১৩ বছর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দেওয়ার জন্য সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সদ্য পদত্যাগ করা আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া এই মামলাটি দায়ের করেন বলে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আযম নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় খায়রুল হকের বিরুদ্ধে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পরিবর্তন এবং জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর খায়রুল হক আইন কমিশনের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। গত ১৮ আগস্ট আইনজীবী ইমরুল হাসান ঢাকার একটি আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও তা খারিজ করে দেন ঢাকা মহানগর হাকিম দিলরুবা আফরোজ বিথি।
নারায়ণগঞ্জে দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ত্রয়োদশ সংশোধনীর মামলার শুনানিকালে সুপ্রিম কোর্টের আটজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দেন।
মামলায় আরো বলা হয়, ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হক, বিচারপতি এস কে সিনহা এবং সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পক্ষে রায় দেন, যখন বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিঞা, নাজমুন আরা সুলতানা এবং ঈমান আলী এর পক্ষে রায় দেন।
বাদী অভিযোগ করেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক পূর্বেই সরকার কর্তাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে কাস্টিং ভোট দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পক্ষে রায় দেন, যার ফলে আপিল বিভাগের রায়টি চার-তিনের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় গৃহীত হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, তৎকালীন সরকার সেই সংক্ষিপ্ত রায়ের ভিত্তিতে দ্রুত সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। যদিও খায়রুল হক প্রকাশ্য আদালতে বলেছিলেন যে পরবর্তী দুটি জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে।
বাদী আরো অভিযোগ করেন যে, খায়রুল হক অবসর গ্রহণের ১৬ মাস পর একটি রায় লিখে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেন, যেখানে তিনি পূর্বের রায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিবর্তন করে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন।
সোমবার, ২৬ আগস্ট ২০২৪
১৩ বছর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দেওয়ার জন্য সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সদ্য পদত্যাগ করা আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া এই মামলাটি দায়ের করেন বলে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আযম নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় খায়রুল হকের বিরুদ্ধে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পরিবর্তন এবং জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর খায়রুল হক আইন কমিশনের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। গত ১৮ আগস্ট আইনজীবী ইমরুল হাসান ঢাকার একটি আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও তা খারিজ করে দেন ঢাকা মহানগর হাকিম দিলরুবা আফরোজ বিথি।
নারায়ণগঞ্জে দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ত্রয়োদশ সংশোধনীর মামলার শুনানিকালে সুপ্রিম কোর্টের আটজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দেন।
মামলায় আরো বলা হয়, ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হক, বিচারপতি এস কে সিনহা এবং সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পক্ষে রায় দেন, যখন বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিঞা, নাজমুন আরা সুলতানা এবং ঈমান আলী এর পক্ষে রায় দেন।
বাদী অভিযোগ করেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক পূর্বেই সরকার কর্তাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে কাস্টিং ভোট দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পক্ষে রায় দেন, যার ফলে আপিল বিভাগের রায়টি চার-তিনের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় গৃহীত হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, তৎকালীন সরকার সেই সংক্ষিপ্ত রায়ের ভিত্তিতে দ্রুত সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। যদিও খায়রুল হক প্রকাশ্য আদালতে বলেছিলেন যে পরবর্তী দুটি জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে।
বাদী আরো অভিযোগ করেন যে, খায়রুল হক অবসর গ্রহণের ১৬ মাস পর একটি রায় লিখে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেন, যেখানে তিনি পূর্বের রায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিবর্তন করে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন।