মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
করোনা প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা
প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা। করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করার পরেও অনেকেই আবার আক্রান্ত হচ্ছে। কয়েজন করোনা ভাইরাসের টিকা নেওয়ার পরেও মৃত্যুবরণ করেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে দেশে করোনার প্রকোপ বেড়ে গেলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বোধ একেবারেই কমে গেছে। সর্বস্তরের মানুষ তার খেয়াল খুশিপনায় চলেফেরা করছে। বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে দেখা যাচ্ছে লোকসমাগমের তীব্র ভীড়। শহরে কিংবা গ্রামে মানুষ মাস্ক বিহীন চলাচল করতেছে। এমন অবস্থায় দেশের মানুষ অসচেতন ভাবে চলাচল করলে করোনার পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হবে। এবং ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তীব্র ভাবে বেড়ে যাবে।
অবশ্যই জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বের হলেও মাস্ক, হেন্ডগ্লাপস ব্যবহার করা, জনসম্মুখে দূরত্ব বজায় রাখা। সর্বদা পরিস্কার -পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করা, হাত ধোয়ার জন্য সাবান, হেন্ডওয়াস ব্যবহার করা। কোন প্রকার করোনা ভাইরাস জনিত রোগের লক্ষণ দেখা দিলে পরিবারের অন্য সদস্য দের থেকে নিজেকে আলাদা করে হোম কোয়ারান্টাইনে অবস্থান নেওয়া ও ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ইত্যাদি। আমরা চাই না এ পৃথিবীটা জনমানবহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত হোক। আমরা বরং একটি সুন্দর সকাল এর জন্য দূরে থাকি। একটি ব্যস্ত দুপুরের জন্য আলাদা থাকি।
জাহিদ আল হাসান
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি
ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত জ্বর। এ ভাইরাস মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে জনে জনে। এই জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি জনমনে শঙ্কার সৃষ্টি করেছে। এটাও ঠিক, আতংকিত হয়ে ডেঙ্গুকে ভয়ের কারণ হিসেবে না নিয়ে সচেতন হতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে সঠিক চিকিৎসা নিলে এ ভয়ানক জ্বর থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি।
মশক নিধন কার্যক্রমের স্থবিরতা, গাইডলাইনের অভাব ও অসচেতনতা ডেঙ্গুর প্রকোপের জন্য দায়ী। বৃষ্টিতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা খুব বেশিমাত্রায় প্রজনন সক্ষমতা বাড়িয়ে এডিস মশার বিস্তার ঘটায়। ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচতে হলে মশার উৎস খুঁজে বন্ধ করতে হবে। তাহলেই ডেঙ্গুর ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে।
এ জ্বরের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে এডিস মশার বিস্তার রোধ করতে হবে। এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজধানীসহ দেশের সবখানে মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। স্বচ্ছ পরিষ্কার পানিতে এরা ডিম পাড়ে, তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী এসব স্থানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং পরিষ্কার রাখতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করতে হবে। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে। আক্রান্ত হলে করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে চিকিৎসায় বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবেই সম্ভব ডেঙ্গুর ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাওয়া।
শাকিবুল হাসান
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বুধবার, ০৭ এপ্রিল ২০২১
করোনা প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা
প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা। করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করার পরেও অনেকেই আবার আক্রান্ত হচ্ছে। কয়েজন করোনা ভাইরাসের টিকা নেওয়ার পরেও মৃত্যুবরণ করেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে দেশে করোনার প্রকোপ বেড়ে গেলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বোধ একেবারেই কমে গেছে। সর্বস্তরের মানুষ তার খেয়াল খুশিপনায় চলেফেরা করছে। বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে দেখা যাচ্ছে লোকসমাগমের তীব্র ভীড়। শহরে কিংবা গ্রামে মানুষ মাস্ক বিহীন চলাচল করতেছে। এমন অবস্থায় দেশের মানুষ অসচেতন ভাবে চলাচল করলে করোনার পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হবে। এবং ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তীব্র ভাবে বেড়ে যাবে।
অবশ্যই জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বের হলেও মাস্ক, হেন্ডগ্লাপস ব্যবহার করা, জনসম্মুখে দূরত্ব বজায় রাখা। সর্বদা পরিস্কার -পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করা, হাত ধোয়ার জন্য সাবান, হেন্ডওয়াস ব্যবহার করা। কোন প্রকার করোনা ভাইরাস জনিত রোগের লক্ষণ দেখা দিলে পরিবারের অন্য সদস্য দের থেকে নিজেকে আলাদা করে হোম কোয়ারান্টাইনে অবস্থান নেওয়া ও ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ইত্যাদি। আমরা চাই না এ পৃথিবীটা জনমানবহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত হোক। আমরা বরং একটি সুন্দর সকাল এর জন্য দূরে থাকি। একটি ব্যস্ত দুপুরের জন্য আলাদা থাকি।
জাহিদ আল হাসান
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি
ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত জ্বর। এ ভাইরাস মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে জনে জনে। এই জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি জনমনে শঙ্কার সৃষ্টি করেছে। এটাও ঠিক, আতংকিত হয়ে ডেঙ্গুকে ভয়ের কারণ হিসেবে না নিয়ে সচেতন হতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে সঠিক চিকিৎসা নিলে এ ভয়ানক জ্বর থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি।
মশক নিধন কার্যক্রমের স্থবিরতা, গাইডলাইনের অভাব ও অসচেতনতা ডেঙ্গুর প্রকোপের জন্য দায়ী। বৃষ্টিতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা খুব বেশিমাত্রায় প্রজনন সক্ষমতা বাড়িয়ে এডিস মশার বিস্তার ঘটায়। ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচতে হলে মশার উৎস খুঁজে বন্ধ করতে হবে। তাহলেই ডেঙ্গুর ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে।
এ জ্বরের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে এডিস মশার বিস্তার রোধ করতে হবে। এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজধানীসহ দেশের সবখানে মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। স্বচ্ছ পরিষ্কার পানিতে এরা ডিম পাড়ে, তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী এসব স্থানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং পরিষ্কার রাখতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করতে হবে। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে। আক্রান্ত হলে করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে চিকিৎসায় বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবেই সম্ভব ডেঙ্গুর ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাওয়া।
শাকিবুল হাসান