এবার “সরকারি কাজে বাধাদান ও হামলার” অভিযোগ এনে বরিশালের সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান শোভনের বিরুদ্ধে দুই মামলার আবেদন গ্রহণ করেছে আদালত। একই সঙ্গে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপারকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ।
জেলা জজ আদালতে এই মামলার কারণে উপজেলা প্রশাসনের সাথে নগর ভবনের মুখোমুখি অবস্থানকে নতুন মাত্রা দিল। এর আগে সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় ইউএনও মুনিবুর রহমান নিজে বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিলেন।
বরিশাল সিনিয়র অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহর আদালতে রোববার (২২ আগস্ট) নালিশি মামলা দুটির আবেদন করেন বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার।
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, দুটি মামলার আবেদনেই সদর ইউএনও মো. মুনিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা বাবুল হালদারের আবেদনে ইউএনও মো. মুনিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করার পাশাপাশি তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পাঁচ আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। আনসার সদস্যদের কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়াও আরও অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্যানেল মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনের মামলাতেও ইউএনও মো. মুনিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করার পাশাপাশি দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলামকে। তৃতীয় আসামি করা হয়েছে কোতোয়ালীর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজালাল মল্লিককে। শাহজালাল মল্লিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষে দায়ের করা মামলার বাদী। এ আবেদনেও পাঁচ আনসার সদস্যের নাম উল্লেখ না করাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়।
আদালতে দায়ের করা মামলার ওই দুই মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা সরকারি চাকরির সুবাদে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা- করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। দেশে অরাজকতার সৃষ্টির পাঁয়তারা করাই তাদের পেশা ও নেশা।
নগরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার জন্য সিটি করপোরেশনের সভায় নগরের বিভিন্ন এলাকার ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্তের কারণে ১৮ আগস্ট রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের নেতৃত্বে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করতে গেলে সদর ইউএনওর নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা বাধা দেন এবং পরিচ্ছন্নকর্মীদের মারপিট করেন বলে অভিযোগ করেন মেয়রের পক্ষের লোকজন।
ঘটনা জেনে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ঘটনাস্থলে যান। এসময় ইউএনও এবং তার আনসার সদস্যরা মেয়রকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ করেন মেয়র পক্ষের লোকজন। করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানবপ্রাচীর তৈরী করে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে রক্ষা করেন। এতে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে।
এদিকে এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কোতোয়ালী মডেল থানায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলার বাদী ইউএনও মো. মুনিবুর রহমান ও অপর মামলার বাদী এসআই শাহজালাল মল্লিক। ওই দুটি মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বরিশালে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহও আঘাতপ্রাপ্ত হন বলে তিনি দাবি করেছেন। আহতদের মধ্যে তিন পুলিশ ও দুই আনসার সদস্য রয়েছেন।
ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই নেতাকর্মীরা নগরীর রূপাতলী ও নথুল্লাবাদ টার্মিনাল এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন। একই সঙ্গে তারা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্ধ করে দেন অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ চলাচল। পরে প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক শেষে দুপুর ১২টার পর বাস-লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে ইউএনওর বাসভবনে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে।
আমাকে গ্রেপ্তার করতে হলে
আমি নিজেই থানায় চলে যাবো-- সাদিক আব্দুল্লাহ।
বরিশাল সিটি কপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, বরিশাল নগরীর জনগণ কোন অপরাধ করেনি। শহরের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার না করলে জনগন দুর্ভোগে পড়বে। তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ যাতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজে বাঁধা দেওয়া না হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর কালিবাড়ি রোডস্থ নিজ বাসভবনে বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আইন দ্বারা নির্ধারন করা আছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে হলে বাসা ঘেরাও করার প্রয়োজন নাই। তিনি নিজেই থানায় চলে যাবেন।
মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, বরিশাল সিটি কপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সরকারিভাবে কোন প্রকল্পের বিপরীতে কোন অনুদান তিনি পচ্ছেননা। তারপরও তিনি সিটি কপোরেশনের উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। বুধবার যেটা হয়েছে সেটা হওয়ারই কথা ছিল। কারন আমি আরো এক বছর আগে থেকে এই ষড়যন্ত্রের কথা বলে আসছি। তবে আমি ও আমার নেতাকর্মীরা যদি এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকি তাহলে তিনি দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন। তিনি আওয়ামী লীগের কোন ক্ষতি করতে চাননা। আমি চাইনা। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের পুরো সিসি টিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হোক। এতে যদি তার বা তার দলের নেতাকর্মীদের অপরাধ হয় তাহলে বিচার হবে। পাশাপাশি তিনি ১৮ আগস্টের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন।
রোববার, ২২ আগস্ট ২০২১
এবার “সরকারি কাজে বাধাদান ও হামলার” অভিযোগ এনে বরিশালের সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান শোভনের বিরুদ্ধে দুই মামলার আবেদন গ্রহণ করেছে আদালত। একই সঙ্গে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপারকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ।
জেলা জজ আদালতে এই মামলার কারণে উপজেলা প্রশাসনের সাথে নগর ভবনের মুখোমুখি অবস্থানকে নতুন মাত্রা দিল। এর আগে সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় ইউএনও মুনিবুর রহমান নিজে বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিলেন।
বরিশাল সিনিয়র অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহর আদালতে রোববার (২২ আগস্ট) নালিশি মামলা দুটির আবেদন করেন বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার।
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, দুটি মামলার আবেদনেই সদর ইউএনও মো. মুনিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা বাবুল হালদারের আবেদনে ইউএনও মো. মুনিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করার পাশাপাশি তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পাঁচ আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। আনসার সদস্যদের কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়াও আরও অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্যানেল মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনের মামলাতেও ইউএনও মো. মুনিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করার পাশাপাশি দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলামকে। তৃতীয় আসামি করা হয়েছে কোতোয়ালীর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজালাল মল্লিককে। শাহজালাল মল্লিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষে দায়ের করা মামলার বাদী। এ আবেদনেও পাঁচ আনসার সদস্যের নাম উল্লেখ না করাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়।
আদালতে দায়ের করা মামলার ওই দুই মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা সরকারি চাকরির সুবাদে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা- করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। দেশে অরাজকতার সৃষ্টির পাঁয়তারা করাই তাদের পেশা ও নেশা।
নগরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার জন্য সিটি করপোরেশনের সভায় নগরের বিভিন্ন এলাকার ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্তের কারণে ১৮ আগস্ট রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের নেতৃত্বে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করতে গেলে সদর ইউএনওর নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা বাধা দেন এবং পরিচ্ছন্নকর্মীদের মারপিট করেন বলে অভিযোগ করেন মেয়রের পক্ষের লোকজন।
ঘটনা জেনে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ঘটনাস্থলে যান। এসময় ইউএনও এবং তার আনসার সদস্যরা মেয়রকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ করেন মেয়র পক্ষের লোকজন। করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানবপ্রাচীর তৈরী করে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে রক্ষা করেন। এতে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে।
এদিকে এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কোতোয়ালী মডেল থানায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলার বাদী ইউএনও মো. মুনিবুর রহমান ও অপর মামলার বাদী এসআই শাহজালাল মল্লিক। ওই দুটি মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বরিশালে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহও আঘাতপ্রাপ্ত হন বলে তিনি দাবি করেছেন। আহতদের মধ্যে তিন পুলিশ ও দুই আনসার সদস্য রয়েছেন।
ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই নেতাকর্মীরা নগরীর রূপাতলী ও নথুল্লাবাদ টার্মিনাল এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন। একই সঙ্গে তারা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্ধ করে দেন অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ চলাচল। পরে প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক শেষে দুপুর ১২টার পর বাস-লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে ইউএনওর বাসভবনে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে।
আমাকে গ্রেপ্তার করতে হলে
আমি নিজেই থানায় চলে যাবো-- সাদিক আব্দুল্লাহ।
বরিশাল সিটি কপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, বরিশাল নগরীর জনগণ কোন অপরাধ করেনি। শহরের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার না করলে জনগন দুর্ভোগে পড়বে। তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ যাতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজে বাঁধা দেওয়া না হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর কালিবাড়ি রোডস্থ নিজ বাসভবনে বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আইন দ্বারা নির্ধারন করা আছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে হলে বাসা ঘেরাও করার প্রয়োজন নাই। তিনি নিজেই থানায় চলে যাবেন।
মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, বরিশাল সিটি কপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সরকারিভাবে কোন প্রকল্পের বিপরীতে কোন অনুদান তিনি পচ্ছেননা। তারপরও তিনি সিটি কপোরেশনের উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। বুধবার যেটা হয়েছে সেটা হওয়ারই কথা ছিল। কারন আমি আরো এক বছর আগে থেকে এই ষড়যন্ত্রের কথা বলে আসছি। তবে আমি ও আমার নেতাকর্মীরা যদি এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকি তাহলে তিনি দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন। তিনি আওয়ামী লীগের কোন ক্ষতি করতে চাননা। আমি চাইনা। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের পুরো সিসি টিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হোক। এতে যদি তার বা তার দলের নেতাকর্মীদের অপরাধ হয় তাহলে বিচার হবে। পাশাপাশি তিনি ১৮ আগস্টের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন।