স্পেনিশ লা লিগা
শেষ সময়ে লুইস সুয়ারেজের করা গোল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে লা লিগার শিরোপা জয়ের খুব কাছে নিয়ে গেছে। রবিবার তারা ওসাসুনার বিপক্ষে প্রথমে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জয়ী হয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। লিগে তাদের আছে আর একটি ম্যাচ, সেটি জিততে পারলেই সাত বছর পর আর স্পেনিশ লা লিগার শিরোপা জিতবে দিয়েগো সিমেওনির দল। একই নিজেদের ম্যাচে অ্যাটলেটিক ক্লাব বিলবাওকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপার দৌড়ে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে রিয়াল মা্িরদদ। তবে সেল্টা ভিগোর কাছে ২-১ গোলে হেরে বার্সেলোনা বিদায় নিয়েছে লড়াই থেকে।
রবিবার ছিল লা লিগার ৩৭তম রাউন্ডের খেলা। সবগুলো খেলা এদিন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। ৩৬ ম্যাচ থেকে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে খেলা শুরু করে অ্যাটলেটিকো। সমান ম্যাচে রিয়ালের ছিল ৭৮ পয়েন্ট। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ পয়েন্ট নষ্ট করলেই কেবল সুযোগ আসবে রিয়ালের। এমন অবস্থায় রিয়াল তাদের খেলার ৬৮ মিনিটে নাচোর করা গোলে লিড নেয়। অপর দিকে ৭৮ মিনিটে বুডিমির গোল করে এগিয়ে দেন ওসাসুনাকে। ফলে তালিকার শীর্ষে উঠে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ৮২ মিনিটে রেনান লোদি গোল করে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে সমতায় ফেরালে নতুন করে আশার সঞ্চার হয় তাদের। তখনও শীর্ষে ছিল রিয়াল। যদিও সে সময়ে দুই দলের পয়েন্টই ছিল সমান। কিন্তু হেড টু হেড রেকর্ডে এগিয়ে থাকায় রিয়াল ছিল শীর্ষে। কিন্তু ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি বক্সে সৃষ্ট জটলার মধ্য থেকে সুয়ারেজ গোল করলে ম্যাচ জিতে যায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ এবং তারা দুই পয়েন্টের ব্যবধান সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়। তবে রিয়ালের আশা একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। অ্যাটলেটিকো শেষ রাউন্ডে ২৩ মে মুখোমুখি হবে ভায়াদোলিদের। একই দিন নিজেদের মাঠে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ। সে ম্যাচে যদি রিয়াল মাদ্রিদ জয়ী হয় এবং অ্যাটলেটিকো তাদের ম্যাচ জিততে ব্যর্থ হয় তাহলে রিয়াল লিগ শিরোপা ধরে রাখবে। কিন্তু অ্যাটলেটিকো জিতে গেলে আর কোন হিসাব নিকাশ লাগবে না। চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে অ্যাটলেটিকো।
জয়ের কোন বিকল্প না থাকা অ্যাটলেটিকো এ দিন শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে। তারা গোলের সুযোগও তৈরী করে। এমনকি দুইবার বল জালেও পাঠায়, কিন্তু দুইবারও ভিএআর দেখে অফসাইডের কারণে রেফারি গোল বাতিল করে দেন। অপর দিকে অ্যান্টে বুডিমির গোল করে এগিয়ে দেন ওসাসুুনাকে। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অদম্য মানসিকতাই এনে দিয়েছে অ্যাটলেটিকোর জয়।
রিয়াল মাদ্রিদও তাদের ম্যাচে শুরু থেকে প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে থাকে। কিন্তু প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ফাটল ধরানো তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। তারা প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের পোস্ট লক্ষ্য করে একবারও শট নিতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। চাপ বৃদ্ধি করে রিয়াল ৬৮ মিনিটে গোল আদায় করে নেয়। অল আউট আক্রমণ থেকে গোল করেন ডিফেন্ডার নাচো ফার্নান্ডেজ।
বড় দুই দল জয়ী হলেও একই দিন হেরে গেছে বার্সেলোনা। লিওনেল মেসি গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দিলেও রক্ষণভাগের ব্যর্থতায় তারা তা ধরে রাখতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত পরাজিত হয়েই তাদের মাঠ ছাড়তে হয়। মেসির গোলে লিড নেয়ার পর বার্সেলোনা ব্যবধান বাড়াতে চেষ্টা অব্যাহত রাখে। অপর দিকে সেল্টা ভিগো চেষ্টা করে সমতা ফেরাতে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে স্কয়ার পাস থেকে পেনাল্টি বক্সের ঠিক বাইরে বল পেয়ে সান্তি মিনা সমতা ফেরান। এ সময়ে বলের খুব কাছে থাকা জেরার্ড পিক্ষে গোল প্রতিহত করার কোন চেষ্টাই করেননি। বরং বল যাতে তার হাতে না লাগে সে জন্য তিনি নিজেকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। খেলার শেষ দিকে মিনা করেন জয়সূচক গোল। দূর থেকে স্বতীর্থ এক খেলোয়াড়ের করা ক্রস বারে লেগে সামনে গেলে সেটি জালে পাঠিয়ে বার্সেলোনার বিপক্ষে পূর্ণ তিন পয়েন্ট এনে দেন মিনা।
স্পেনিশ লা লিগা
সোমবার, ১৭ মে ২০২১
শেষ সময়ে লুইস সুয়ারেজের করা গোল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে লা লিগার শিরোপা জয়ের খুব কাছে নিয়ে গেছে। রবিবার তারা ওসাসুনার বিপক্ষে প্রথমে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জয়ী হয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। লিগে তাদের আছে আর একটি ম্যাচ, সেটি জিততে পারলেই সাত বছর পর আর স্পেনিশ লা লিগার শিরোপা জিতবে দিয়েগো সিমেওনির দল। একই নিজেদের ম্যাচে অ্যাটলেটিক ক্লাব বিলবাওকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপার দৌড়ে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে রিয়াল মা্িরদদ। তবে সেল্টা ভিগোর কাছে ২-১ গোলে হেরে বার্সেলোনা বিদায় নিয়েছে লড়াই থেকে।
রবিবার ছিল লা লিগার ৩৭তম রাউন্ডের খেলা। সবগুলো খেলা এদিন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। ৩৬ ম্যাচ থেকে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে খেলা শুরু করে অ্যাটলেটিকো। সমান ম্যাচে রিয়ালের ছিল ৭৮ পয়েন্ট। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ পয়েন্ট নষ্ট করলেই কেবল সুযোগ আসবে রিয়ালের। এমন অবস্থায় রিয়াল তাদের খেলার ৬৮ মিনিটে নাচোর করা গোলে লিড নেয়। অপর দিকে ৭৮ মিনিটে বুডিমির গোল করে এগিয়ে দেন ওসাসুনাকে। ফলে তালিকার শীর্ষে উঠে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ৮২ মিনিটে রেনান লোদি গোল করে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে সমতায় ফেরালে নতুন করে আশার সঞ্চার হয় তাদের। তখনও শীর্ষে ছিল রিয়াল। যদিও সে সময়ে দুই দলের পয়েন্টই ছিল সমান। কিন্তু হেড টু হেড রেকর্ডে এগিয়ে থাকায় রিয়াল ছিল শীর্ষে। কিন্তু ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি বক্সে সৃষ্ট জটলার মধ্য থেকে সুয়ারেজ গোল করলে ম্যাচ জিতে যায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ এবং তারা দুই পয়েন্টের ব্যবধান সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়। তবে রিয়ালের আশা একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। অ্যাটলেটিকো শেষ রাউন্ডে ২৩ মে মুখোমুখি হবে ভায়াদোলিদের। একই দিন নিজেদের মাঠে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ। সে ম্যাচে যদি রিয়াল মাদ্রিদ জয়ী হয় এবং অ্যাটলেটিকো তাদের ম্যাচ জিততে ব্যর্থ হয় তাহলে রিয়াল লিগ শিরোপা ধরে রাখবে। কিন্তু অ্যাটলেটিকো জিতে গেলে আর কোন হিসাব নিকাশ লাগবে না। চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে অ্যাটলেটিকো।
জয়ের কোন বিকল্প না থাকা অ্যাটলেটিকো এ দিন শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে। তারা গোলের সুযোগও তৈরী করে। এমনকি দুইবার বল জালেও পাঠায়, কিন্তু দুইবারও ভিএআর দেখে অফসাইডের কারণে রেফারি গোল বাতিল করে দেন। অপর দিকে অ্যান্টে বুডিমির গোল করে এগিয়ে দেন ওসাসুুনাকে। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অদম্য মানসিকতাই এনে দিয়েছে অ্যাটলেটিকোর জয়।
রিয়াল মাদ্রিদও তাদের ম্যাচে শুরু থেকে প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে থাকে। কিন্তু প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ফাটল ধরানো তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। তারা প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের পোস্ট লক্ষ্য করে একবারও শট নিতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। চাপ বৃদ্ধি করে রিয়াল ৬৮ মিনিটে গোল আদায় করে নেয়। অল আউট আক্রমণ থেকে গোল করেন ডিফেন্ডার নাচো ফার্নান্ডেজ।
বড় দুই দল জয়ী হলেও একই দিন হেরে গেছে বার্সেলোনা। লিওনেল মেসি গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দিলেও রক্ষণভাগের ব্যর্থতায় তারা তা ধরে রাখতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত পরাজিত হয়েই তাদের মাঠ ছাড়তে হয়। মেসির গোলে লিড নেয়ার পর বার্সেলোনা ব্যবধান বাড়াতে চেষ্টা অব্যাহত রাখে। অপর দিকে সেল্টা ভিগো চেষ্টা করে সমতা ফেরাতে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে স্কয়ার পাস থেকে পেনাল্টি বক্সের ঠিক বাইরে বল পেয়ে সান্তি মিনা সমতা ফেরান। এ সময়ে বলের খুব কাছে থাকা জেরার্ড পিক্ষে গোল প্রতিহত করার কোন চেষ্টাই করেননি। বরং বল যাতে তার হাতে না লাগে সে জন্য তিনি নিজেকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। খেলার শেষ দিকে মিনা করেন জয়সূচক গোল। দূর থেকে স্বতীর্থ এক খেলোয়াড়ের করা ক্রস বারে লেগে সামনে গেলে সেটি জালে পাঠিয়ে বার্সেলোনার বিপক্ষে পূর্ণ তিন পয়েন্ট এনে দেন মিনা।