স্থানীয় সরকার বা জাতীয় নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের আর নৌকা প্রতীকে ভোটের সুযোগ দেবে না আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে জ্যেষ্ঠ নেতারাও একমত। সিদ্ধান্তের যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের কঠোর নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় প্রধান।
একইভাবে আগামীতে উপজেলা ও জেলা পরিষদ এবং সংসদ নির্বাচনেও প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তৃণমূলের পছন্দকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার পাশপাশি বিদ্রোহীদের ক্ষেত্রে কঠোর ভূমিকা নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
করোনায় থমকে গেছে তৃণমূল আওয়ামী লীগের সম্মেলন। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই চলছে সংগঠন। দলের কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা কমিটির মধ্যে ৪২টি এবং প্রায় সাড়ে ছয়শ উপজেলা ও থানা কমিটির অধিকাংশই মেয়াদোত্তীর্ণ। পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটিগুলোরও একই অবস্থা। এদিকে, যথাসময়ে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত না হওয়ায় তৃণমূলে বঞ্চিত ও নবীন পদপ্রতাশীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে, বাড়ছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিশৃঙ্খলা।
মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলাগুলো যত দ্রুত সম্ভব সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশনা এসেছে দলের শীর্ষপর্যায় থেকে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকটি সভায় আলোচনার পর এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অথবা পরের বছর জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। জাতীয় নির্বাচনের দুই বছর চার মাস আগেই ভোট নিয়ে ভাবছেন ক্ষমতাসীনরা। জয়ের ধারা অব্যহত রাখতে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে নীতিনির্ধারণী মহল। এ লক্ষ্যে নির্বাচনি ইশতেহার ‘আপডেট’ করতে উপ-কমিটিগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতির সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয় বলে দলের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পাশাপাশি দ্রুত সময়ে তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলনের মাধ্যমে দলের সাংগঠনিক ভিত্তি আরও সুসংহত করার নির্দেশ দেন সভাপতি শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান (অব.) কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকত প্রসঙ্গে বলেন, বৈঠকে বিদ্রোহীদের আর মনোনয়ন না দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভবিষ্যতে বিদ্রোহীদের ব্যাপারে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত আসবে জানিয়ে ফারুক খান বলেন, ‘আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হোক আর জাতীয় নির্বাচনই হোক, সব নির্বাচনেই এই নীতি অব্যাহত থাকবে।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা জানান, জেলা পর্যায়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে যেখানে সংসদ সদস্যরা দায়িত্বে আছেন, নানা অভিযোগের কারণে তাদের বিষয়েও ভাবছে দলের নীতিনির্ধারণী মহল। ‘সংসদ সদস্য হিসেবে সরকারি কাজে বেশি মনোযোগ, এলাকায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা’- তৃণমূল পর্যায় থেকে আসা এ ধরনের অভিযোগ আমলে নিয়ে আসন্ন সম্মেলনে জেলা কমিটিগুলোর শীর্ষপদে সংসদ সদস্যদের না রাখার বিষয়েও আলোচনা চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকা প্রবীণ নেতাদের অনেকে দলে এবং সহযোগী সংগঠনে নিজ পরিবার, পছন্দের ও নিজস্ব বলয়ের লোকজনকে পদ-পদবি দিয়ে ‘পকেট কমিটি’ করে রেখেছেন। অনেক প্রতীক্ষার পরও কমিটিতে স্থান পাচ্ছেন না ত্যাগী কর্মীরা।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যত দ্রুত সম্ভব স্থানীয় কোন্দল মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন দলীয়প্রধান। নোয়াখালী, মাদারীপুর, বরিশালসহ কোন্দল বেশি এমন এলাকাগুলোর প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই চলছে। শীঘ্রই এসব এলাকার কমিটির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
স্থানীয় সরকার বা জাতীয় নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের আর নৌকা প্রতীকে ভোটের সুযোগ দেবে না আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে জ্যেষ্ঠ নেতারাও একমত। সিদ্ধান্তের যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের কঠোর নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় প্রধান।
একইভাবে আগামীতে উপজেলা ও জেলা পরিষদ এবং সংসদ নির্বাচনেও প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তৃণমূলের পছন্দকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার পাশপাশি বিদ্রোহীদের ক্ষেত্রে কঠোর ভূমিকা নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
করোনায় থমকে গেছে তৃণমূল আওয়ামী লীগের সম্মেলন। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই চলছে সংগঠন। দলের কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা কমিটির মধ্যে ৪২টি এবং প্রায় সাড়ে ছয়শ উপজেলা ও থানা কমিটির অধিকাংশই মেয়াদোত্তীর্ণ। পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটিগুলোরও একই অবস্থা। এদিকে, যথাসময়ে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত না হওয়ায় তৃণমূলে বঞ্চিত ও নবীন পদপ্রতাশীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে, বাড়ছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিশৃঙ্খলা।
মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলাগুলো যত দ্রুত সম্ভব সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশনা এসেছে দলের শীর্ষপর্যায় থেকে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকটি সভায় আলোচনার পর এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অথবা পরের বছর জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। জাতীয় নির্বাচনের দুই বছর চার মাস আগেই ভোট নিয়ে ভাবছেন ক্ষমতাসীনরা। জয়ের ধারা অব্যহত রাখতে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে নীতিনির্ধারণী মহল। এ লক্ষ্যে নির্বাচনি ইশতেহার ‘আপডেট’ করতে উপ-কমিটিগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতির সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয় বলে দলের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পাশাপাশি দ্রুত সময়ে তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলনের মাধ্যমে দলের সাংগঠনিক ভিত্তি আরও সুসংহত করার নির্দেশ দেন সভাপতি শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান (অব.) কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকত প্রসঙ্গে বলেন, বৈঠকে বিদ্রোহীদের আর মনোনয়ন না দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভবিষ্যতে বিদ্রোহীদের ব্যাপারে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত আসবে জানিয়ে ফারুক খান বলেন, ‘আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হোক আর জাতীয় নির্বাচনই হোক, সব নির্বাচনেই এই নীতি অব্যাহত থাকবে।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা জানান, জেলা পর্যায়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে যেখানে সংসদ সদস্যরা দায়িত্বে আছেন, নানা অভিযোগের কারণে তাদের বিষয়েও ভাবছে দলের নীতিনির্ধারণী মহল। ‘সংসদ সদস্য হিসেবে সরকারি কাজে বেশি মনোযোগ, এলাকায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা’- তৃণমূল পর্যায় থেকে আসা এ ধরনের অভিযোগ আমলে নিয়ে আসন্ন সম্মেলনে জেলা কমিটিগুলোর শীর্ষপদে সংসদ সদস্যদের না রাখার বিষয়েও আলোচনা চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকা প্রবীণ নেতাদের অনেকে দলে এবং সহযোগী সংগঠনে নিজ পরিবার, পছন্দের ও নিজস্ব বলয়ের লোকজনকে পদ-পদবি দিয়ে ‘পকেট কমিটি’ করে রেখেছেন। অনেক প্রতীক্ষার পরও কমিটিতে স্থান পাচ্ছেন না ত্যাগী কর্মীরা।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যত দ্রুত সম্ভব স্থানীয় কোন্দল মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন দলীয়প্রধান। নোয়াখালী, মাদারীপুর, বরিশালসহ কোন্দল বেশি এমন এলাকাগুলোর প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই চলছে। শীঘ্রই এসব এলাকার কমিটির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত আসতে পারে।