মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
করোনায় বিপর্যস্ত মানুষ
প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। খবরের কাগজ কিংবা টিভির পর্দায় চোখ রাখলেই দেখা যায় অসহায় মানুষের আহাজারি। দৌড়ঝাঁপ করেও যখন অসুস্থ স্বজনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় না, এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে? অন্যদিকে কোভিড পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত খারাপের দিকে যাওয়ায় নন-কোভিড রোগীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। কোভিড রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতাল গুলোতে সাধারণ চিকিৎসা সীমিত করা হয়েছে। কোনো কোনো হসপিটালকে আবার কোভিড ডেডিকেটেড হসপিটাল ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে জটিল সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে আসলেও বেড পাওয়া যাচ্ছে না। কিডনিজনিত সমস্যায় ডায়ালাইসিস করার সুবিধা নিতে পারছে না অনেক পরিবার। এ অসহায়ত্ব নিয়ে পরিবারগুলো কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? কাদের কাছে গেলে মিলবে সমাধান?
অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮০-৯০ শতাংশের নিচে থেকেও হসপিটালে ভর্তি হওয়ার সুযোগ না হওয়ায় অনেকেই অক্সিজেন সাপোর্ট না পেয়ে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে মানুষ কোভিড পরীক্ষা করতে আসলে তাতেও হচ্ছে চরম ভোগান্তি। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও মানুষকে পরীক্ষা না করেই ফিরে যেতে হচ্ছে বাসায়। আবার কেউ পরীক্ষা করার সুযোগ পেলেও কোভিড পজিটিভ কিংবা নেগেটিভ এইটা জানার জন্য করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা।
এই ভোগান্তির নিরসন জরুরি। কোভিড পেশেন্টদের পাশাপাশি নন-কোভিড পেশেন্টদের জন্য সব ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ব্যবস্থাও রাখতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দেখেও স্বাস্থ্যবিধি মানায় চরম উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একপ্রকার লুকোচুরি করে মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। লকডাউন দিয়েও মানুষকে আটকে রাখা যেন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ মুহূর্তে সবকিছু নিয়মের মধ্যে না আসলে বিপদ বাড়বে।
কাব্য সাহা
শিক্ষার্থী, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোববার, ১১ এপ্রিল ২০২১
করোনায় বিপর্যস্ত মানুষ
প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। খবরের কাগজ কিংবা টিভির পর্দায় চোখ রাখলেই দেখা যায় অসহায় মানুষের আহাজারি। দৌড়ঝাঁপ করেও যখন অসুস্থ স্বজনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় না, এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে? অন্যদিকে কোভিড পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত খারাপের দিকে যাওয়ায় নন-কোভিড রোগীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। কোভিড রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতাল গুলোতে সাধারণ চিকিৎসা সীমিত করা হয়েছে। কোনো কোনো হসপিটালকে আবার কোভিড ডেডিকেটেড হসপিটাল ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে জটিল সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে আসলেও বেড পাওয়া যাচ্ছে না। কিডনিজনিত সমস্যায় ডায়ালাইসিস করার সুবিধা নিতে পারছে না অনেক পরিবার। এ অসহায়ত্ব নিয়ে পরিবারগুলো কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? কাদের কাছে গেলে মিলবে সমাধান?
অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮০-৯০ শতাংশের নিচে থেকেও হসপিটালে ভর্তি হওয়ার সুযোগ না হওয়ায় অনেকেই অক্সিজেন সাপোর্ট না পেয়ে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে মানুষ কোভিড পরীক্ষা করতে আসলে তাতেও হচ্ছে চরম ভোগান্তি। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও মানুষকে পরীক্ষা না করেই ফিরে যেতে হচ্ছে বাসায়। আবার কেউ পরীক্ষা করার সুযোগ পেলেও কোভিড পজিটিভ কিংবা নেগেটিভ এইটা জানার জন্য করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা।
এই ভোগান্তির নিরসন জরুরি। কোভিড পেশেন্টদের পাশাপাশি নন-কোভিড পেশেন্টদের জন্য সব ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ব্যবস্থাও রাখতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দেখেও স্বাস্থ্যবিধি মানায় চরম উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একপ্রকার লুকোচুরি করে মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। লকডাউন দিয়েও মানুষকে আটকে রাখা যেন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ মুহূর্তে সবকিছু নিয়মের মধ্যে না আসলে বিপদ বাড়বে।
কাব্য সাহা
শিক্ষার্থী, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ