alt

মতামত » চিঠিপত্র

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

ফেব্রুয়ারি এলেই ঢাকার বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এক ভিন্ন আবহে সেজে ওঠে। সারাদেশের পাঠক, লেখক, প্রকাশক এবং সংস্কৃতিমনা মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে প্রাণের মেলাÑ অমর একুশে বইমেলা। একদিকে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবাহী মাস, অন্যদিকে নতুন বইয়ের ঘ্রাণÑএই দুইয়ের সমন্বয়ে একুশে বইমেলা হয়ে ওঠে বাঙালির আবেগের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি শুধু বই কেনাবেচার মেলা নয়, বরং এটি আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতির এক বিশাল উৎসব, যেখানে কেবল পাঠক-লেখকদের মিলনই ঘটে না, বরং একটি জাতির সৃজনশীলতা ও মননশীলতার প্রতিফলন ঘটে।

বইমেলার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এটি শুধু বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আয়োজিত মেলা নয়, বরং একটি আদর্শিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতা। একুশে ফেব্রুয়ারির আত্মত্যাগের চেতনাকে ধারণ করেই এই মেলা গড়ে উঠেছে, যেখানে ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি মানুষের ভালোবাসা গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়। এখানে নানা ধরনের বই প্রকাশিত হয়Ñ কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, গবেষণা, শিশুতোষ সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাসসহ নানা বিষয়ে বই পাওয়া যায়। ফলে পাঠকের চাহিদা ও রুচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মেলাটিও ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে।

একুশে বইমেলা কেবল একটি বা দুইটি প্রজন্মের জন্য নয়, এটি বাঙালির সার্বজনীন উৎসব। এটি শুধু বই কেনাবেচার স্থান নয়, বরং এটি একটি চেতনার নাম, যা আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে। বাংলা ভাষার বিকাশ, নতুন লেখকদের উত্থান, পাঠকদের বইয়ের প্রতি ভালোবাসাÑ সবকিছু মিলিয়ে এই মেলা হয়ে উঠেছে একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন, যা যুগ যুগ ধরে আমাদের সাহিত্যের পথচলা সমৃদ্ধ করে চলেছে।

নবাব শাহজাদা

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

হেমন্ত আসে হিম কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে

জীবনের অভিধানে প্রবীণদের স্থান কোথায়?

নীরবতা নয়, বলতে শেখ

সুন্দরবনে টেকসই পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ও করণীয়

প্রথার নামে প্রথাগত শোষণ: উচ্চ কাবিনের ফাঁদ

শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা

মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক জায়ান্টদের মাস্টার প্ল্যান

গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু কেন কেবলই সংখ্যা?

বাল্যবিয়ে: সমাজের এক নীরব অভিশাপ

মনোস্বাস্থ্যের সংকটে তরুণরা: নীরবতার আড়ালে এক ভয়াবহ বাস্তবতা

ধূমপানের প্রভাব

ইসলামী ব্যাংকগুলোতে সার্ভিস রুল অনুযায়ী নিয়োগ

শিশুর হাতে মোবাইল নয়, চাই জীবনের মাঠে ফেরার ডাক

মতিঝিল-গুলিস্তান রুটে চক্রাকার বাস সার্ভিস : শৃঙ্খল ও স্বস্তির সম্ভাবনা

ভাঙ্গা-খুলনা সড়ক দ্রুত চার লেনে উন্নীত করুন

ডিজিটাল উপনিবেশ : অদৃশ্য শৃঙ্খলের শাসন

বাউফল থেকে লোহালিয়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা

পরিবেশ বিপর্যয়ের অজানা মুখ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

tab

মতামত » চিঠিপত্র

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ফেব্রুয়ারি এলেই ঢাকার বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এক ভিন্ন আবহে সেজে ওঠে। সারাদেশের পাঠক, লেখক, প্রকাশক এবং সংস্কৃতিমনা মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে প্রাণের মেলাÑ অমর একুশে বইমেলা। একদিকে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবাহী মাস, অন্যদিকে নতুন বইয়ের ঘ্রাণÑএই দুইয়ের সমন্বয়ে একুশে বইমেলা হয়ে ওঠে বাঙালির আবেগের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি শুধু বই কেনাবেচার মেলা নয়, বরং এটি আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতির এক বিশাল উৎসব, যেখানে কেবল পাঠক-লেখকদের মিলনই ঘটে না, বরং একটি জাতির সৃজনশীলতা ও মননশীলতার প্রতিফলন ঘটে।

বইমেলার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এটি শুধু বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আয়োজিত মেলা নয়, বরং একটি আদর্শিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতা। একুশে ফেব্রুয়ারির আত্মত্যাগের চেতনাকে ধারণ করেই এই মেলা গড়ে উঠেছে, যেখানে ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি মানুষের ভালোবাসা গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়। এখানে নানা ধরনের বই প্রকাশিত হয়Ñ কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, গবেষণা, শিশুতোষ সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাসসহ নানা বিষয়ে বই পাওয়া যায়। ফলে পাঠকের চাহিদা ও রুচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মেলাটিও ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে।

একুশে বইমেলা কেবল একটি বা দুইটি প্রজন্মের জন্য নয়, এটি বাঙালির সার্বজনীন উৎসব। এটি শুধু বই কেনাবেচার স্থান নয়, বরং এটি একটি চেতনার নাম, যা আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে। বাংলা ভাষার বিকাশ, নতুন লেখকদের উত্থান, পাঠকদের বইয়ের প্রতি ভালোবাসাÑ সবকিছু মিলিয়ে এই মেলা হয়ে উঠেছে একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন, যা যুগ যুগ ধরে আমাদের সাহিত্যের পথচলা সমৃদ্ধ করে চলেছে।

নবাব শাহজাদা

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।

back to top