ওয়াসাকে পানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিল বিএনপি। বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির নেতা-কর্মীরা এ স্মারকলিপি দেন ওয়াসা কর্মকর্তাদের। পানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে তারা স্মারকলিপি দিয়েছে।
কারওয়ান বাজারে আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিএনপির ঢাকা মহানগরের নেতা-কর্মীরা ঢাকা ওয়াসার কার্যালয়ে গিয়ে পানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। পরে স্মারকলিপি দেন।
সমাবেশে বক্তৃতায় বিএনপির ঢাকা মহানগরের নেতারা ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ জানান । তাঁরা বলেন, ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও গণবিরোধী। নিরবচ্ছিন্নভাবে সুপেয় ও নিরাপদ পানি সরবরাহ সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কিন্তু ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ তা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এটা নগরবাসীর জন্য দুঃখজনক।
সমাবেশে নেতা-কর্মীরা ‘পানির মূল্যবৃদ্ধি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’, ‘পানির দাম বাড়ানো নগরবাসী মানবে না’ প্রভৃতি লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন।
সমাবেশে বিএনপির ঢাকা মহানগরের (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ‘গত ১৩ বছরে ১৪ বার পানির দাম বাড়ানো হয়েছে।
‘এই অমানবিক ও গণবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে আমরা এসেছি। এ জন্যই স্মারকলিপি দেওয়া। অনতিবিলম্বে পানির দাম কমানো ও পানির মান আরও ভালো করার জন্য এই স্মারকলিপি। আমরা চাই, সরকার এই দাবি মেনে নেবে। নয়তো আমরা কঠোর আন্দোলনের দিকে যাব।’
বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির সহসভাপতি মুন্সী বজলুল বাসিদ বলেন, ২০০৯ সালে প্রতি হাজার লিটার পানির দাম ছিল আবাসিক ভবন ও সামাজিক হোল্ডিংয়ে ৬ টাকা। অফিস, শিল্প ও বাণিজ্যিক ভবনে ২০ দশমিক ১১ টাকা। দফায় দফায় বাড়ানোর পর সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চে আবার পানির দাম বাড়ানো হয়।
তিনি বলেন, আবাসিক ভবন ও সামাজিক হোল্ডিংয়ে ১৫ দশমিক ১৮ টাকা এবং অফিস, শিল্প ও বাণিজ্যিক ভবনে ৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। আমরা এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাই।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ এফ এম আবদুল আলীম নকী প্রমুখ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে তারা ভবনের নিচতলায় ওয়াসার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাকসুদুল হকের হাতে স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, করোনাকালে নাগরিকেরা যখন তীব্র সংকটে নিপতিত, কর্মহীন, আয়-রোজগার সংকুচিত, নতুন বেকার ও দরিদ্রের সংখ্যা বাড়ছে, তখন ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অমানবিক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। এটি মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী ও গণবিরোধী, যা নগরবাসীর ওপর ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
ওয়াসাকে পানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিল বিএনপি। বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির নেতা-কর্মীরা এ স্মারকলিপি দেন ওয়াসা কর্মকর্তাদের। পানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে তারা স্মারকলিপি দিয়েছে।
কারওয়ান বাজারে আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিএনপির ঢাকা মহানগরের নেতা-কর্মীরা ঢাকা ওয়াসার কার্যালয়ে গিয়ে পানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। পরে স্মারকলিপি দেন।
সমাবেশে বক্তৃতায় বিএনপির ঢাকা মহানগরের নেতারা ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ জানান । তাঁরা বলেন, ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও গণবিরোধী। নিরবচ্ছিন্নভাবে সুপেয় ও নিরাপদ পানি সরবরাহ সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কিন্তু ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ তা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এটা নগরবাসীর জন্য দুঃখজনক।
সমাবেশে নেতা-কর্মীরা ‘পানির মূল্যবৃদ্ধি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’, ‘পানির দাম বাড়ানো নগরবাসী মানবে না’ প্রভৃতি লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন।
সমাবেশে বিএনপির ঢাকা মহানগরের (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ‘গত ১৩ বছরে ১৪ বার পানির দাম বাড়ানো হয়েছে।
‘এই অমানবিক ও গণবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে আমরা এসেছি। এ জন্যই স্মারকলিপি দেওয়া। অনতিবিলম্বে পানির দাম কমানো ও পানির মান আরও ভালো করার জন্য এই স্মারকলিপি। আমরা চাই, সরকার এই দাবি মেনে নেবে। নয়তো আমরা কঠোর আন্দোলনের দিকে যাব।’
বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির সহসভাপতি মুন্সী বজলুল বাসিদ বলেন, ২০০৯ সালে প্রতি হাজার লিটার পানির দাম ছিল আবাসিক ভবন ও সামাজিক হোল্ডিংয়ে ৬ টাকা। অফিস, শিল্প ও বাণিজ্যিক ভবনে ২০ দশমিক ১১ টাকা। দফায় দফায় বাড়ানোর পর সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চে আবার পানির দাম বাড়ানো হয়।
তিনি বলেন, আবাসিক ভবন ও সামাজিক হোল্ডিংয়ে ১৫ দশমিক ১৮ টাকা এবং অফিস, শিল্প ও বাণিজ্যিক ভবনে ৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। আমরা এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাই।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ এফ এম আবদুল আলীম নকী প্রমুখ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে তারা ভবনের নিচতলায় ওয়াসার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাকসুদুল হকের হাতে স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, করোনাকালে নাগরিকেরা যখন তীব্র সংকটে নিপতিত, কর্মহীন, আয়-রোজগার সংকুচিত, নতুন বেকার ও দরিদ্রের সংখ্যা বাড়ছে, তখন ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অমানবিক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। এটি মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী ও গণবিরোধী, যা নগরবাসীর ওপর ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।