন্ধন, উস্কানি একপর্যায়ে মারাত্মক সংঘাতে রূপ নিচ্ছে। স্কুল, কলেজের উঠতি বয়সের তরুণদের কাছে সংঘাত এক সাধারণ বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জ্ঞান অর্জনের পরিবর্তে পরস্পরকে হেয় করার মানসিকতা, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, ক্ষোভ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক সংঘাতে জড়াচ্ছে। পাশাপাশি প্রশাসনের গাফিলতি সংঘাতের অন্যতম কারণ।

সম্প্রতি মোল্লা কলেজের (ডিআরএমসি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে ভুল চিকিৎসার অভিযোগে গত রোববার ন্যাশনাল হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর, লুট চালায় ঢাকায় বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিশোধে পরের দিন মোল্লা কলেজে ভাঙচুর, সংঘর্ষ জড়ায় তিন কলেজের শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষ আহত হয় শতাধিক এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। যেকোনো ধরনের সংঘাত কখনোই কাম্য নয়। সংঘাতের ফলে শিক্ষার্থীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয় সঙ্গে জনগণের মনে আতঙ্ক, তীব্র যানজট ও চূড়ান্ত পর্যায়ে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।

শিক্ষার্থীদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কলেজ প্রশাসনকে অবশ্যই কঠোর হতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জ্ঞানার্জন, দেশপ্রেমিক, সুবিবেচক হতে শেখায়। সেখান থেকে যেন হানাহানি, সংঘর্ষ, ধ্বংসের শিক্ষা না দেওয়া হয়। আর শিক্ষার্থীদের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মতো কঠিন, নিকৃষ্ট জিনিসকে সহজ বানানোর মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি কোনো স্বার্থান্বেষী মহল এসব ঠুনকো বিষয়কে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে সবসময় তৎপর ও কঠোর হতে হবে। আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীদিনের কর্তধার। তাই সুখী, সমৃদ্ধ, সুশৃঙ্খল দেশ গড়তে দেশপ্রেমিক, মানবীয় গুণসম্পন্ন নাগরিকের বড় প্রয়োজন।

তাওহীদ ইসলাম সজীব

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।

back to top