মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : ৮০র দশকে নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে তহশিল অফিসের কাজ -সংবাদ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি ইউনিয়নে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ভূমি অফিসের সব কার্যক্রম। সেবা নিতে আশা ভূমি মালিকেরা দুর্ঘটনার আশংকায়। স্থানীয়দের পরিত্যাক্ত ভবনটি অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণের।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুলিশাখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভবনটি ৮০ দশকে নির্মিত হলেও বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনে চলছে তহশীল অফিসের ভূমি মালিকদের কর আদায় সহ সব কার্যক্রম। প্রায় ১ যুগেরও বেশি সময় এ ভবনটির বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে। ছাদ ভেঙ্গে বেরিয়ে এসেছে রড। সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ থেকে গড়িয়ে অফিস কক্ষে ঢুকছে পানি। এর মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিস করছেন ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ, অফিস সহায়ক মো. খেলাফত হোসেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী তাসলিমা বেগম।
প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ভূমি মালিকেরা খাজনা, মিউটেশনসহ বিভিন্ন সেবা নিতে তাদের থাকছে দুর্ঘটনার আতংকে। কথা হয় এ অফিসে খাজনা দিতে আশা ভূমি মালিক রুহুল আমিন ফকির, জাহাঙ্গীর আলম, দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১০/১২ বছর ধরে এ ভবনটির অবস্থা নাজুক। প্রতি বছরে খাজনা দিতে এসে দেখি এইক চিত্র কোন পরিবর্তন নেই। আতংকে থাকি নিজেরাই কখন দুর্ঘটনার কবলে পড়ি। এ পরিত্যাক্ত ভবনটির অপসারণ করে নতুন একটি ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা।
নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ বলেন, দেড় বছর হয়েছে এ তহশীল অফিসে কর্মরত আছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড় বৃষ্টি হলে দুর্ঘটনার ভয়ে পাসেই মসজিদে অবস্থান করি এবং অফিসিয়াল গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্র নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। নাজুক এ ভবনটির বিষয়ে লিখিতভাবে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বদরুদ্দোজা বলেন, গুলিশাখালী তহশীলে জরাজীর্ণ ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়নি। তবে, এ উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইতোমধ্যে ৭টি নতুন ভবন নির্মিত হয়েছে। বাকি ৩টি ভবনের কাজের প্রস্তাবনা পাঠানো রয়েছে।
এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল্লাহ বলেন, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নতুন ভবন নির্মাণের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ওই ভবনটি সংস্কারের জন্য জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে একটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : ৮০র দশকে নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে তহশিল অফিসের কাজ -সংবাদ
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি ইউনিয়নে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ভূমি অফিসের সব কার্যক্রম। সেবা নিতে আশা ভূমি মালিকেরা দুর্ঘটনার আশংকায়। স্থানীয়দের পরিত্যাক্ত ভবনটি অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণের।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুলিশাখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভবনটি ৮০ দশকে নির্মিত হলেও বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনে চলছে তহশীল অফিসের ভূমি মালিকদের কর আদায় সহ সব কার্যক্রম। প্রায় ১ যুগেরও বেশি সময় এ ভবনটির বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে। ছাদ ভেঙ্গে বেরিয়ে এসেছে রড। সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ থেকে গড়িয়ে অফিস কক্ষে ঢুকছে পানি। এর মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিস করছেন ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ, অফিস সহায়ক মো. খেলাফত হোসেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী তাসলিমা বেগম।
প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ভূমি মালিকেরা খাজনা, মিউটেশনসহ বিভিন্ন সেবা নিতে তাদের থাকছে দুর্ঘটনার আতংকে। কথা হয় এ অফিসে খাজনা দিতে আশা ভূমি মালিক রুহুল আমিন ফকির, জাহাঙ্গীর আলম, দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১০/১২ বছর ধরে এ ভবনটির অবস্থা নাজুক। প্রতি বছরে খাজনা দিতে এসে দেখি এইক চিত্র কোন পরিবর্তন নেই। আতংকে থাকি নিজেরাই কখন দুর্ঘটনার কবলে পড়ি। এ পরিত্যাক্ত ভবনটির অপসারণ করে নতুন একটি ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা।
নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ বলেন, দেড় বছর হয়েছে এ তহশীল অফিসে কর্মরত আছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড় বৃষ্টি হলে দুর্ঘটনার ভয়ে পাসেই মসজিদে অবস্থান করি এবং অফিসিয়াল গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্র নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। নাজুক এ ভবনটির বিষয়ে লিখিতভাবে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বদরুদ্দোজা বলেন, গুলিশাখালী তহশীলে জরাজীর্ণ ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়নি। তবে, এ উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইতোমধ্যে ৭টি নতুন ভবন নির্মিত হয়েছে। বাকি ৩টি ভবনের কাজের প্রস্তাবনা পাঠানো রয়েছে।
এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল্লাহ বলেন, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নতুন ভবন নির্মাণের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ওই ভবনটি সংস্কারের জন্য জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে একটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।