alt

আবাসন সংকট দূর করুন

: বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। প্রায় ১৯ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। আবাসিক সুবিধা নেই জেনেও সবার পছন্দ বিশ্ববিদ্যালয়টি। এখানে মেয়েদের জন্য রয়েছে একটি মাত্র হল। ছেলেদের জন্য হল থাকা সত্ত্বেও তা রয়েছে দখলদারিত্বে। মেয়েদের একটি হল ছাড়া, হলের সুবিধা কখনোই ভোগ করতে পারেনি বাকি জবিয়ান শিক্ষার্থীরা। সেই একটি হলেও রয়েছে গ্যাস সংকট, চুলার সংকটে দীর্ঘ অপেক্ষার মত যন্ত্রণা, নিম্ন মানের খাবার সরবরাহের মত সমস্যা, যার কোনটিই সমাধান হচ্ছে না। ক্যাম্পাস জীবনের শুরু থেকেই জবিয়ানরা শুরু করে টিকে থাকার লড়াই। এখানে ধনীর দুলালের যেমন খরচ, গরিব প্রজার সন্তানের ও তাই।

পুরান ঢাকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মেসের অতিরিক্ত ভাড়া ও অন্যান্য খরচ বহন করার জন্য স্বল্প বেতনের টিউশনে, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টায় জবিয়ানরা কাটিয়ে দিচ্ছে তাদের জীবনের মূল্যবান সময়। এত পরিশ্রম করে দিনশেষে ঠিকঠাক পড়াশোনা করাই দায়। বাড়িতে থাকার সামান্য সুখের জন্য কুমিল্লা, মানিকগঞ্জ ও নরসিংদীর মতো দীর্ঘ রুটে কেউকেউ নিয়মিত যাতায়াত করে ক্যাম্পাসে আসে। এত স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও হতাশার চাদরে পেঁচিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়ে অন্যত্র চলে গিয়ে, নিজের অনাবাসিক তকমা দূর করে। বিশেষ করে আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা প্রায় বন্ধের পথে। জবিয়ান শিক্ষার্থীরা চাই দ্রুত যেন হলগুলো উদ্ধার করা হয় পাশাপাশি কেরানীগঞ্জে নতুন ক্যাম্পাসে, অস্থায়ী আবাসনের মাধ্যমে এই সমস্যার যেন সমাধান হয়। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের তালিকা করে অন্তত একটি সন্তোষজনক ভাতার ব্যবস্থাও যেন করা হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

নুসরাত জাহান অর্পিতা

শিক্ষার্থী

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

ছবি

গার্মেন্টস শ্রমিকের মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ জরুরি

নিউমার্কেটে সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি

সুন্দরবন রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন

আগুনের শিখায় ভস্মীভূত স্বপ্ন

কোথায় যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা?

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি-ট্যাক্সি চলাচল নিষিদ্ধের আহ্বান

ছবি

ভবদহে জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন

গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

পোস্তগোলা থানা গঠনের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যামেরিকান স্টাডিজ কোর্স চালুর প্রয়োজনীয়তা

ছবি

প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষক সংকট

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

tab

আবাসন সংকট দূর করুন

বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। প্রায় ১৯ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। আবাসিক সুবিধা নেই জেনেও সবার পছন্দ বিশ্ববিদ্যালয়টি। এখানে মেয়েদের জন্য রয়েছে একটি মাত্র হল। ছেলেদের জন্য হল থাকা সত্ত্বেও তা রয়েছে দখলদারিত্বে। মেয়েদের একটি হল ছাড়া, হলের সুবিধা কখনোই ভোগ করতে পারেনি বাকি জবিয়ান শিক্ষার্থীরা। সেই একটি হলেও রয়েছে গ্যাস সংকট, চুলার সংকটে দীর্ঘ অপেক্ষার মত যন্ত্রণা, নিম্ন মানের খাবার সরবরাহের মত সমস্যা, যার কোনটিই সমাধান হচ্ছে না। ক্যাম্পাস জীবনের শুরু থেকেই জবিয়ানরা শুরু করে টিকে থাকার লড়াই। এখানে ধনীর দুলালের যেমন খরচ, গরিব প্রজার সন্তানের ও তাই।

পুরান ঢাকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মেসের অতিরিক্ত ভাড়া ও অন্যান্য খরচ বহন করার জন্য স্বল্প বেতনের টিউশনে, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টায় জবিয়ানরা কাটিয়ে দিচ্ছে তাদের জীবনের মূল্যবান সময়। এত পরিশ্রম করে দিনশেষে ঠিকঠাক পড়াশোনা করাই দায়। বাড়িতে থাকার সামান্য সুখের জন্য কুমিল্লা, মানিকগঞ্জ ও নরসিংদীর মতো দীর্ঘ রুটে কেউকেউ নিয়মিত যাতায়াত করে ক্যাম্পাসে আসে। এত স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও হতাশার চাদরে পেঁচিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়ে অন্যত্র চলে গিয়ে, নিজের অনাবাসিক তকমা দূর করে। বিশেষ করে আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা প্রায় বন্ধের পথে। জবিয়ান শিক্ষার্থীরা চাই দ্রুত যেন হলগুলো উদ্ধার করা হয় পাশাপাশি কেরানীগঞ্জে নতুন ক্যাম্পাসে, অস্থায়ী আবাসনের মাধ্যমে এই সমস্যার যেন সমাধান হয়। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের তালিকা করে অন্তত একটি সন্তোষজনক ভাতার ব্যবস্থাও যেন করা হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

নুসরাত জাহান অর্পিতা

শিক্ষার্থী

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

back to top