মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়
নজর দিন
বর্তমান যুগ তথ্য ও প্রযুক্তির যুগ। এই যুগে এসে মানুষ নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হতে পেরেছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। যা অতীতে ছিল না। প্রযুক্তির কল্যাণে অগ্রযাত্রায় দিন দিন বেড়েই চলছে মোবাইল ফোনসহ নানা ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার। সবার হাতে শোভা পাচ্ছে নিত্যনতুন ফোন। আর এসব ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস এক সময় নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে, যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে।
দেশে ই-বর্জ্য আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলছে। বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে ৪ লাখ টন ই-বর্জ্য হয়েছে। আশংকা করা হচ্ছে, পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে ১২ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। আর তা রোধ করার জন্য বিভিন্ন সংস্থা উদ্যোগ নিয়েছে এবং বাস্তবায়ন করছে। এমনকি নষ্ট বা পুরনো মোবাইলে টাকার বিনিময় ফেরত নেওয়ার কথা বলেছে বাংলাদেশ মোবাইল ইমপোর্র্টস এসোসিয়েশন। প্রতিবছর বাংলাদেশে চার কোটি মোবাইল নষ্ট হয়। গত কয়েক বছর ধরে প্রায় তিন কোটি হ্যান্ডসেট আমদানি করা হচ্ছে। ফলে এখান থেকে ই-বর্র্জ্য তৈরি হচ্ছে। আর সেটা পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। এসব মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর। যার কারণে, ক্যান্সার পর্যন্ত আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। তাই, ই-বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই পরিকল্পিত পদক্ষেপ। যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে নিয়ম জানা থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পুরনো সামগ্রী ব্যবহার হতে বিরত থাকতে হবে এবং ই-বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে।
মু. সায়েম আহমাদ
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।
সেলফিতে সতর্কতা প্রয়োজন
আজকাল স্মার্টফোনে ‘সেলফি’ তোলা অনেকের নেশা হয়ে গেছে। রাস্তাঘাটে, বাস-ট্রেনে, স্কুল-কলেজে বন্ধুদের আড্ডায়, কোথাও ঘুরতে গেলে, মজার কিছু খেতে গেলেও সেলফি তুলে ফেলছেন। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা আপলোডও করা হচ্ছে। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট ইত্যাদি ভরে যাচ্ছে এসব সেলফিতে। সেলফি তোলার নেশাটা কমবেশি সবারই রয়েছে।
লাইক আর কমেন্টের পেছনে ছুটতে গিয়ে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সেলফি তুলছেন। শুধু অল্প বয়সীরাই নয়, বয়স্ক মানুষও সেলফি-সংস্কৃতির শিকার! তারা জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে সেলফি তুলতে গিয়ে নিহত হন। এমন ভয়ংকর শখের অবশ্যই লাগাম টানা জরুরি। জীবন এক মহামূল্যবান সম্পদ। প্রত্যেকের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে পরিবার ও সমাজ। অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুতে পুরো পরিবারে দুর্ভোগ নেমে আসে। সেলফির নেশা এতই ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর লাগাম টানতে গণমাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আল-আমিন আহমেদ
শিক্ষার্থী, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ
লাগামহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার
পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে দেশের আনাচে-কানাচে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগের কোন নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে নেই ন্যূনতম স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগরই নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। নেই ডিউটি ডাক্তার, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান, ওয়ার্ডবয়, আয়া, ক্লিনারসহ প্রয়োজনীয় জনবল। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ভবনের এক কোনায় ২-১ একটা রুম নিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে প্রতারণার জাল পেতে বসে থাকে কর্তৃপক্ষ। সেখানে থাকে না কোন ইনস্ট্রুমেন্ট রুম, ওয়েটিং রুম, এমনকি ডাক্তার, নার্সদের জন্য ও থাকে না কোন রুম।
রুগীরা প্রতিনিয়তই হয়রানির শিকার হচ্ছেন মালিকপক্ষ দ্বারা। ত্রুটিপূর্ণ মেশিন দিয়ে করা হচ্ছে পরীক্ষা, দেয়া হচ্ছে ভুল রিপোর্ট দিয়ে নেয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা। এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই কোন মানসম্মত ডাক্তার। ডিপ্লোমাধারী নার্সের পরিবর্তে কাজ চালাচ্ছে সাধারণ মানুষ দিয়ে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে দেশের স্বাস্থ্য খাত ধ্বংসের মুখে ধসে পড়বে। এমনকি এ করোনা মহামারীতেও নেই কর্তৃপক্ষের কোন নজরদারি। স্বাভাবিকভাবেই চলছে সব কার্যক্রম। অপরদিকে চরম ঝুঁকির মুখে পড়ছেন জনগণ। এমতাবস্থায় যথাযথ পদক্ষেপের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
হাচান মাহমুদ শুভ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০২০
ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়
নজর দিন
বর্তমান যুগ তথ্য ও প্রযুক্তির যুগ। এই যুগে এসে মানুষ নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হতে পেরেছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। যা অতীতে ছিল না। প্রযুক্তির কল্যাণে অগ্রযাত্রায় দিন দিন বেড়েই চলছে মোবাইল ফোনসহ নানা ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার। সবার হাতে শোভা পাচ্ছে নিত্যনতুন ফোন। আর এসব ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস এক সময় নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে, যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে।
দেশে ই-বর্জ্য আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলছে। বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে ৪ লাখ টন ই-বর্জ্য হয়েছে। আশংকা করা হচ্ছে, পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে ১২ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। আর তা রোধ করার জন্য বিভিন্ন সংস্থা উদ্যোগ নিয়েছে এবং বাস্তবায়ন করছে। এমনকি নষ্ট বা পুরনো মোবাইলে টাকার বিনিময় ফেরত নেওয়ার কথা বলেছে বাংলাদেশ মোবাইল ইমপোর্র্টস এসোসিয়েশন। প্রতিবছর বাংলাদেশে চার কোটি মোবাইল নষ্ট হয়। গত কয়েক বছর ধরে প্রায় তিন কোটি হ্যান্ডসেট আমদানি করা হচ্ছে। ফলে এখান থেকে ই-বর্র্জ্য তৈরি হচ্ছে। আর সেটা পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। এসব মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর। যার কারণে, ক্যান্সার পর্যন্ত আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। তাই, ই-বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই পরিকল্পিত পদক্ষেপ। যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে নিয়ম জানা থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পুরনো সামগ্রী ব্যবহার হতে বিরত থাকতে হবে এবং ই-বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে।
মু. সায়েম আহমাদ
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।
সেলফিতে সতর্কতা প্রয়োজন
আজকাল স্মার্টফোনে ‘সেলফি’ তোলা অনেকের নেশা হয়ে গেছে। রাস্তাঘাটে, বাস-ট্রেনে, স্কুল-কলেজে বন্ধুদের আড্ডায়, কোথাও ঘুরতে গেলে, মজার কিছু খেতে গেলেও সেলফি তুলে ফেলছেন। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা আপলোডও করা হচ্ছে। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট ইত্যাদি ভরে যাচ্ছে এসব সেলফিতে। সেলফি তোলার নেশাটা কমবেশি সবারই রয়েছে।
লাইক আর কমেন্টের পেছনে ছুটতে গিয়ে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সেলফি তুলছেন। শুধু অল্প বয়সীরাই নয়, বয়স্ক মানুষও সেলফি-সংস্কৃতির শিকার! তারা জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে সেলফি তুলতে গিয়ে নিহত হন। এমন ভয়ংকর শখের অবশ্যই লাগাম টানা জরুরি। জীবন এক মহামূল্যবান সম্পদ। প্রত্যেকের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে পরিবার ও সমাজ। অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুতে পুরো পরিবারে দুর্ভোগ নেমে আসে। সেলফির নেশা এতই ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর লাগাম টানতে গণমাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আল-আমিন আহমেদ
শিক্ষার্থী, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ
লাগামহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার
পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে দেশের আনাচে-কানাচে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগের কোন নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে নেই ন্যূনতম স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগরই নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। নেই ডিউটি ডাক্তার, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান, ওয়ার্ডবয়, আয়া, ক্লিনারসহ প্রয়োজনীয় জনবল। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ভবনের এক কোনায় ২-১ একটা রুম নিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে প্রতারণার জাল পেতে বসে থাকে কর্তৃপক্ষ। সেখানে থাকে না কোন ইনস্ট্রুমেন্ট রুম, ওয়েটিং রুম, এমনকি ডাক্তার, নার্সদের জন্য ও থাকে না কোন রুম।
রুগীরা প্রতিনিয়তই হয়রানির শিকার হচ্ছেন মালিকপক্ষ দ্বারা। ত্রুটিপূর্ণ মেশিন দিয়ে করা হচ্ছে পরীক্ষা, দেয়া হচ্ছে ভুল রিপোর্ট দিয়ে নেয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা। এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই কোন মানসম্মত ডাক্তার। ডিপ্লোমাধারী নার্সের পরিবর্তে কাজ চালাচ্ছে সাধারণ মানুষ দিয়ে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে দেশের স্বাস্থ্য খাত ধ্বংসের মুখে ধসে পড়বে। এমনকি এ করোনা মহামারীতেও নেই কর্তৃপক্ষের কোন নজরদারি। স্বাভাবিকভাবেই চলছে সব কার্যক্রম। অপরদিকে চরম ঝুঁকির মুখে পড়ছেন জনগণ। এমতাবস্থায় যথাযথ পদক্ষেপের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
হাচান মাহমুদ শুভ