alt

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : কালো ছত্রাক

: শনিবার, ০৩ জুলাই ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

কালো ছত্রাক

করোনা মহামারির মাঝে জনমনে নতুন করে যে ভয় এবং আতঙ্ক হানা দিয়েছে সেটা হলো ব্লাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক। তবে কালো ছত্রাক কোনো সংক্রামক রোগ নয়। সাধারণত যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এই ছত্রাক তাদেরই আক্রমণ করে।

ব্লাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক পরিবেশের প্রায় সর্বত্রই অবস্থান করে। তবে এর সংক্রমণের সক্ষমতা খুবই কম। এক লাখ মানুষের মধ্যে সর্বোচ্চ একজন অথবা দুজন এই ছত্রাকের জীবাণু দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে। এছাড়া অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী, অন্তঃসত্ত্বা নারী, অন্তঅঙ্গ প্রতিস্থাপন করা ব্যক্তিরাও এই ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। অতিরিক্ত ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ও অত্যধিক স্টেরয়েড গ্রহণ করা ব্যক্তিরাও এর সংক্রমণ ঝুঁকিতে রয়েছে।

দেশে এই ছত্রাকের সংক্রমণের খবরে আতঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে। সঠিক চিকিৎসা যথাসময় করতে পারলে এই রোগের থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। তাই এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলেই অতিসত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যেসব পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করা হয় দ্রুত সেই সব পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। কারণ এর আক্রান্তে মৃত্যুহার বেশি।

সংক্রমণ এড়াতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। আক্রান্ত হয়ে গেলেও দ্রুত এর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। করোনা আক্রান্ত রোগীরা বর্তমানে এই সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। তাই করোনা রোগীদের অপ্রয়োজনে স্টেরয়েড এবং এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সচেতনতার মাধ্যমেই এই সমস্যায় সমাধান করা সম্ভব। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সকলের এই বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।

মোহাম্মদ ইয়াছিন ইসলাম

শিক্ষার্থী-সমাজবিজ্ঞান বিভাগ,

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : কালো ছত্রাক

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ০৩ জুলাই ২০২১

কালো ছত্রাক

করোনা মহামারির মাঝে জনমনে নতুন করে যে ভয় এবং আতঙ্ক হানা দিয়েছে সেটা হলো ব্লাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক। তবে কালো ছত্রাক কোনো সংক্রামক রোগ নয়। সাধারণত যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এই ছত্রাক তাদেরই আক্রমণ করে।

ব্লাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক পরিবেশের প্রায় সর্বত্রই অবস্থান করে। তবে এর সংক্রমণের সক্ষমতা খুবই কম। এক লাখ মানুষের মধ্যে সর্বোচ্চ একজন অথবা দুজন এই ছত্রাকের জীবাণু দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে। এছাড়া অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী, অন্তঃসত্ত্বা নারী, অন্তঅঙ্গ প্রতিস্থাপন করা ব্যক্তিরাও এই ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। অতিরিক্ত ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ও অত্যধিক স্টেরয়েড গ্রহণ করা ব্যক্তিরাও এর সংক্রমণ ঝুঁকিতে রয়েছে।

দেশে এই ছত্রাকের সংক্রমণের খবরে আতঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে। সঠিক চিকিৎসা যথাসময় করতে পারলে এই রোগের থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। তাই এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলেই অতিসত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যেসব পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করা হয় দ্রুত সেই সব পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। কারণ এর আক্রান্তে মৃত্যুহার বেশি।

সংক্রমণ এড়াতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। আক্রান্ত হয়ে গেলেও দ্রুত এর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। করোনা আক্রান্ত রোগীরা বর্তমানে এই সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। তাই করোনা রোগীদের অপ্রয়োজনে স্টেরয়েড এবং এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সচেতনতার মাধ্যমেই এই সমস্যায় সমাধান করা সম্ভব। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সকলের এই বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।

মোহাম্মদ ইয়াছিন ইসলাম

শিক্ষার্থী-সমাজবিজ্ঞান বিভাগ,

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

back to top