মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
মানসিক ভারসাম্যহীনদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে
রাজধানীসহ দেশের নানা প্রান্তে অসংখ্য ছিন্নমূল মানুষ বসবাস করছে। খোলা আকাশের নিচে বিভিন্ন স্টেশন, ফুটপাত ও পার্কে এসব ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষের ভবিষ্যৎহীন জীবন পার হচ্ছে। আর এই ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর মধ্যে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা মানসিক ভারসাম্যহীন। প্রচলিত অর্থে এরা আমাদের কাছে পাগলরূপে আবির্ভূত হয়।
আবার, অনেক মানসিক ভারসাম্যহীন লোক দুর্ভাগ্যবশত পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ঘুরে ফিরে। ছিন্নমূল বলে এসব মানসিক ভারসাম্যহীন লোকজন সমাজের মানবিক অংশের সান্নিধ্য খুব একটা পায় না। রাস্তার পাশের ডাস্টবিন কিংবা নর্দমা ঘেঁটে এরা নিজেদের জীবন যেমন হুমকির মুখে ফেলে। তেমনি সাধারণ মানুষের বিরক্তি ও দুর্ভোগের কারণ হয়। অনেক সময় ব্যস্ত সড়কের মাঝে অবস্থান করে এরা সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা বৃদ্ধি করে।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হন। মাঝে মাঝেই এমন সব ঘটনা সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোড়ন তুলে। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ বিচ্ছিন্নভাবে কয়েক বেলা খাবার ও লজ্জা নিবারণের পোশাকের ব্যবস্থা করলেও তা তাদের যন্ত্রণা লাঘবে যথেষ্ট নয়। এ সমস্যার সমাধান করতে হলে সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন। লাখ লাখ ছিন্নমূল মানুষকে আপাতত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা না গেলেও দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব মানসিক প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের আওতায় আনা কষ্টসাধ্য নয়।
স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে এদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে তাদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি করা যায়। সর্বোপরি, বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির পথ রুদ্ধ করতে ছিন্নমূল মানসিক প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের বিকল্প নেই।
আবু ফারুক
মাদকাসক্তি ও যুবসমাজ
বর্তমানে যুব সমাজের কাছে মাদক গ্রহণ করা চাকচিক্যময় বিষয়। প্রায়শই লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যুবকদের অনেকেই অল্প বয়সে মাদকাসক্ত হয়ে পরছে। বাজে সঙ্গ, পারিবারিক কলহ,বন্ধুর প্রভাব, সম্পর্ক, বিচ্ছেদ,হতাশা,বেকারত্ব ইত্যাদি কারনে দিন দিন মাদকাসক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মাদকাসক্তির ফলে বিভিন্ন শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক জটিলতা সৃষ্টি হয়। শারীরিক সমস্যার মধ্যে খাদ্যে অরুচি, পুষ্টিহীনতা,শরীরের বিভিন্ন স্থানে সংক্রমণ, যকৃত, অন্ত্র, কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গে ক্ষতিকর রোগ সৃষ্টি হয় যার শেষ পরিণতি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। মানসিক সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন হওয়া। মাদকাসক্তির ফলে ব্যক্তি তার স্বাভাবিক আচরণ হারিয়ে ফেলে। স্মরণশক্তি কমে যাওয়া, খিটখিটে মেজাজ, ধৈর্যচ্যুতি ইত্যাদি নেতিবাচক আচরণ ব্যক্তির মধ্যে প্রকট হয়ে উঠে যা ক্রমাগত তাকে মানসিক রোগীতে পরিণত করে।
মাদকাসক্ত থেকে উত্তরণের প্রধান উপায় হলো পারিবারিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করা। মাদকের ব্যাপক প্রসার নিয়ন্ত্রণ করা। তরুণদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, সুস্থ বিনোদন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ মাদক চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে সীমান্তে ও দেশের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো তত্পর হতে হবে।
মো. শামীম হাসান
ইংরেজি বিভাগ
ঢাকা কলেজ, ঢাকা
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১
মানসিক ভারসাম্যহীনদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে
রাজধানীসহ দেশের নানা প্রান্তে অসংখ্য ছিন্নমূল মানুষ বসবাস করছে। খোলা আকাশের নিচে বিভিন্ন স্টেশন, ফুটপাত ও পার্কে এসব ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষের ভবিষ্যৎহীন জীবন পার হচ্ছে। আর এই ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর মধ্যে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা মানসিক ভারসাম্যহীন। প্রচলিত অর্থে এরা আমাদের কাছে পাগলরূপে আবির্ভূত হয়।
আবার, অনেক মানসিক ভারসাম্যহীন লোক দুর্ভাগ্যবশত পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ঘুরে ফিরে। ছিন্নমূল বলে এসব মানসিক ভারসাম্যহীন লোকজন সমাজের মানবিক অংশের সান্নিধ্য খুব একটা পায় না। রাস্তার পাশের ডাস্টবিন কিংবা নর্দমা ঘেঁটে এরা নিজেদের জীবন যেমন হুমকির মুখে ফেলে। তেমনি সাধারণ মানুষের বিরক্তি ও দুর্ভোগের কারণ হয়। অনেক সময় ব্যস্ত সড়কের মাঝে অবস্থান করে এরা সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা বৃদ্ধি করে।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হন। মাঝে মাঝেই এমন সব ঘটনা সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোড়ন তুলে। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ বিচ্ছিন্নভাবে কয়েক বেলা খাবার ও লজ্জা নিবারণের পোশাকের ব্যবস্থা করলেও তা তাদের যন্ত্রণা লাঘবে যথেষ্ট নয়। এ সমস্যার সমাধান করতে হলে সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন। লাখ লাখ ছিন্নমূল মানুষকে আপাতত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা না গেলেও দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব মানসিক প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের আওতায় আনা কষ্টসাধ্য নয়।
স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে এদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে তাদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি করা যায়। সর্বোপরি, বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির পথ রুদ্ধ করতে ছিন্নমূল মানসিক প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের বিকল্প নেই।
আবু ফারুক
মাদকাসক্তি ও যুবসমাজ
বর্তমানে যুব সমাজের কাছে মাদক গ্রহণ করা চাকচিক্যময় বিষয়। প্রায়শই লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যুবকদের অনেকেই অল্প বয়সে মাদকাসক্ত হয়ে পরছে। বাজে সঙ্গ, পারিবারিক কলহ,বন্ধুর প্রভাব, সম্পর্ক, বিচ্ছেদ,হতাশা,বেকারত্ব ইত্যাদি কারনে দিন দিন মাদকাসক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মাদকাসক্তির ফলে বিভিন্ন শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক জটিলতা সৃষ্টি হয়। শারীরিক সমস্যার মধ্যে খাদ্যে অরুচি, পুষ্টিহীনতা,শরীরের বিভিন্ন স্থানে সংক্রমণ, যকৃত, অন্ত্র, কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গে ক্ষতিকর রোগ সৃষ্টি হয় যার শেষ পরিণতি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। মানসিক সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন হওয়া। মাদকাসক্তির ফলে ব্যক্তি তার স্বাভাবিক আচরণ হারিয়ে ফেলে। স্মরণশক্তি কমে যাওয়া, খিটখিটে মেজাজ, ধৈর্যচ্যুতি ইত্যাদি নেতিবাচক আচরণ ব্যক্তির মধ্যে প্রকট হয়ে উঠে যা ক্রমাগত তাকে মানসিক রোগীতে পরিণত করে।
মাদকাসক্ত থেকে উত্তরণের প্রধান উপায় হলো পারিবারিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করা। মাদকের ব্যাপক প্রসার নিয়ন্ত্রণ করা। তরুণদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, সুস্থ বিনোদন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ মাদক চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে সীমান্তে ও দেশের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো তত্পর হতে হবে।
মো. শামীম হাসান
ইংরেজি বিভাগ
ঢাকা কলেজ, ঢাকা