সংঘাত এক রক্তক্ষয়ী খেলা। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মাঝে তর্ক, ক্ষমতার লড়াই, গুজব, কোনো পক্ষের ইন্ধন, উস্কানি একপর্যায়ে মারাত্মক সংঘাতে রূপ নিচ্ছে। স্কুল, কলেজের উঠতি বয়সের তরুণদের কাছে সংঘাত এক সাধারণ বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জ্ঞান অর্জনের পরিবর্তে পরস্পরকে হেয় করার মানসিকতা, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, ক্ষোভ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক সংঘাতে জড়াচ্ছে। পাশাপাশি প্রশাসনের গাফিলতি সংঘাতের অন্যতম কারণ।
সম্প্রতি মোল্লা কলেজের (ডিআরএমসি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে ভুল চিকিৎসার অভিযোগে গত রোববার ন্যাশনাল হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর, লুট চালায় ঢাকায় বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিশোধে পরের দিন মোল্লা কলেজে ভাঙচুর, সংঘর্ষ জড়ায় তিন কলেজের শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষ আহত হয় শতাধিক এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। যেকোনো ধরনের সংঘাত কখনোই কাম্য নয়। সংঘাতের ফলে শিক্ষার্থীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয় সঙ্গে জনগণের মনে আতঙ্ক, তীব্র যানজট ও চূড়ান্ত পর্যায়ে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কলেজ প্রশাসনকে অবশ্যই কঠোর হতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জ্ঞানার্জন, দেশপ্রেমিক, সুবিবেচক হতে শেখায়। সেখান থেকে যেন হানাহানি, সংঘর্ষ, ধ্বংসের শিক্ষা না দেওয়া হয়। আর শিক্ষার্থীদের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মতো কঠিন, নিকৃষ্ট জিনিসকে সহজ বানানোর মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি কোনো স্বার্থান্বেষী মহল এসব ঠুনকো বিষয়কে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে সবসময় তৎপর ও কঠোর হতে হবে। আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীদিনের কর্তধার। তাই সুখী, সমৃদ্ধ, সুশৃঙ্খল দেশ গড়তে দেশপ্রেমিক, মানবীয় গুণসম্পন্ন নাগরিকের বড় প্রয়োজন।
তাওহীদ ইসলাম সজীব
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।
বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
সংঘাত এক রক্তক্ষয়ী খেলা। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মাঝে তর্ক, ক্ষমতার লড়াই, গুজব, কোনো পক্ষের ইন্ধন, উস্কানি একপর্যায়ে মারাত্মক সংঘাতে রূপ নিচ্ছে। স্কুল, কলেজের উঠতি বয়সের তরুণদের কাছে সংঘাত এক সাধারণ বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জ্ঞান অর্জনের পরিবর্তে পরস্পরকে হেয় করার মানসিকতা, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, ক্ষোভ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক সংঘাতে জড়াচ্ছে। পাশাপাশি প্রশাসনের গাফিলতি সংঘাতের অন্যতম কারণ।
সম্প্রতি মোল্লা কলেজের (ডিআরএমসি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে ভুল চিকিৎসার অভিযোগে গত রোববার ন্যাশনাল হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর, লুট চালায় ঢাকায় বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিশোধে পরের দিন মোল্লা কলেজে ভাঙচুর, সংঘর্ষ জড়ায় তিন কলেজের শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষ আহত হয় শতাধিক এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। যেকোনো ধরনের সংঘাত কখনোই কাম্য নয়। সংঘাতের ফলে শিক্ষার্থীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয় সঙ্গে জনগণের মনে আতঙ্ক, তীব্র যানজট ও চূড়ান্ত পর্যায়ে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কলেজ প্রশাসনকে অবশ্যই কঠোর হতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জ্ঞানার্জন, দেশপ্রেমিক, সুবিবেচক হতে শেখায়। সেখান থেকে যেন হানাহানি, সংঘর্ষ, ধ্বংসের শিক্ষা না দেওয়া হয়। আর শিক্ষার্থীদের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মতো কঠিন, নিকৃষ্ট জিনিসকে সহজ বানানোর মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি কোনো স্বার্থান্বেষী মহল এসব ঠুনকো বিষয়কে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে সবসময় তৎপর ও কঠোর হতে হবে। আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীদিনের কর্তধার। তাই সুখী, সমৃদ্ধ, সুশৃঙ্খল দেশ গড়তে দেশপ্রেমিক, মানবীয় গুণসম্পন্ন নাগরিকের বড় প্রয়োজন।
তাওহীদ ইসলাম সজীব
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।