alt

চিঠিপত্র

চিঠি : চাকরির আবেদনে গলাকাটা ফি নেয়া বন্ধ হোক

: রোববার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য বলছে- দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। প্রতি বছর বেড়েই চলছে বেকারত্বের হার। দেশের স্নাতক পাস করা অধিকাংশ শিক্ষার্থী চাকরির প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন।

চাকরির প্রস্তুতির জন্য বই, খাতা, পত্রিকা ইত্যাদি ক্রয় করতে হয় প্রতিনিয়ত। এছাড়াও চাকরির আবেদন, বাসা ভাড়াসহ কোচিং ফি দিতে হয় প্রতি মাসে। অনেকই প্রাইভেট পড়িয়ে কিছু টাকা উপার্জন করেন। আর এ টাকা দিয়ে নিজের চলা ও অন্যান্য খরচ মেটানো খুবই কষ্টসাধ্য। চাকরির আবেদনের জন্যই প্রতি মাসে একটা বড় অংকের টাকা খরচ হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর অধিকাংশ চাকরির আবেদন করতে প্রায় ৫০০-১০০০ টাকা খরচ হয়।

বিসিএস পরীক্ষা ছাড়া অধিকাংশ পরীক্ষাই সাধারণত রাজধানী শহরে হয়ে থাকে। দেশের দূর-দূরান্ত থেকে এসব পরীক্ষায় অংশ নিতে পরীক্ষার্থীরা ঢাকায় আসে। প্রতিটা পরীক্ষায় তাদের ১-২ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি মাসে গড়ে তিন-চারটি চাকরির আবেদন এবং দুই-একটি পরীক্ষার জন্য ঢাকায় আসতে তাদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে, যা একজন বেকারের কাছে গলার কাঁটার মতো। চাকরিপ্রত্যাশী প্রায় প্রতিটা তরুণ মেধাবীকেই এ সমস্যায় পড়তে হয়; যা খুবই দুঃখজনক।

চাকরির আবেদনে ফি কমানো ও সহনশীল রাখার জন্য গত বছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। এর ধারাবাহিকতায় আন্দোলন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনেও। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া অনেকেই মধ্য এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ায় এত টাকা দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করা সম্ভব না বলে জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।

আবেদনে অতিরিক্ত টাকা ও পরীক্ষায় অংশ নিতে রাজধানীতে আসা ব্যাপক কষ্টের বিষয়। এ বিষয়ে দরকার আশু সমাধান, প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ। বেকারভাতা চালু করা কিংবা চাকরির পরীক্ষার ফি কমিয়ে সহনশীল পর্যায়ে আনা এখন লাখ লাখ তরুণের প্রাণের দাবি। আশা করি এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

কেএম মাসুম বিল্লাহ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : চাকরির আবেদনে গলাকাটা ফি নেয়া বন্ধ হোক

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য বলছে- দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। প্রতি বছর বেড়েই চলছে বেকারত্বের হার। দেশের স্নাতক পাস করা অধিকাংশ শিক্ষার্থী চাকরির প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন।

চাকরির প্রস্তুতির জন্য বই, খাতা, পত্রিকা ইত্যাদি ক্রয় করতে হয় প্রতিনিয়ত। এছাড়াও চাকরির আবেদন, বাসা ভাড়াসহ কোচিং ফি দিতে হয় প্রতি মাসে। অনেকই প্রাইভেট পড়িয়ে কিছু টাকা উপার্জন করেন। আর এ টাকা দিয়ে নিজের চলা ও অন্যান্য খরচ মেটানো খুবই কষ্টসাধ্য। চাকরির আবেদনের জন্যই প্রতি মাসে একটা বড় অংকের টাকা খরচ হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর অধিকাংশ চাকরির আবেদন করতে প্রায় ৫০০-১০০০ টাকা খরচ হয়।

বিসিএস পরীক্ষা ছাড়া অধিকাংশ পরীক্ষাই সাধারণত রাজধানী শহরে হয়ে থাকে। দেশের দূর-দূরান্ত থেকে এসব পরীক্ষায় অংশ নিতে পরীক্ষার্থীরা ঢাকায় আসে। প্রতিটা পরীক্ষায় তাদের ১-২ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি মাসে গড়ে তিন-চারটি চাকরির আবেদন এবং দুই-একটি পরীক্ষার জন্য ঢাকায় আসতে তাদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে, যা একজন বেকারের কাছে গলার কাঁটার মতো। চাকরিপ্রত্যাশী প্রায় প্রতিটা তরুণ মেধাবীকেই এ সমস্যায় পড়তে হয়; যা খুবই দুঃখজনক।

চাকরির আবেদনে ফি কমানো ও সহনশীল রাখার জন্য গত বছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। এর ধারাবাহিকতায় আন্দোলন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনেও। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া অনেকেই মধ্য এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ায় এত টাকা দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করা সম্ভব না বলে জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।

আবেদনে অতিরিক্ত টাকা ও পরীক্ষায় অংশ নিতে রাজধানীতে আসা ব্যাপক কষ্টের বিষয়। এ বিষয়ে দরকার আশু সমাধান, প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ। বেকারভাতা চালু করা কিংবা চাকরির পরীক্ষার ফি কমিয়ে সহনশীল পর্যায়ে আনা এখন লাখ লাখ তরুণের প্রাণের দাবি। আশা করি এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

কেএম মাসুম বিল্লাহ

back to top