মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
অ্যাসাইনমেন্ট পেপারের দাম বৃদ্ধি রোধ করতে হবে
কোভিড১৯ এর প্রার্দুভাবে মার্চের ১৬ তারিখ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। করোনাভাইরাস থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে এবং শিক্ষা কার্যক্রম যথারীতি চলমান রাখতে অনলাইনে পাঠদান করা হয়। শিক্ষাবর্ষ প্রায় শেষের দিকে এজন্য শ্রেণী পরিবর্তনের জন্য বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু কোভিড ১৯-এর প্রাদুর্ভাব থাকায় অ্যাসাইনমেন্টের জমা নেয়ার মাধ্যম মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গ্রাম-অঞ্চলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অনেকে অ্যাসাইনমেন্ট কি তাও ঠিক মতো জানে না। এই সুযোগে গ্রাম আঞ্চলের কিছু প্রতিষ্ঠান যেন সব দায়িত্ব সাধারণ দোকানদারদের ওপর ন্যস্ত করে দিয়েছে। শিক্ষকগণ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের একটি নির্দিষ্ট দোকানের ঠিকানা দিয়ে দিচ্ছে। সেই দোকানেই উক্ত প্রতিষ্ঠানের সিলেবাস সংগ্রহ এবং অ্যাসাইনমেন্টের কভার পেজের ডিজাইন তারাই নির্ধারণ করছে।
মফস্বল অঞ্চলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক অসচেতন হওয়ায় তারাও বিষয়গুলো ঠিক ঠিক বুঝতে পারে না। ফলে নির্দিষ্ট দোকানে গিয়ে ভিড় করছে। কেননা শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষক বুঝিয়েছেন ওই নির্দিষ্ট দোকান ছাড়া অন্য জায়গা থেকে অ্যাসাইনমেন্ট পেপার নিলে তা যথাযথ হবে না। শিক্ষার্থীদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে অসাধু দোকানদার সাধারণ একটি অফসেট পেপারের মূল্য রাখছে দুই টাকার বেশি। এনমকি কয়েক পৃষ্ঠা ফটোকপি সিলেবাসের সঙ্গে ১০-১৫টি এ-৪ সাইজের পৃষ্ঠা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে শত টাকার বেশি। সাধারণ অভিভাবকগণ সঠিক মূল্য না জানার কারণে তাদের এমন অনৈতিক অচরণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই শ্রেণীর লোক সর্বদা থেকে যাচ্ছে কতৃপক্ষের নজরের বাইরে। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রশাসনের দৃষ্টি দেয়া জরুরি।
রাকিব হাসান
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০
অ্যাসাইনমেন্ট পেপারের দাম বৃদ্ধি রোধ করতে হবে
কোভিড১৯ এর প্রার্দুভাবে মার্চের ১৬ তারিখ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। করোনাভাইরাস থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে এবং শিক্ষা কার্যক্রম যথারীতি চলমান রাখতে অনলাইনে পাঠদান করা হয়। শিক্ষাবর্ষ প্রায় শেষের দিকে এজন্য শ্রেণী পরিবর্তনের জন্য বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু কোভিড ১৯-এর প্রাদুর্ভাব থাকায় অ্যাসাইনমেন্টের জমা নেয়ার মাধ্যম মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গ্রাম-অঞ্চলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অনেকে অ্যাসাইনমেন্ট কি তাও ঠিক মতো জানে না। এই সুযোগে গ্রাম আঞ্চলের কিছু প্রতিষ্ঠান যেন সব দায়িত্ব সাধারণ দোকানদারদের ওপর ন্যস্ত করে দিয়েছে। শিক্ষকগণ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের একটি নির্দিষ্ট দোকানের ঠিকানা দিয়ে দিচ্ছে। সেই দোকানেই উক্ত প্রতিষ্ঠানের সিলেবাস সংগ্রহ এবং অ্যাসাইনমেন্টের কভার পেজের ডিজাইন তারাই নির্ধারণ করছে।
মফস্বল অঞ্চলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক অসচেতন হওয়ায় তারাও বিষয়গুলো ঠিক ঠিক বুঝতে পারে না। ফলে নির্দিষ্ট দোকানে গিয়ে ভিড় করছে। কেননা শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষক বুঝিয়েছেন ওই নির্দিষ্ট দোকান ছাড়া অন্য জায়গা থেকে অ্যাসাইনমেন্ট পেপার নিলে তা যথাযথ হবে না। শিক্ষার্থীদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে অসাধু দোকানদার সাধারণ একটি অফসেট পেপারের মূল্য রাখছে দুই টাকার বেশি। এনমকি কয়েক পৃষ্ঠা ফটোকপি সিলেবাসের সঙ্গে ১০-১৫টি এ-৪ সাইজের পৃষ্ঠা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে শত টাকার বেশি। সাধারণ অভিভাবকগণ সঠিক মূল্য না জানার কারণে তাদের এমন অনৈতিক অচরণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই শ্রেণীর লোক সর্বদা থেকে যাচ্ছে কতৃপক্ষের নজরের বাইরে। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রশাসনের দৃষ্টি দেয়া জরুরি।
রাকিব হাসান