alt

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : বাসচালকদের রেষারেষিতে দুর্ঘটনা

: বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বাসচালকদের রেষারেষিতে দুর্ঘটনা

বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। উন্নত জীবন যাপনের তাগিদে বেশিরভাগ মানুষই শহরমুখী। দৈনন্দিন কাজ সম্পাদন করতে চলাফেরা করতে হয় পাবলিক বাসে। পাবলিক বাসের বাড়তি চাহিদা দেখে বাসের শ্রমিকরাও হয়ে উঠেছে শোষক। দিন দিন তাদের শোষণের মাত্রা বেড়ে চলেছে। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ভাড়া বৃদ্ধি তো রয়েছেই তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে পারস্পরিক রেষারেষি। যার কারণে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা। কার আগে কে যাবে, কার আগে কে যাত্রী উঠাবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা চলে। সেই প্রতিযোগিতার কারণে ট্রাফিক আইন অমান্য করে বেপরোয়াভাবে বাস চালানো হয়। বাসচালকদের এমন আচরণে অতিষ্ঠ যাত্রীরা। এভাবে চলতে থাকলে গণপরিবহনে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। তাই এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। মনে রাখতে হবে একটি দুর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না।

সাজ্জাদ হোসেন রায়হান

বেরোবির প্রধান ফটক কবে হবে

২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা সংকটে জর্জরিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোন উপাচার্যই প্রধান ফটক নির্মাণের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে গত বছর মাঝামাঝিতে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রধান ফটকের নকশা আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সর্বশেষ গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের দেয়া নকশাগুলোর মধ্য থেকে একটি নকশা চূড়ান্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রধান ফটক নির্মাণ কাজের কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় নি। উল্লেখ্য, বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ আগামী জুন মাসে শেষ হতে যাচ্ছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দয়া করে শিক্ষার্থীদের চাওয়ার মূল্যায়ন করুন।

মাহমুদ মিলন

শিক্ষার্থী,

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

পরিবেশের স্বার্থে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে

গাছপালা এবং প্রাণীর মধ্যে একটি গভীর সংযোগ রয়েছে। তৃণভোজী প্রাণীরা বেঁচে থাকার জন্য খাবার হিসেবে গ্রহণ করে উদ্ভিদ। তৃণভোজীকে খায় মাংসাশী প্রাণী। আবার ছোট ছোট মাংসাশী প্রাণী খেয়ে বাঁচে বড় বড় মাংসাশী প্রাণীরা। মানুষ তাদের জীবিত থাকার জন্য প্রাণী এবং উদ্ভিদ উভয়ই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। অর্থাৎ প্রতিটি প্রাণী এবং উদ্ভিদ বেঁচে থাকার জন্য একে অপরের ওপর নির্ভরশীল।

দেশে উদ্ভিদ এবং প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে রয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বসতি স্থাপনের জন্য বন উজাড় হচ্ছে। আবাদি জমিতে বাড়ি নির্মিত হচ্ছে। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের ফলে প্রাণী তার আবাসস্থল হারাচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব এবং জমিতে রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহারও জীববৈচিত্র্যকে প্রভাবিত করছে। শিল্প বর্জ্য কখনও কখনও সরাসরি খোলা জায়গা বা জলাশয়ে ফেলা হয়। এই বর্জ্য পরিবেশের জন্য খুব ক্ষতিকারক। নদীতে বর্জ্য ফেলে দেওয়ার ফলে জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে।

ফুল, ফল এবং শস্যের প্রজননের জন্য পাখি এবং পোকামাকড় প্রয়োজন। পরিবেশকে দূষণ থেকে রক্ষার জন্য কাক, শকুন এবং শিয়াল দরকার। এরা সকলেই মৃত প্রাণীর মাংস খায়। একটি বটগাছও যদি কেটে ফেলা হয়, তবে অনেক প্রাণী আশ্রয় হারিয়ে ফেলে। যদি আমরা ফলের গাছ বা কলা গাছ কেটে ফেলে কেবল শাল, সেগুন, মেহগনি গাছ রোপণ করি তবে পাখিরা তাদের আশ্রুয় হারাবে এবং তারা অন্য কোথাও যাবে বা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্য রাখার জন্যই জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা প্রয়োজন। মানুষকে এ স¤পর্কে সচেতন করা দরকার। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে হবে। বিপন্ন পাখি ও পশুর তালিকা তৈরি করে তাদের সংরক্ষণের জন্য সংরক্ষিত এলাকার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রাণী সুরক্ষার বিদ্যমান আইনের সংস্কার দরকার। আইনটি যথাযথভাবে প্রয়োগ করা প্রয়োজন।

জান্নাতুল মাওয়া নাজ

শিক্ষার্থী

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : বাসচালকদের রেষারেষিতে দুর্ঘটনা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১

বাসচালকদের রেষারেষিতে দুর্ঘটনা

বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। উন্নত জীবন যাপনের তাগিদে বেশিরভাগ মানুষই শহরমুখী। দৈনন্দিন কাজ সম্পাদন করতে চলাফেরা করতে হয় পাবলিক বাসে। পাবলিক বাসের বাড়তি চাহিদা দেখে বাসের শ্রমিকরাও হয়ে উঠেছে শোষক। দিন দিন তাদের শোষণের মাত্রা বেড়ে চলেছে। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ভাড়া বৃদ্ধি তো রয়েছেই তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে পারস্পরিক রেষারেষি। যার কারণে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা। কার আগে কে যাবে, কার আগে কে যাত্রী উঠাবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা চলে। সেই প্রতিযোগিতার কারণে ট্রাফিক আইন অমান্য করে বেপরোয়াভাবে বাস চালানো হয়। বাসচালকদের এমন আচরণে অতিষ্ঠ যাত্রীরা। এভাবে চলতে থাকলে গণপরিবহনে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। তাই এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। মনে রাখতে হবে একটি দুর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না।

সাজ্জাদ হোসেন রায়হান

বেরোবির প্রধান ফটক কবে হবে

২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা সংকটে জর্জরিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোন উপাচার্যই প্রধান ফটক নির্মাণের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে গত বছর মাঝামাঝিতে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রধান ফটকের নকশা আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সর্বশেষ গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের দেয়া নকশাগুলোর মধ্য থেকে একটি নকশা চূড়ান্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রধান ফটক নির্মাণ কাজের কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় নি। উল্লেখ্য, বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ আগামী জুন মাসে শেষ হতে যাচ্ছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দয়া করে শিক্ষার্থীদের চাওয়ার মূল্যায়ন করুন।

মাহমুদ মিলন

শিক্ষার্থী,

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

পরিবেশের স্বার্থে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে

গাছপালা এবং প্রাণীর মধ্যে একটি গভীর সংযোগ রয়েছে। তৃণভোজী প্রাণীরা বেঁচে থাকার জন্য খাবার হিসেবে গ্রহণ করে উদ্ভিদ। তৃণভোজীকে খায় মাংসাশী প্রাণী। আবার ছোট ছোট মাংসাশী প্রাণী খেয়ে বাঁচে বড় বড় মাংসাশী প্রাণীরা। মানুষ তাদের জীবিত থাকার জন্য প্রাণী এবং উদ্ভিদ উভয়ই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। অর্থাৎ প্রতিটি প্রাণী এবং উদ্ভিদ বেঁচে থাকার জন্য একে অপরের ওপর নির্ভরশীল।

দেশে উদ্ভিদ এবং প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে রয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বসতি স্থাপনের জন্য বন উজাড় হচ্ছে। আবাদি জমিতে বাড়ি নির্মিত হচ্ছে। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের ফলে প্রাণী তার আবাসস্থল হারাচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব এবং জমিতে রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহারও জীববৈচিত্র্যকে প্রভাবিত করছে। শিল্প বর্জ্য কখনও কখনও সরাসরি খোলা জায়গা বা জলাশয়ে ফেলা হয়। এই বর্জ্য পরিবেশের জন্য খুব ক্ষতিকারক। নদীতে বর্জ্য ফেলে দেওয়ার ফলে জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে।

ফুল, ফল এবং শস্যের প্রজননের জন্য পাখি এবং পোকামাকড় প্রয়োজন। পরিবেশকে দূষণ থেকে রক্ষার জন্য কাক, শকুন এবং শিয়াল দরকার। এরা সকলেই মৃত প্রাণীর মাংস খায়। একটি বটগাছও যদি কেটে ফেলা হয়, তবে অনেক প্রাণী আশ্রয় হারিয়ে ফেলে। যদি আমরা ফলের গাছ বা কলা গাছ কেটে ফেলে কেবল শাল, সেগুন, মেহগনি গাছ রোপণ করি তবে পাখিরা তাদের আশ্রুয় হারাবে এবং তারা অন্য কোথাও যাবে বা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্য রাখার জন্যই জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা প্রয়োজন। মানুষকে এ স¤পর্কে সচেতন করা দরকার। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে হবে। বিপন্ন পাখি ও পশুর তালিকা তৈরি করে তাদের সংরক্ষণের জন্য সংরক্ষিত এলাকার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রাণী সুরক্ষার বিদ্যমান আইনের সংস্কার দরকার। আইনটি যথাযথভাবে প্রয়োগ করা প্রয়োজন।

জান্নাতুল মাওয়া নাজ

শিক্ষার্থী

back to top