মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহর-উপশহরে যানজট নতুন কোন সমস্যা নয়। যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং, উপযোগী অবকাঠামোর অভাব, টার্মিনালের অভাব, ট্রাফিক আইন না মানা, অবৈধভাবে ফুটপাত দখল, উল্টোপথে গাড়ি চালানোসহ নানা কারণে দিনকে দিন এ সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করছে। ফলে কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। ঢাকার যানজটের অন্যতম একটি কারণ দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি। প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতে স্যুয়ারেজের লাইন, বিদ্যুৎ, টেলিফোন বা বিভিন্ন মেরামত কাজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ চলে। ক্ষেত্রবিশেষ ফেলে রাখা হয় এসব কাজ।
যানজটের এই মহাদুর্ভোগ থেকে স্বস্তি পেতে সবার আগে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। ছোট রাস্তাগুলোকে যথাসম্ভব দীর্ঘ ও প্রশস্ত করতে হবে, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বন্ধ করতে হবে, লাইসেন্সবিহীন বা অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে, ট্রাফিক আইন আরও কার্যকরী ও ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানো বন্ধ করতে হবে।
ব্যস্ততম রাস্তায় রাজনৈতিক মিছিল-মিটিং বন্ধ করতে হবে। অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। রাস্তাগুলোকে বহু লেন বিশিষ্ট করে ধীর গতির ও দ্রুত গতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করতে হবে। রাজধানীর ওপর চাপ কমিয়ে বিভাগীয় শহরগুলোতে উন্নয়ন অবকাঠামো বিস্তৃত করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়, তাই আমাদের সবাইকে যানজট নিরসনে একযোগে কাজ করতে হবে। এ জন্য যাত্রী-চালকসহ আমাদের সবাইকেই সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
মেহেদী হাসান অর্ণব
শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহর-উপশহরে যানজট নতুন কোন সমস্যা নয়। যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং, উপযোগী অবকাঠামোর অভাব, টার্মিনালের অভাব, ট্রাফিক আইন না মানা, অবৈধভাবে ফুটপাত দখল, উল্টোপথে গাড়ি চালানোসহ নানা কারণে দিনকে দিন এ সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করছে। ফলে কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। ঢাকার যানজটের অন্যতম একটি কারণ দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি। প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতে স্যুয়ারেজের লাইন, বিদ্যুৎ, টেলিফোন বা বিভিন্ন মেরামত কাজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ চলে। ক্ষেত্রবিশেষ ফেলে রাখা হয় এসব কাজ।
যানজটের এই মহাদুর্ভোগ থেকে স্বস্তি পেতে সবার আগে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। ছোট রাস্তাগুলোকে যথাসম্ভব দীর্ঘ ও প্রশস্ত করতে হবে, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বন্ধ করতে হবে, লাইসেন্সবিহীন বা অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে, ট্রাফিক আইন আরও কার্যকরী ও ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানো বন্ধ করতে হবে।
ব্যস্ততম রাস্তায় রাজনৈতিক মিছিল-মিটিং বন্ধ করতে হবে। অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। রাস্তাগুলোকে বহু লেন বিশিষ্ট করে ধীর গতির ও দ্রুত গতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করতে হবে। রাজধানীর ওপর চাপ কমিয়ে বিভাগীয় শহরগুলোতে উন্নয়ন অবকাঠামো বিস্তৃত করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়, তাই আমাদের সবাইকে যানজট নিরসনে একযোগে কাজ করতে হবে। এ জন্য যাত্রী-চালকসহ আমাদের সবাইকেই সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
মেহেদী হাসান অর্ণব
শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ।