মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
‘ডাক্তার’ বা চিকিৎসক শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের বিশাল এক অনুভূতি, যার নাম বিশ্বস্ততা কিংবা নির্ভরতা। তাদের আমরা এত বিশ্বাস করি যে প্রেসক্রিপশন প্যাডে যা লিখে দেন নির্দ্ধিধায় আমরা তা সেবন করি। কিন্তু অনেক সময় সেই প্রেসক্রিপশন প্যাডের লেখাই যদি আমাদের বোধগম্য না হয় এবং ভুল ওষুধ সেবন করে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হয় তাহলে এর থেকে বেশি দুঃখজনক ব্যাপার আর কি হতে পারে। বেশিরভাগ চিকিৎসকের লেখা এত দুর্বোধ্য যে অনেক ফার্মেসির বিক্রয়কর্মীদেরও বুঝতে হিমশিম খেতে হয়।
ডাক্তারদের এই দুর্বোধ্য হাতের লেখার অভিযোগ কেবল বাংলাদেশেই না বরং বিশ্বের অনেক দেশেই কমবেশি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব মেডিসিনের (আইওএম) এক গবেষণার প্রতিবেদনে জানা যায়, বিশ্বে প্রতি বছর সাত হাজার রোগী মারা যায় শুধু প্রেসক্রিপশনে ডাক্তারদের হাতের লেখা না বুঝতে পারায় এবং ভুল ওষুধ সেবন করায়। কিন্তু বেশিরভাগ চিকিৎসকই দুর্বোধ্য অক্ষরে লিখতে লিখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হয় রোগীদের। সুতরাং কারণ যা-ই হোক সেটার জন্য অতি দুর্বোধ্য অক্ষরে প্রেসক্রিপশন লেখা কোনভাবেই যুক্তিসংগত নয়। তাই চিকিৎসকদের উচিত এই সীমাহীন অসচেতনতা থেকে বেরিয়ে এসে স্পষ্টাক্ষরে পাঠোপযোগী প্রেসক্রিপশন লেখা।
ফারজানা আক্তার ঝিমি
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
‘ডাক্তার’ বা চিকিৎসক শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের বিশাল এক অনুভূতি, যার নাম বিশ্বস্ততা কিংবা নির্ভরতা। তাদের আমরা এত বিশ্বাস করি যে প্রেসক্রিপশন প্যাডে যা লিখে দেন নির্দ্ধিধায় আমরা তা সেবন করি। কিন্তু অনেক সময় সেই প্রেসক্রিপশন প্যাডের লেখাই যদি আমাদের বোধগম্য না হয় এবং ভুল ওষুধ সেবন করে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হয় তাহলে এর থেকে বেশি দুঃখজনক ব্যাপার আর কি হতে পারে। বেশিরভাগ চিকিৎসকের লেখা এত দুর্বোধ্য যে অনেক ফার্মেসির বিক্রয়কর্মীদেরও বুঝতে হিমশিম খেতে হয়।
ডাক্তারদের এই দুর্বোধ্য হাতের লেখার অভিযোগ কেবল বাংলাদেশেই না বরং বিশ্বের অনেক দেশেই কমবেশি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব মেডিসিনের (আইওএম) এক গবেষণার প্রতিবেদনে জানা যায়, বিশ্বে প্রতি বছর সাত হাজার রোগী মারা যায় শুধু প্রেসক্রিপশনে ডাক্তারদের হাতের লেখা না বুঝতে পারায় এবং ভুল ওষুধ সেবন করায়। কিন্তু বেশিরভাগ চিকিৎসকই দুর্বোধ্য অক্ষরে লিখতে লিখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হয় রোগীদের। সুতরাং কারণ যা-ই হোক সেটার জন্য অতি দুর্বোধ্য অক্ষরে প্রেসক্রিপশন লেখা কোনভাবেই যুক্তিসংগত নয়। তাই চিকিৎসকদের উচিত এই সীমাহীন অসচেতনতা থেকে বেরিয়ে এসে স্পষ্টাক্ষরে পাঠোপযোগী প্রেসক্রিপশন লেখা।
ফারজানা আক্তার ঝিমি
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়