alt

তাপস গায়েনের কবিতা

: সোমবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

[চার]
অন্ধ আত্মমগ্নতায় খুঁজে ফিরি নারীর শরীর

সুবাতাস ফিরে যায়, ব্যর্থ হয়ে ফিরে ফিরে যায়

থির গাঙের শুশুক ব্যাকুল ভাদ্রের ভরা জলে

এ কী অস্থির কৌতুক নিরন্তর আমাকে ভাবায়

[পাঁচ]
শুধু ব্যর্থ দগ্ধ সিগারেট! এ কি দাহ না উৎসব

না কি রঙধনু ছুঁয়ে ক্রমাগত স্মৃতি পারাপার

তোমার নিশ্চুপ হাতে ঝরেছিল আলোর সরণি

দেহ আর দ্রোহ নিয়ে নিঃশব্দ আমার করতালি

[সাত]
জলের প্রবাহে আছি। এই নগ্নরূপে বহুদিন

শূন্যে ভেসে গেছে ঘুড়ি। এইভাবে কে কী নিয়ে যায়

যৌবন মেধাবী জানি। জলে শুধু নিরন্তর ঢেউ

দেহের পুরাণ আছে। কেন আমি নিশ্চল পাথর

[আট]
বরফ হয়েছ তুমি! কেনো, তরল দেখোনি বলে

এসো ভাসি অবেলায়। এইভাবে হাত রাখো হাতে

জলে ঠোঁট রেখে বুঝি, আমি নই সহজ সরল

খুব বৃষ্টি শেষে বলে ওঠো তুমি, হয়েছি তরল

[নয়]
শব্দের কিনারে আছি। দূর সমুদ্রে জাহাজের ভোঁ

ফাৎনায় মুহূর্ত কাঁপে। ঝরে পড়ে অস্থির সময়

ব্যর্থ বায়ু ফিরে যায়; খুঁজে যায় ব্যথিত বলয়

প্রবল বাতাসে ঈশ্বর কি কাঁপে ফাৎনার ডগায়

[দশ]
ইতিহাসের মূঢ়তা শিখেছে কি একাকী মানুষ

তবে জটিল জল্পনা কেন বুনো জলের সারল্যে

বুর্জোয়া স্বভাবে নেই কোনো জলজ বৃত্তের ভঙ্গি

মুক্তির আনন্দ লিখে রেখো দেহের গোপন ভাঁজে

[এগারো]
স্তন-যোনি-জানু নিয়ে খেলা। এই খেলা বহুদিন

শৈশবের দিন ফেলে আমি আছি উন্মুল জীবনে

অনতি অতীত থেকে উঠে আসে সাহসী মানুষ

আমি এক পোড়াকাঠ, ভেসেছি দূরতর অতীতে

[বারো]
লিখো নাম অবিরাম সহজ জলের কলস্বরে

দাও উড়িয়ে বুদ্বুদে জরা দাহ দেহের সন্তাপ

ছোট বড় ঢেউ সব মুছে দেয় নাম অবিরাম

খুব বেশি নগ্ন হয়ে ভাবি- শৈশব কি শুধু স্মৃতি

দূরের পথ বাতিঘর

কচুরিপানা

অল্প-স্বল্প : মিথ্যা-সত্য

মানুষ চাই

বাঘ

বিষাদমন্ত্রী

বুকের রেহেলে

নবান্ন

জলের নক্ষত্র

সততাও লুপ্ত হচ্ছে লুপ্তবংশে

ছবি

বিলেতে বাঙালির শিল্পসাহিত্যের প্রতিনিধি

ছবি

বিপন্ন সময়ের জীবনশিল্পী

ছবি

লাল ফুলের খোঁপা

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

জনপ্রিয় সাহিত্যের জাদুকর

ছবি

দেশ ভাগের আর্তনাদ

ছবি

অনুবাদকের দায় : বিশ্বস্ততা নাকি সরলতা?

কার্তিকের স্নান

আমি- শেষ

ছবি

মহিবুল আলমের কবিতায় নদী ও নারী

ছবি

কবি মাহমুদ কামাল ও নিমগ্ন আত্মার সাধক

ছবি

স্পর্শ

ছবি

নুরুন্নাহার মুন্নির গল্প

ছবি

মাটির মমতায় হেমন্ত বিকেল

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

জীবনানন্দ দাশ দূর-সময়ের সার্বভৌম কবি

ছবি

পথ ভিন্ন : প্রসঙ্গ লালন

ছবি

মার্গারেট অ্যাটউড ‘রানিং দ্য ব্যাট’

ছবি

এলোমেলো স্মৃতির সমরেশ মজুমদার

সাময়িকী কবিতা

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

বিমল গুহের কবিতার অন্তর্জগৎ ও শিল্পৈশ্বর্য

ছবি

কবিতার সুনীল সুনীলের কবিতা

ছবি

রূপান্তরের অকথিত গল্পটা

ছবি

মানব সভ্যতার আত্মবিশ্লেষণের আয়না

ছবি

বাইরে একটা কিছু জ্বলছে

tab

তাপস গায়েনের কবিতা

সোমবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

[চার]
অন্ধ আত্মমগ্নতায় খুঁজে ফিরি নারীর শরীর

সুবাতাস ফিরে যায়, ব্যর্থ হয়ে ফিরে ফিরে যায়

থির গাঙের শুশুক ব্যাকুল ভাদ্রের ভরা জলে

এ কী অস্থির কৌতুক নিরন্তর আমাকে ভাবায়

[পাঁচ]
শুধু ব্যর্থ দগ্ধ সিগারেট! এ কি দাহ না উৎসব

না কি রঙধনু ছুঁয়ে ক্রমাগত স্মৃতি পারাপার

তোমার নিশ্চুপ হাতে ঝরেছিল আলোর সরণি

দেহ আর দ্রোহ নিয়ে নিঃশব্দ আমার করতালি

[সাত]
জলের প্রবাহে আছি। এই নগ্নরূপে বহুদিন

শূন্যে ভেসে গেছে ঘুড়ি। এইভাবে কে কী নিয়ে যায়

যৌবন মেধাবী জানি। জলে শুধু নিরন্তর ঢেউ

দেহের পুরাণ আছে। কেন আমি নিশ্চল পাথর

[আট]
বরফ হয়েছ তুমি! কেনো, তরল দেখোনি বলে

এসো ভাসি অবেলায়। এইভাবে হাত রাখো হাতে

জলে ঠোঁট রেখে বুঝি, আমি নই সহজ সরল

খুব বৃষ্টি শেষে বলে ওঠো তুমি, হয়েছি তরল

[নয়]
শব্দের কিনারে আছি। দূর সমুদ্রে জাহাজের ভোঁ

ফাৎনায় মুহূর্ত কাঁপে। ঝরে পড়ে অস্থির সময়

ব্যর্থ বায়ু ফিরে যায়; খুঁজে যায় ব্যথিত বলয়

প্রবল বাতাসে ঈশ্বর কি কাঁপে ফাৎনার ডগায়

[দশ]
ইতিহাসের মূঢ়তা শিখেছে কি একাকী মানুষ

তবে জটিল জল্পনা কেন বুনো জলের সারল্যে

বুর্জোয়া স্বভাবে নেই কোনো জলজ বৃত্তের ভঙ্গি

মুক্তির আনন্দ লিখে রেখো দেহের গোপন ভাঁজে

[এগারো]
স্তন-যোনি-জানু নিয়ে খেলা। এই খেলা বহুদিন

শৈশবের দিন ফেলে আমি আছি উন্মুল জীবনে

অনতি অতীত থেকে উঠে আসে সাহসী মানুষ

আমি এক পোড়াকাঠ, ভেসেছি দূরতর অতীতে

[বারো]
লিখো নাম অবিরাম সহজ জলের কলস্বরে

দাও উড়িয়ে বুদ্বুদে জরা দাহ দেহের সন্তাপ

ছোট বড় ঢেউ সব মুছে দেয় নাম অবিরাম

খুব বেশি নগ্ন হয়ে ভাবি- শৈশব কি শুধু স্মৃতি

back to top