alt

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : সমাজ বদলাতে নারীকে সম্মান করুন

: রোববার, ০৭ মার্চ ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সমাজ বদলাতে নারীকে সম্মান করুন

নারী! দুই অক্ষরের একটি শব্দ হলেও রয়েছে বিভিন্ন রূপ। নারী কখনও মা , কখনও স্ত্রী, কখনো মেয়ে, আবার কখনও বোন রূপে ও অন্যান্য সম্পর্কে বিরাজ করে সমাজে। এ পৃথিবীতে যা কিছু সৃষ্টি ও কল্যাণকর রয়েছে, তাতে নারী ও পুরুষের সমান অবদান রয়েছে। নারী মানে এক সম্ভাবনাময় শক্তি যারা সভ্যতার বিকাশে নানাভাবে ভূমিকা রেখে আসছে। কিন্তু নারীদের এসব অবদান আমরা যেনো ভুলতে বসেছি। তাদের প্রতিনিয়তই অসম্মান, নির্যাতনের স্বীকার হতে হচ্ছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন নারীই যেন নিরাপদ নন। শিশু থেকে বৃদ্ধা কেউই নিরাপত্তা পাচ্ছেন না। পাচ্ছেন না পর্যাপ্ত সম্মান। কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, পাবলিক পরিবহন এমনকি নিজের ঘরেও নারীরা অসম্মানিত হচ্ছেন। নারীদের যৌন হয়রানির মতো ঘটনাতো দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। তাদের কর্মস্থলে, পাবলিক পরিবহনসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো জায়গায় যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য শুধু কঠোর আইন প্রয়োগ, পারিবারিক ও নৈতিক শিক্ষার প্রসার, সচেতনতাই যথেষ্ট নয়। বাড়াতে হবে নারীদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা। কোন বিশেষ দিনে শুধু নয়, নারীকে সম্মান করতে হবে ৩৬৫ দিনই। নারীরা আজও তাদের প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছেন না বলে, এখনও অবহেলিত হয়। আজও পরিবারে কন্যা সন্তানের চেয়ে প্রাধান্য দেয়া হয় ছেলে সন্তানকে। পরিবারে একটা ছেলেকে যেভাবে মানসিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা দেয়া হয়, একটা মেয়ে শিশুকে সেভাবে দেয়া হয় না। অথচ পুরুষের ন্যায় মেয়েরাও আজ সমানতালে সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ঘর সামলে ইটভাটা থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, ব্যাংকসহ বিভিন্ন কর্মস্থলে নারীরা নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে। শুধু ঘরের বাইরেই নয়, সব বৈষম্য নিরসন করে ঘরেও নারীর সম্মান বজায় রাখতে হবে। তবেই পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সম্ভাবনাময় শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের উন্নতি ত্বরান্বিত হবে। পারিবারিক শিক্ষা একটি মানুষের জীবনের শিক্ষার মূলভিত্তি গড়ে তোলে, যাকে আমরা প্রথম স্কুলও বলে থাকি। আর সেই প্রথম স্কুলের শিক্ষক হলেন একজন মা। একজন মা-ই পারেন তার সন্তানকে সুশিক্ষা দিয়ে সমাজ ও দেশের পক্ষে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করতে। যখন আমরা সেই মাকে নিরাপত্তা দিবো, যখন সেই মাকে সম্মান করতে শিখব তখন তিনিও তার দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তাশক্তি কে সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগাতে পারবেন। আর তার সন্তানকে তৈরি করতে পারবেন সমাজ বদলানোর হাতিয়ার হিসেবে।

তাই মাতৃত্ব বা নারীত্বের সম্মান সমগ্র সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমাদেরকে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে, তাকে যোগ্য সম্মান দিতে হবে, তাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে হবে। তবেই সমাজের সব কালো ভাবনা দূর হবে এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বহুদূর, পৌঁছাবে উন্নতির চরম শিখরে।

সুমনা আক্তার

শিক্ষার্থী, তৃতীয় বর্ষ, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : সমাজ বদলাতে নারীকে সম্মান করুন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ০৭ মার্চ ২০২১

সমাজ বদলাতে নারীকে সম্মান করুন

নারী! দুই অক্ষরের একটি শব্দ হলেও রয়েছে বিভিন্ন রূপ। নারী কখনও মা , কখনও স্ত্রী, কখনো মেয়ে, আবার কখনও বোন রূপে ও অন্যান্য সম্পর্কে বিরাজ করে সমাজে। এ পৃথিবীতে যা কিছু সৃষ্টি ও কল্যাণকর রয়েছে, তাতে নারী ও পুরুষের সমান অবদান রয়েছে। নারী মানে এক সম্ভাবনাময় শক্তি যারা সভ্যতার বিকাশে নানাভাবে ভূমিকা রেখে আসছে। কিন্তু নারীদের এসব অবদান আমরা যেনো ভুলতে বসেছি। তাদের প্রতিনিয়তই অসম্মান, নির্যাতনের স্বীকার হতে হচ্ছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন নারীই যেন নিরাপদ নন। শিশু থেকে বৃদ্ধা কেউই নিরাপত্তা পাচ্ছেন না। পাচ্ছেন না পর্যাপ্ত সম্মান। কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, পাবলিক পরিবহন এমনকি নিজের ঘরেও নারীরা অসম্মানিত হচ্ছেন। নারীদের যৌন হয়রানির মতো ঘটনাতো দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। তাদের কর্মস্থলে, পাবলিক পরিবহনসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো জায়গায় যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য শুধু কঠোর আইন প্রয়োগ, পারিবারিক ও নৈতিক শিক্ষার প্রসার, সচেতনতাই যথেষ্ট নয়। বাড়াতে হবে নারীদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা। কোন বিশেষ দিনে শুধু নয়, নারীকে সম্মান করতে হবে ৩৬৫ দিনই। নারীরা আজও তাদের প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছেন না বলে, এখনও অবহেলিত হয়। আজও পরিবারে কন্যা সন্তানের চেয়ে প্রাধান্য দেয়া হয় ছেলে সন্তানকে। পরিবারে একটা ছেলেকে যেভাবে মানসিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা দেয়া হয়, একটা মেয়ে শিশুকে সেভাবে দেয়া হয় না। অথচ পুরুষের ন্যায় মেয়েরাও আজ সমানতালে সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ঘর সামলে ইটভাটা থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, ব্যাংকসহ বিভিন্ন কর্মস্থলে নারীরা নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে। শুধু ঘরের বাইরেই নয়, সব বৈষম্য নিরসন করে ঘরেও নারীর সম্মান বজায় রাখতে হবে। তবেই পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সম্ভাবনাময় শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের উন্নতি ত্বরান্বিত হবে। পারিবারিক শিক্ষা একটি মানুষের জীবনের শিক্ষার মূলভিত্তি গড়ে তোলে, যাকে আমরা প্রথম স্কুলও বলে থাকি। আর সেই প্রথম স্কুলের শিক্ষক হলেন একজন মা। একজন মা-ই পারেন তার সন্তানকে সুশিক্ষা দিয়ে সমাজ ও দেশের পক্ষে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করতে। যখন আমরা সেই মাকে নিরাপত্তা দিবো, যখন সেই মাকে সম্মান করতে শিখব তখন তিনিও তার দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তাশক্তি কে সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগাতে পারবেন। আর তার সন্তানকে তৈরি করতে পারবেন সমাজ বদলানোর হাতিয়ার হিসেবে।

তাই মাতৃত্ব বা নারীত্বের সম্মান সমগ্র সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমাদেরকে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে, তাকে যোগ্য সম্মান দিতে হবে, তাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে হবে। তবেই সমাজের সব কালো ভাবনা দূর হবে এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বহুদূর, পৌঁছাবে উন্নতির চরম শিখরে।

সুমনা আক্তার

শিক্ষার্থী, তৃতীয় বর্ষ, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

back to top