বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধানের নিয়োগে অনিয়ম ও জ¦াালিয়াতির অভিযোগে এবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সিন্ডিকেট সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়।

রোববার বিকেলে উপ-রেজিস্ট্রার ময়নুল আজাদের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। যার স্মারক নম্বর ৮৯৪ তারিখ ২/০৬/২৪ইং।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. নিতাই কুমার ঘোষ ও উপ-রেজিস্টার ময়নুল আজাদ। এখানে কমিটির সচিব শুধু সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত একটি পত্র গতকাল সংবাদ প্রতিনিধির হাতে এসেছে। অফিস আদেশে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পদে কর্মরত তাবিউর রহমান প্রধানের প্রভাষক পদে নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে দালিলিক প্রমাণ এবং মহামান্য হাইকোর্টে মোহা. মাহমুদুল হক কর্তৃক দাখিলকৃত রিট মামলার (রিট পিটিশন নং ২৭৬৮/২০২২) পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ১৪ মার্চ মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক জারিকৃত রুল ও আদেশ অনুযায়ী দফাওয়ারি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের কাছে লিখিত বক্তব্য চেয়ে বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পত্র প্রেরণ করেছেন।

পত্রে আরও উল্লেখ করা হয় উক্ত বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানের নিমিত্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ইতিপূর্বে একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন গত ১ জুন ২০২৪ তারিখে সিন্ডিকেটের ১০৩তম সভায় পর্যালোচনাপূর্বক সিন্ডিকেট কর্তৃক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।

এ ব্যাপারে রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপ পরিচালক মোহাম্মদ আলী কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমানের প্রভাষক পদে নিয়োগের বিষয়টি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছিল মর্মে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তাদের দেয়া প্রতিবেদনের ওপর ওপর ভিত্তি করে বিশ^বিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি উত্থাপিত হবার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন দেবার আহ্বান জানানো হয়েছে।