alt

চিঠিপত্র

চিঠি : সামাজিক সংগঠন

: রোববার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

আমাদের বর্তমান যান্ত্রিক জীবনে সামাজিক সংগঠনসমূহ অন্যতম আস্থা ও ভরসার প্রতীক হিসেবে উদীয়মান হয়েছে। শিক্ষিত সচেতন যুবকরা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে মানবতার কল্যাণের জন্য সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে পরিচালনা করছে।

পূর্বে সচেতন ও মেধাবী যুবকরা পড়ালেখার পাশাপাশি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতো। মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে লড়তো। কালের বিবর্তনে দেশের রাজনীতি বিশেষ করে ছাত্ররাজনীতি নষ্ট হয়ে যাবার দরুণ মেধাবীরা রাজনীতিবিমুখ হয়ে পড়েছে। নিজেদের মেধা, শ্রম, কর্মদক্ষতা, চিন্তাশক্তি দিয়ে সমাজের পরিবর্তনের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য সামাজিক সংগঠনসমূহে আকৃষ্ট হচ্ছে।

স্বেচ্ছায় রক্তদান, নিরক্ষরদের অক্ষরজ্ঞান প্রদান, পথশিশুদের শিক্ষামুখী করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ, ছিন্নমূলদের শীতবস্ত্র বিতরণ, বিনামূল্যে তরুণদের আইটি প্রশিক্ষণ, খাদ্যে ভেজাল ও ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে জনসচেতনা সৃষ্টি, বিনামূল্যে আইনি সেবা ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানসহ নানামুখী সেবামূলক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হচ্ছে দেশের বর্তমান তরুণ প্রজন্ম। সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার জন্য সমমনা যুবকরা একত্রিত হয়ে নিজেদের প্রতিভা বিকশিত করছে এবং সর্বত্র প্রশংসা কুঁড়িয়ে আনছে।

সমাজসেবার লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক বা অঞ্চলভিত্তিক গড়ে উঠছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। বাংলাদেশে কী পরিমাণ সামাজিক সংগঠন কাজ করছে বা মোট সংখ্যা কত তার সঠিক তথ্য প্রদান করা সম্ভব নয়। কারণ যুব উন্নয়ন, সমাজসেবা অধিদপ্তর বা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নিবন্ধিত সংগঠনের বাইরেও অনেক সংগঠন রয়েছে। সামাজিক সংগঠনসমূহের এমন বিস্তৃতি একদিকে যেমন আশার সঞ্চার করেছে, অন্যদিকে আশঙ্কারও সৃষ্টি করছে।

কিছু কিছু বিষয় সামাজিক সংগঠনসমূহ সম্পর্কে মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করছে। অনেকসময় দেখা যায়, কেউ কেউ সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করার পর নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পদবী যুক্ত করার মাধ্যমেই সে সংগঠনের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখছে। কেউবা আবার পদের লোভে নিজেই সংগঠন খুলে লোক দেখানো গুটি কয়েক কাজ করে অসৎ উদ্দেশ্যে সেই সংগঠনকে ব্যবহার করছে। আবার সামাজিক সংগঠনে অনেক সময় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আসে। অরাজনৈতিক সংগঠনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ফলে কখনো কখনো সমাজসেবার বদলে রাজনৈতিক সংগঠনের সহযোগী সংগঠন হিসেবেই ব্যবহৃত হতে হয়।

আবার কোনো কোনো রাজনৈতিক নেতা নিজেকে মানবতাবাদী ও সমাজসেবক হিসেবে প্রমাণ করার হীন উদ্দেশ্যে সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন বা প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের সুবিধাজনক পদে বলপূর্বক আসীন হন। এতে সামাজিক সংগঠনের যে মৌলিক ও মূল উদ্দেশ্য তা ব্যাহত হয়। এই হার যদি ক্রমেই বর্ধমান হতে থাকে, তবে সাধারণ মানুষের যে আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে তা নিমিষেই হারিয়ে যাবে।

স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনসমূহের সদস্যদের মনোভাব হওয়া উচিত সম্পূর্ণ স্বার্থহীন। অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করা, ছাড় দেবার মানসিকতা, পদের প্রতি লোভহীনতা বৈশিষ্ট্য নিজের মধ্যে সৃষ্টি করা উচিত। কখনই নিজেকে প্রদর্শন করার ইচ্ছে বা নিজ স্বীকৃতি লাভের ইচ্ছে মনের মধ্যে আনা উচিত নয়।

আখতার হোসেন আজাদ

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : সামাজিক সংগঠন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

আমাদের বর্তমান যান্ত্রিক জীবনে সামাজিক সংগঠনসমূহ অন্যতম আস্থা ও ভরসার প্রতীক হিসেবে উদীয়মান হয়েছে। শিক্ষিত সচেতন যুবকরা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে মানবতার কল্যাণের জন্য সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে পরিচালনা করছে।

পূর্বে সচেতন ও মেধাবী যুবকরা পড়ালেখার পাশাপাশি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতো। মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে লড়তো। কালের বিবর্তনে দেশের রাজনীতি বিশেষ করে ছাত্ররাজনীতি নষ্ট হয়ে যাবার দরুণ মেধাবীরা রাজনীতিবিমুখ হয়ে পড়েছে। নিজেদের মেধা, শ্রম, কর্মদক্ষতা, চিন্তাশক্তি দিয়ে সমাজের পরিবর্তনের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য সামাজিক সংগঠনসমূহে আকৃষ্ট হচ্ছে।

স্বেচ্ছায় রক্তদান, নিরক্ষরদের অক্ষরজ্ঞান প্রদান, পথশিশুদের শিক্ষামুখী করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ, ছিন্নমূলদের শীতবস্ত্র বিতরণ, বিনামূল্যে তরুণদের আইটি প্রশিক্ষণ, খাদ্যে ভেজাল ও ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে জনসচেতনা সৃষ্টি, বিনামূল্যে আইনি সেবা ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানসহ নানামুখী সেবামূলক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হচ্ছে দেশের বর্তমান তরুণ প্রজন্ম। সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার জন্য সমমনা যুবকরা একত্রিত হয়ে নিজেদের প্রতিভা বিকশিত করছে এবং সর্বত্র প্রশংসা কুঁড়িয়ে আনছে।

সমাজসেবার লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক বা অঞ্চলভিত্তিক গড়ে উঠছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। বাংলাদেশে কী পরিমাণ সামাজিক সংগঠন কাজ করছে বা মোট সংখ্যা কত তার সঠিক তথ্য প্রদান করা সম্ভব নয়। কারণ যুব উন্নয়ন, সমাজসেবা অধিদপ্তর বা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নিবন্ধিত সংগঠনের বাইরেও অনেক সংগঠন রয়েছে। সামাজিক সংগঠনসমূহের এমন বিস্তৃতি একদিকে যেমন আশার সঞ্চার করেছে, অন্যদিকে আশঙ্কারও সৃষ্টি করছে।

কিছু কিছু বিষয় সামাজিক সংগঠনসমূহ সম্পর্কে মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করছে। অনেকসময় দেখা যায়, কেউ কেউ সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করার পর নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পদবী যুক্ত করার মাধ্যমেই সে সংগঠনের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখছে। কেউবা আবার পদের লোভে নিজেই সংগঠন খুলে লোক দেখানো গুটি কয়েক কাজ করে অসৎ উদ্দেশ্যে সেই সংগঠনকে ব্যবহার করছে। আবার সামাজিক সংগঠনে অনেক সময় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আসে। অরাজনৈতিক সংগঠনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ফলে কখনো কখনো সমাজসেবার বদলে রাজনৈতিক সংগঠনের সহযোগী সংগঠন হিসেবেই ব্যবহৃত হতে হয়।

আবার কোনো কোনো রাজনৈতিক নেতা নিজেকে মানবতাবাদী ও সমাজসেবক হিসেবে প্রমাণ করার হীন উদ্দেশ্যে সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন বা প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের সুবিধাজনক পদে বলপূর্বক আসীন হন। এতে সামাজিক সংগঠনের যে মৌলিক ও মূল উদ্দেশ্য তা ব্যাহত হয়। এই হার যদি ক্রমেই বর্ধমান হতে থাকে, তবে সাধারণ মানুষের যে আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে তা নিমিষেই হারিয়ে যাবে।

স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনসমূহের সদস্যদের মনোভাব হওয়া উচিত সম্পূর্ণ স্বার্থহীন। অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করা, ছাড় দেবার মানসিকতা, পদের প্রতি লোভহীনতা বৈশিষ্ট্য নিজের মধ্যে সৃষ্টি করা উচিত। কখনই নিজেকে প্রদর্শন করার ইচ্ছে বা নিজ স্বীকৃতি লাভের ইচ্ছে মনের মধ্যে আনা উচিত নয়।

আখতার হোসেন আজাদ

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

back to top