alt

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : করোনায় বিপর্যস্ত মানুষ

: রোববার, ১১ এপ্রিল ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

করোনায় বিপর্যস্ত মানুষ

প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। খবরের কাগজ কিংবা টিভির পর্দায় চোখ রাখলেই দেখা যায় অসহায় মানুষের আহাজারি। দৌড়ঝাঁপ করেও যখন অসুস্থ স্বজনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় না, এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে? অন্যদিকে কোভিড পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত খারাপের দিকে যাওয়ায় নন-কোভিড রোগীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। কোভিড রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতাল গুলোতে সাধারণ চিকিৎসা সীমিত করা হয়েছে। কোনো কোনো হসপিটালকে আবার কোভিড ডেডিকেটেড হসপিটাল ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে জটিল সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে আসলেও বেড পাওয়া যাচ্ছে না। কিডনিজনিত সমস্যায় ডায়ালাইসিস করার সুবিধা নিতে পারছে না অনেক পরিবার। এ অসহায়ত্ব নিয়ে পরিবারগুলো কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? কাদের কাছে গেলে মিলবে সমাধান?

অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮০-৯০ শতাংশের নিচে থেকেও হসপিটালে ভর্তি হওয়ার সুযোগ না হওয়ায় অনেকেই অক্সিজেন সাপোর্ট না পেয়ে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে মানুষ কোভিড পরীক্ষা করতে আসলে তাতেও হচ্ছে চরম ভোগান্তি। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও মানুষকে পরীক্ষা না করেই ফিরে যেতে হচ্ছে বাসায়। আবার কেউ পরীক্ষা করার সুযোগ পেলেও কোভিড পজিটিভ কিংবা নেগেটিভ এইটা জানার জন্য করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা।

এই ভোগান্তির নিরসন জরুরি। কোভিড পেশেন্টদের পাশাপাশি নন-কোভিড পেশেন্টদের জন্য সব ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ব্যবস্থাও রাখতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দেখেও স্বাস্থ্যবিধি মানায় চরম উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একপ্রকার লুকোচুরি করে মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। লকডাউন দিয়েও মানুষকে আটকে রাখা যেন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ মুহূর্তে সবকিছু নিয়মের মধ্যে না আসলে বিপদ বাড়বে।

কাব্য সাহা

শিক্ষার্থী, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : করোনায় বিপর্যস্ত মানুষ

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ১১ এপ্রিল ২০২১

করোনায় বিপর্যস্ত মানুষ

প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। খবরের কাগজ কিংবা টিভির পর্দায় চোখ রাখলেই দেখা যায় অসহায় মানুষের আহাজারি। দৌড়ঝাঁপ করেও যখন অসুস্থ স্বজনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় না, এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে? অন্যদিকে কোভিড পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত খারাপের দিকে যাওয়ায় নন-কোভিড রোগীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। কোভিড রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতাল গুলোতে সাধারণ চিকিৎসা সীমিত করা হয়েছে। কোনো কোনো হসপিটালকে আবার কোভিড ডেডিকেটেড হসপিটাল ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে জটিল সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে আসলেও বেড পাওয়া যাচ্ছে না। কিডনিজনিত সমস্যায় ডায়ালাইসিস করার সুবিধা নিতে পারছে না অনেক পরিবার। এ অসহায়ত্ব নিয়ে পরিবারগুলো কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? কাদের কাছে গেলে মিলবে সমাধান?

অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮০-৯০ শতাংশের নিচে থেকেও হসপিটালে ভর্তি হওয়ার সুযোগ না হওয়ায় অনেকেই অক্সিজেন সাপোর্ট না পেয়ে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে মানুষ কোভিড পরীক্ষা করতে আসলে তাতেও হচ্ছে চরম ভোগান্তি। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও মানুষকে পরীক্ষা না করেই ফিরে যেতে হচ্ছে বাসায়। আবার কেউ পরীক্ষা করার সুযোগ পেলেও কোভিড পজিটিভ কিংবা নেগেটিভ এইটা জানার জন্য করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা।

এই ভোগান্তির নিরসন জরুরি। কোভিড পেশেন্টদের পাশাপাশি নন-কোভিড পেশেন্টদের জন্য সব ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ব্যবস্থাও রাখতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দেখেও স্বাস্থ্যবিধি মানায় চরম উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একপ্রকার লুকোচুরি করে মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। লকডাউন দিয়েও মানুষকে আটকে রাখা যেন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ মুহূর্তে সবকিছু নিয়মের মধ্যে না আসলে বিপদ বাড়বে।

কাব্য সাহা

শিক্ষার্থী, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

back to top