alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

পাঠ্যপুস্তকে ভুল

কাজী মাসুদুর রহমান

: মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর ইংরেজি মূল পাঠ্যবই ENGLISH FOR TODAY Gi Unit-1, Lesson-1 এ ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করে সন্নিবেশন করা হয়েছে। মূল ভাষণে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ভাষণটির সমাপনী টেনেছিলেন। কিন্তু পাঠ্যসূচিতে ‘জয় বাংলা’ এর ইংরেজি অনুবাদে লেখা হয়েছে Long live Bengal যার বাংলা অনুবাদ হয় বাংলা দীর্ঘজীবি হোক। এটি বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত মূল উক্তিটির সঙ্গে কখনোই মেলে না। এতে শিক্ষার্থীরা ভুল তথ্যে শিক্ষা নিচ্ছে। এটি শুধু তথ্য বিভ্রান্তিই নয় বরং ইতিহাস বিকৃতিরও শামিল বলে মনে হয়। মূলত জয় বাংলা এর ইংরেজি অনুবাদ হবে Victorz Bengal। তবে জয় বাংলা কে ‘Joy Bangla’ রূপে উল্লেখ করা অধিকতর তাৎপর্যপূর্ণ। এতে ভাষণটির মূল ঐতিহ্য সুরক্ষিত থাকে। বলা বাহুল্য, ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি বাঙালি জাতির একটি আবেগঘন অভিব্যক্তির প্রকাশ। যার স্পন্দনে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক অভ্যুদয় ঘটেছিল। ইতিপর্বে মহামান্য উচ্চ আদালত জয় বাংলা কে একটি জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাছাড়া ভাষণটি জাতিসংঘ কর্তৃক ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ বা বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই এটি জাতীয় সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও যথেষ্ট গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে। সুতরাং সার্বিক বিবেচনায় উল্লেখিত ভুলটি সংশোধন করতে এনসিটিবি কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

[লেখক : সাংস্কৃতিক সম্পাদক, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, যশোর ]

ছবি

অস্থির সময় ও অস্থির সমাজের পাঁচালি

ভারতে বামপন্থার পুনর্জাগরণ: ব্যাধি ও প্রতিকার

চিপনির্ভরতা কাটিয়ে চীনের উত্থান

একতার বাতাসে উড়ুক দক্ষিণ এশিয়ার পতাকা

ছবি

স্মরণ: শহীদ ডা. মিলন ও বৈষম্যহীন ব্যবস্থার সংগ্রাম

মনে পুরানো দিনের কথা আসে, মনে আসে, ফিরে আসে...

রাসায়নিক দূষণ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি

আছদগঞ্জের শুটকি : অতীতের গৌরব, বর্তমানের দুঃসময়

নবান্নের আনন্দ ও আমনের ফলন

‘প্রশ্ন কোরো না, প্রশ্ন সর্বনাশী’

ভূমিকম্প, অর্থনৈতিক চাপ এবং অনিশ্চয়তা: মানসিকতার নতুন অর্থনীতি

নবম পে স্কেল ও এর আর্থসামাজিক প্রভাব

মৃত্যুদণ্ড, তারপর...

জমির ভুয়া দলিল কীভাবে বাতিল করবেন?

জুলাই সনদ আদিবাসীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি

ব্যাংকের দুরবস্থা থামানো যাচ্ছে না কেন

আমন ধানে ব্রাউন প্ল্যান্টহপারের প্রাদুর্ভাব

বৈষম্য, অপচয় ও খাদ্যনিরাপত্তার সংকট

“বাঙালি আমরা, নহিতো...”

নারী নির্যাতন, মানসিক স্বাস্থ্য এবং সমাজের দায়

কাঁপছে ডলারের সিংহাসন

ত্রিশতম জলবায়ু সম্মেলন : প্রতীকী প্রদর্শনী, নাকি বৈশ্বিক জলবায়ু রাজনীতির বাঁক নেওয়ার মুহূর্ত?

অপরিণত নবজাতক : ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও যত্নের জরুরি বাস্তবতা

বাংলাদেশী উত্তরাধিকার: প্রবাস-জীবন ও আমাদের সংস্কৃতি

রাজনীতিতে ভাষার সহনীয় প্রয়োগ

ভারত : এসআইআর এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন

মনে কী দ্বিধা নিয়ে...

নিরাপদ সড়ক ভাবনা

অপরিকল্পিত বাঁধ-শিল্পায়নে বিপর্যস্ত বরেন্দ্র কৃষি

ছবি

মামদানি দেখালেন নেতৃত্বের মূল পরিচয় কী

চেকের মামলায় বৈধ বিনিময়, লেনদেন, দেনা-পাওনা প্রমাণ ছাড়া আর জেল নয়

নবাগত শিক্ষকদের পেশাগত ভাবনা

মাদকাসক্তি: শুধু নিরাময় নয়, চাই সমাজ ব্যবস্থার সংস্কার

আমেরিকার “নো কিংস” আন্দোলন

ঘি তো আমাদের লাগবেই, নো হাংকি পাংকি!

“মামদানি না জামদানি...”

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

পাঠ্যপুস্তকে ভুল

কাজী মাসুদুর রহমান

মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর ইংরেজি মূল পাঠ্যবই ENGLISH FOR TODAY Gi Unit-1, Lesson-1 এ ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করে সন্নিবেশন করা হয়েছে। মূল ভাষণে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ভাষণটির সমাপনী টেনেছিলেন। কিন্তু পাঠ্যসূচিতে ‘জয় বাংলা’ এর ইংরেজি অনুবাদে লেখা হয়েছে Long live Bengal যার বাংলা অনুবাদ হয় বাংলা দীর্ঘজীবি হোক। এটি বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত মূল উক্তিটির সঙ্গে কখনোই মেলে না। এতে শিক্ষার্থীরা ভুল তথ্যে শিক্ষা নিচ্ছে। এটি শুধু তথ্য বিভ্রান্তিই নয় বরং ইতিহাস বিকৃতিরও শামিল বলে মনে হয়। মূলত জয় বাংলা এর ইংরেজি অনুবাদ হবে Victorz Bengal। তবে জয় বাংলা কে ‘Joy Bangla’ রূপে উল্লেখ করা অধিকতর তাৎপর্যপূর্ণ। এতে ভাষণটির মূল ঐতিহ্য সুরক্ষিত থাকে। বলা বাহুল্য, ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি বাঙালি জাতির একটি আবেগঘন অভিব্যক্তির প্রকাশ। যার স্পন্দনে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক অভ্যুদয় ঘটেছিল। ইতিপর্বে মহামান্য উচ্চ আদালত জয় বাংলা কে একটি জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাছাড়া ভাষণটি জাতিসংঘ কর্তৃক ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ বা বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই এটি জাতীয় সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও যথেষ্ট গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে। সুতরাং সার্বিক বিবেচনায় উল্লেখিত ভুলটি সংশোধন করতে এনসিটিবি কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

[লেখক : সাংস্কৃতিক সম্পাদক, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, যশোর ]

back to top