alt

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে

: শুক্রবার, ০২ এপ্রিল ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে

সাম্প্রতিক সময়ে করোনার নতুন স্ট্রেইন বা ধরন দেখা গেছে বাংলাদেশে। এ নিয়ে বেশ শঙ্কায় আছে মানুষ। নতুন এই ধরন আগের চেয়ে ৭০ ভাগ বেশি শক্তিশালী এবং দ্রুত মানুষকে সংক্রমিত করে বলে জানা যায়। অন্যদিকে তরুণদের একটি বড় অংশ বেশি সংক্রমিত হচ্ছে বর্তমান সময়ে। ব্রিটেনে এর প্রভাব সম্পর্কে আমরা জেনেছি। শুধু ব্রিটেনে নয় ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ প্রায় ৮৩টি দেশে করোনার নতুন স্ট্রেইন বা ধরন ছড়িয়ে পড়ছে। নতুন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনার বিকল্প নেই। সচেতনার কিছু জায়গা আমরা বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখতে পারিঃ

১) তিন স্তরবিশিষ্ট মাস্ক ব্যবহার করতে পারি। সার্জিক্যাল মাস্কের ব্যবহারও করতে পারি তবে তা একবার ব্যবহার করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে একসঙ্গে দুটি মাস্কের ব্যবহার করা যাবে না, এর ফলে দুই মাস্কের মাঝে ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা থাকে।

২) হাঁচি, কাশি দেয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখতে হবে, নয়তো হাঁচি, কাশি দেয়ার পরে কোনো ব্যক্তি ও বস্তুর সংস্পর্শে যাওয়া যাবে না। নাহলে ড্রপলেটের মাধ্যমে অন্যকে সংক্রমিত করবে।

৩) যে কোন কাজের পূর্বে হ্যান্ড স্যানিটাজার অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে এবং ব্যবহার শেষে নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে নয়তো দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকবে।

৪) সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে। বাইরে থেকে আসার পরে এবং খাবার গ্রহণের পূর্বে হাতের প্রতিটি অংশ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

৫) পাবলিক ট্রান্সপোর্টে প্রয়োজন ছাড়া কোন বস্তু স্পর্শ করবো না।

৬) হ্যান্ডসেক থেকে বিরত থাকতে হবে। করোনা ছোঁয়াচে রোগ না হলেও পরোক্ষভাবে বললে এক প্রকার ছোঁয়াচে রোগ বলা যায়। সংক্রমিত কোনো ব্যক্তির শরীরে ড্রপলেট ছড়িয়ে থাকলে তাকে স্পর্শ করার মাধ্যমেও শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে, সুতরাং বেশ সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে।

৭) মাছ, ডিম এবং মাংস খাবার পূর্বে যথাযথভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে। খাবার মাধ্যমেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

৮) মানুষের মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্বতা ৩-৬ ফুট রেখে চলাচল করতে হবে। এতে মানুষের যে কোন জলীয়কতা থেকে দুরে থাকা যাবে।

৯) কোন কারণ ছাড়াই দেশের মধ্যে কিংবা দেশের বাইরে ভ্রমণে বিরত থাকতে হবে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী গতি মাথায় রেখে পাবলিক জনসমাগম ঘটে- মেলা, অনুষ্ঠান, উৎসব ইত্যাদি এমন চলমান সব কিছু বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।

আমরা খুব সল্প সময়ের মধ্যেই ভ্যাকসিন নিতে সক্ষম হয়েছি। অনেক মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছে। অনেকে সুস্থ আছেন। কেউ কেউ আবার ভ্যাকসিন দেয়ার কিছু দিনের মধ্যেই করোনা সংক্রমিত হয়েছে। এতে ভয়ের কিছু নেই। শরীরে এন্টিবডি তৈরি হবার জন্য ১৪-২১ দিন সময়ের প্রয়োজন। তাছাড়া এখনও ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া বাকি। যারা প্রথম ডোজ দিয়েছেন তাদেরও সতর্ক থেকে চলাচল করতে হবে। কারণ ভ্যাকসিন নিলেই করোনা চলে যাবে এমন ভ্রান্ত ধারণা রাখা যাবে না। সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে, ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য সবাইকে উৎসাহিত করার প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণের ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এতে করে কেউ করোনা সংক্রমিত হলেও তার ঝুঁকি বেশি গুরুতর বা ভয়ের হবে না।

কাব্য সাহা

সম্পদের সুষম বণ্টন

বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করছে। গত দুই দশকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নের যে কোনো সূচকের বিচারে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, দেশে প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়লেও ধনী-গরিব বৈষম্য বেড়েছে। গরিব আরও গরিব হচ্ছে, ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে। ব্রিটেনের ওয়েলথ এক্স ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, বিশ্বে অতি ধনী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বাড়ছে বাংলাদেশেই। প্রবৃদ্ধির সুফল সমানভাবে সবাই পাচ্ছেন না।

বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম স্বপ্ন ছিল একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার, যেখানে থাকবে না ঘুষ-দুর্নীতি, অনাচার, কুসংস্কার ও ধর্মীয় মতভেদ। তিনি একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, বাঙালিকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। অতএব কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে প্রয়োজন সম্পদ ও উন্নয়নের সুষম বণ্টন।

আতহার নূর

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ০২ এপ্রিল ২০২১

করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে

সাম্প্রতিক সময়ে করোনার নতুন স্ট্রেইন বা ধরন দেখা গেছে বাংলাদেশে। এ নিয়ে বেশ শঙ্কায় আছে মানুষ। নতুন এই ধরন আগের চেয়ে ৭০ ভাগ বেশি শক্তিশালী এবং দ্রুত মানুষকে সংক্রমিত করে বলে জানা যায়। অন্যদিকে তরুণদের একটি বড় অংশ বেশি সংক্রমিত হচ্ছে বর্তমান সময়ে। ব্রিটেনে এর প্রভাব সম্পর্কে আমরা জেনেছি। শুধু ব্রিটেনে নয় ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ প্রায় ৮৩টি দেশে করোনার নতুন স্ট্রেইন বা ধরন ছড়িয়ে পড়ছে। নতুন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনার বিকল্প নেই। সচেতনার কিছু জায়গা আমরা বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখতে পারিঃ

১) তিন স্তরবিশিষ্ট মাস্ক ব্যবহার করতে পারি। সার্জিক্যাল মাস্কের ব্যবহারও করতে পারি তবে তা একবার ব্যবহার করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে একসঙ্গে দুটি মাস্কের ব্যবহার করা যাবে না, এর ফলে দুই মাস্কের মাঝে ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা থাকে।

২) হাঁচি, কাশি দেয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখতে হবে, নয়তো হাঁচি, কাশি দেয়ার পরে কোনো ব্যক্তি ও বস্তুর সংস্পর্শে যাওয়া যাবে না। নাহলে ড্রপলেটের মাধ্যমে অন্যকে সংক্রমিত করবে।

৩) যে কোন কাজের পূর্বে হ্যান্ড স্যানিটাজার অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে এবং ব্যবহার শেষে নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে নয়তো দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকবে।

৪) সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে। বাইরে থেকে আসার পরে এবং খাবার গ্রহণের পূর্বে হাতের প্রতিটি অংশ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

৫) পাবলিক ট্রান্সপোর্টে প্রয়োজন ছাড়া কোন বস্তু স্পর্শ করবো না।

৬) হ্যান্ডসেক থেকে বিরত থাকতে হবে। করোনা ছোঁয়াচে রোগ না হলেও পরোক্ষভাবে বললে এক প্রকার ছোঁয়াচে রোগ বলা যায়। সংক্রমিত কোনো ব্যক্তির শরীরে ড্রপলেট ছড়িয়ে থাকলে তাকে স্পর্শ করার মাধ্যমেও শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে, সুতরাং বেশ সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে।

৭) মাছ, ডিম এবং মাংস খাবার পূর্বে যথাযথভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে। খাবার মাধ্যমেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

৮) মানুষের মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্বতা ৩-৬ ফুট রেখে চলাচল করতে হবে। এতে মানুষের যে কোন জলীয়কতা থেকে দুরে থাকা যাবে।

৯) কোন কারণ ছাড়াই দেশের মধ্যে কিংবা দেশের বাইরে ভ্রমণে বিরত থাকতে হবে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী গতি মাথায় রেখে পাবলিক জনসমাগম ঘটে- মেলা, অনুষ্ঠান, উৎসব ইত্যাদি এমন চলমান সব কিছু বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।

আমরা খুব সল্প সময়ের মধ্যেই ভ্যাকসিন নিতে সক্ষম হয়েছি। অনেক মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছে। অনেকে সুস্থ আছেন। কেউ কেউ আবার ভ্যাকসিন দেয়ার কিছু দিনের মধ্যেই করোনা সংক্রমিত হয়েছে। এতে ভয়ের কিছু নেই। শরীরে এন্টিবডি তৈরি হবার জন্য ১৪-২১ দিন সময়ের প্রয়োজন। তাছাড়া এখনও ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া বাকি। যারা প্রথম ডোজ দিয়েছেন তাদেরও সতর্ক থেকে চলাচল করতে হবে। কারণ ভ্যাকসিন নিলেই করোনা চলে যাবে এমন ভ্রান্ত ধারণা রাখা যাবে না। সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে, ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য সবাইকে উৎসাহিত করার প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণের ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এতে করে কেউ করোনা সংক্রমিত হলেও তার ঝুঁকি বেশি গুরুতর বা ভয়ের হবে না।

কাব্য সাহা

সম্পদের সুষম বণ্টন

বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করছে। গত দুই দশকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নের যে কোনো সূচকের বিচারে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, দেশে প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়লেও ধনী-গরিব বৈষম্য বেড়েছে। গরিব আরও গরিব হচ্ছে, ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে। ব্রিটেনের ওয়েলথ এক্স ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, বিশ্বে অতি ধনী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বাড়ছে বাংলাদেশেই। প্রবৃদ্ধির সুফল সমানভাবে সবাই পাচ্ছেন না।

বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম স্বপ্ন ছিল একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার, যেখানে থাকবে না ঘুষ-দুর্নীতি, অনাচার, কুসংস্কার ও ধর্মীয় মতভেদ। তিনি একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, বাঙালিকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। অতএব কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে প্রয়োজন সম্পদ ও উন্নয়নের সুষম বণ্টন।

আতহার নূর

back to top