মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
ইভটিজিং
ইভটিজিং বর্তমান সমাজে মারাত্মক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকাল নারীদের রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রেও ইভটিজিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে। ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে অনেক মেয়ে ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ বা আত্মহনন পর্যন্ত করে। মাঝে ইভ টিজিং রোধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে সামাজিক ঐকমত্য দেখা যাচ্ছে না।
রাস্তাঘাটে, বিভিন্ন যানবাহনে, নারীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়। এসব অশালীন আচরণ এর মধ্যে রয়েছে, শিস দেয়া, কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দেয়া, গান গাওয়া, পোশাক নিয়ে বাজে মন্তব্য করা, যানবাহনে নারীদের শরীর ঘেঁষে বসা ইত্যাদি। এই ইভটিজিং এর কারণে নারীরা সমাজে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে না।
মূলত সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা, রাজনৈতিকভাবে সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা, অশিক্ষা, কুশিক্ষা, বেকারত্বের হার বৃদ্ধি, আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার ও সুষ্ঠু প্রয়োগ না করাসহ নানা কারণে ইভটিজিং বেড়ে চলেছে। ইভ টিজাররা অপরাধ করেও বারবার পার পেয়ে যাওয়ার কারণে আবারও ইভটিজিংয়ে জড়িয়ে পড়ে। এ জন্য আমাদের সামাজিক অব্যবস্থা অনেকাংশে দায়ী।
সম্প্রতি সরকার ইভটিজিংয়ের প্রতিকার ও প্রতিরোধের জন্য আইন পাস করেছে, যাতে অর্থদন্ডের পাশাপাশি কারাদন্ডেরও বিধান রাখা হয়েছে। যদি এ আইনটির সুষ্ঠু প্রয়োগ করা হয়, তাহলে আশা করা যায়, অচিরেই সমাজ থেকে ব্যাধিটি দূর করা সম্ভব হবে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে হবে।
জাফরুল ইসলাম
শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ছিন্নমূল মানসিক ভারসাম্যহীনদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে
রাজধানীসহ দেশের নানা প্রান্তে অসংখ্য ছিন্নমূল মানুষ বসবাস করছে। খোলা আকাশের নিচে বিভিন্ন স্টেশন, ফুটপাত ও পার্কে এসব ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষের ভবিষ্যতহীন জীবন পার হচ্ছে। আর এই ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর মধ্যে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা মানসিক ভারসাম্যহীন। প্রচলিত অর্থে এরা আমাদের কাছে পাগলরুপে আবির্ভূত হয়। আবার, অনেক মানসিক ভারসাম্যহীন লোক দুর্ভাগ্যবশত পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ঘুরে ফিরে। ছিন্নমূল বলে এসব মানসিক ভারসাম্যহীন লোকজন সমাজের মানবিক অংশের সান্নিধ্য খুব একটা পায় না। রাস্তার পাশের ডাস্টবিন কিংবা নর্দমা ঘেঁটে এরা নিজেদের জীবন যেমন হুমকির মুখে ফেলে। তেমনি সাধারণ মানুষের বিরক্তি ও দুর্ভোগের কারণ হয়। অনেক সময় ব্যস্ত সড়কের মাঝে অবস্থান করে এরা সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা বৃদ্ধি করে। মানসিক ভারসাম্যহীন নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হন। মাঝে মাঝেই এমন সব ঘটনা সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন তুলে। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ বিচ্ছিন্নভাবে কয়েক বেলা খাবার ও লজ্জা নিবারণের পোশাকের ব্যবস্থা করলেও তা তাদের যন্ত্রণা লাঘবে যথেষ্ট নয়। এ সমস্যার সমাধান করতে হলে সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন। লক্ষ লক্ষ ছিন্নমূল মানুষকে আপাতত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা না গেলেও দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব মানসিক প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের আওতায় আনা কষ্টসাধ্য নয়। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে এদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে তাদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি করা যায়। সর্বোপরি, বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির পথ রুদ্ধ করতে ছিন্নমূল মানসিক প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের বিকল্প নেই।
আবু ফারুক
বনরুপা পাড়া
সদর, বান্দরবান
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২১
ইভটিজিং
ইভটিজিং বর্তমান সমাজে মারাত্মক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকাল নারীদের রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রেও ইভটিজিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে। ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে অনেক মেয়ে ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ বা আত্মহনন পর্যন্ত করে। মাঝে ইভ টিজিং রোধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে সামাজিক ঐকমত্য দেখা যাচ্ছে না।
রাস্তাঘাটে, বিভিন্ন যানবাহনে, নারীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়। এসব অশালীন আচরণ এর মধ্যে রয়েছে, শিস দেয়া, কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দেয়া, গান গাওয়া, পোশাক নিয়ে বাজে মন্তব্য করা, যানবাহনে নারীদের শরীর ঘেঁষে বসা ইত্যাদি। এই ইভটিজিং এর কারণে নারীরা সমাজে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে না।
মূলত সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা, রাজনৈতিকভাবে সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা, অশিক্ষা, কুশিক্ষা, বেকারত্বের হার বৃদ্ধি, আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার ও সুষ্ঠু প্রয়োগ না করাসহ নানা কারণে ইভটিজিং বেড়ে চলেছে। ইভ টিজাররা অপরাধ করেও বারবার পার পেয়ে যাওয়ার কারণে আবারও ইভটিজিংয়ে জড়িয়ে পড়ে। এ জন্য আমাদের সামাজিক অব্যবস্থা অনেকাংশে দায়ী।
সম্প্রতি সরকার ইভটিজিংয়ের প্রতিকার ও প্রতিরোধের জন্য আইন পাস করেছে, যাতে অর্থদন্ডের পাশাপাশি কারাদন্ডেরও বিধান রাখা হয়েছে। যদি এ আইনটির সুষ্ঠু প্রয়োগ করা হয়, তাহলে আশা করা যায়, অচিরেই সমাজ থেকে ব্যাধিটি দূর করা সম্ভব হবে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে হবে।
জাফরুল ইসলাম
শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ছিন্নমূল মানসিক ভারসাম্যহীনদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে
রাজধানীসহ দেশের নানা প্রান্তে অসংখ্য ছিন্নমূল মানুষ বসবাস করছে। খোলা আকাশের নিচে বিভিন্ন স্টেশন, ফুটপাত ও পার্কে এসব ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষের ভবিষ্যতহীন জীবন পার হচ্ছে। আর এই ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর মধ্যে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা মানসিক ভারসাম্যহীন। প্রচলিত অর্থে এরা আমাদের কাছে পাগলরুপে আবির্ভূত হয়। আবার, অনেক মানসিক ভারসাম্যহীন লোক দুর্ভাগ্যবশত পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ঘুরে ফিরে। ছিন্নমূল বলে এসব মানসিক ভারসাম্যহীন লোকজন সমাজের মানবিক অংশের সান্নিধ্য খুব একটা পায় না। রাস্তার পাশের ডাস্টবিন কিংবা নর্দমা ঘেঁটে এরা নিজেদের জীবন যেমন হুমকির মুখে ফেলে। তেমনি সাধারণ মানুষের বিরক্তি ও দুর্ভোগের কারণ হয়। অনেক সময় ব্যস্ত সড়কের মাঝে অবস্থান করে এরা সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা বৃদ্ধি করে। মানসিক ভারসাম্যহীন নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হন। মাঝে মাঝেই এমন সব ঘটনা সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন তুলে। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ বিচ্ছিন্নভাবে কয়েক বেলা খাবার ও লজ্জা নিবারণের পোশাকের ব্যবস্থা করলেও তা তাদের যন্ত্রণা লাঘবে যথেষ্ট নয়। এ সমস্যার সমাধান করতে হলে সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন। লক্ষ লক্ষ ছিন্নমূল মানুষকে আপাতত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা না গেলেও দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব মানসিক প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের আওতায় আনা কষ্টসাধ্য নয়। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে এদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে তাদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি করা যায়। সর্বোপরি, বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির পথ রুদ্ধ করতে ছিন্নমূল মানসিক প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের বিকল্প নেই।
আবু ফারুক
বনরুপা পাড়া
সদর, বান্দরবান