ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখা যায়নি। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে জানালার দুটি গ্লাসের দাম কি ৪ লাখ টাকা?
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আলোচিত বালিশ কাণ্ডের পর এবার টেকনাফ পৌরসভার গ্লাস কাণ্ড সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা পৌরসভার কার্যালয়ের ২টি জানালার গ্লাস ভেঙে যায়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে সংস্কারের অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরেছেন পৌর মেয়র। ক্ষয়ক্ষতির ওই তালিকায় দুটি গ্লাসের দাম ধরা হয়েছে ৪ লাখ টাকা!
গত ১৫ আগস্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৪ লাখ টাকা। পৌরসভার সাবেক মেয়র হাজী মোহাম্মদ ইসালামের সাক্ষরিত আবেদনে ৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ উল্লেখ করা হয়। সেখানে বলা হয়, ৩ টি রুমের ৩ টি জানালার গ্লাস, বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভাঙচুর করার কথা ।
সোমবার ২৬ আগস্ট টেকনাফ পৌরসভার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার বরাবর যে স্মারক প্রেরণ করেছে সে অনুযায়ী উক্ত পৌরসভায় কোন ভাঙচুর করা হয়নি। পৌরসভার কার্যালয়ের ২য় তলার পশ্চিম পাশের জানালার ৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪ ফুট প্রস্থর ২টি জানালার গ্লাস ইটপাটকেলে ফেটে গেছে এমটাই দেখা যায়। এছাড়া তেমন কোন
পৌরসভার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, দেশের সব জেলার চেয়ে টেকনাফের সকল প্রশাসনিক ভবন নিরাপদ ছিলো। আমাদের পৌরসভায় ভাঙচুর হয়নি, যে পরিমাণ সাবেক মেয়র ক্ষতি দেখিয়েছে তা বিস্ময় প্রকাশ করার মতো। এভাবে বিগত ১৭ বছর পৌরসভাকে লুটেপটে খেয়েছে তারা। বলার সাহস কেউ করেনি। তাদের কারণে আমরাও নিরাপদ ছিলাম না।
এ বিষয়ে পৌরসভার নবনিযুক্ত দায়িত্ব পাওয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, টেকনাফ পৌরসভার ক্ষয়ক্ষতি সরাসরি নির্ধারণ করে তেমন কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তিনি বলেন, সাবেক মেয়র কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি দেখিয়েছেন সেটা তাঁর জানা নেই। আমার দায়িত্ব পালনের সময়ে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০২৪
ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখা যায়নি। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে জানালার দুটি গ্লাসের দাম কি ৪ লাখ টাকা?
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আলোচিত বালিশ কাণ্ডের পর এবার টেকনাফ পৌরসভার গ্লাস কাণ্ড সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা পৌরসভার কার্যালয়ের ২টি জানালার গ্লাস ভেঙে যায়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে সংস্কারের অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরেছেন পৌর মেয়র। ক্ষয়ক্ষতির ওই তালিকায় দুটি গ্লাসের দাম ধরা হয়েছে ৪ লাখ টাকা!
গত ১৫ আগস্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৪ লাখ টাকা। পৌরসভার সাবেক মেয়র হাজী মোহাম্মদ ইসালামের সাক্ষরিত আবেদনে ৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ উল্লেখ করা হয়। সেখানে বলা হয়, ৩ টি রুমের ৩ টি জানালার গ্লাস, বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভাঙচুর করার কথা ।
সোমবার ২৬ আগস্ট টেকনাফ পৌরসভার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার বরাবর যে স্মারক প্রেরণ করেছে সে অনুযায়ী উক্ত পৌরসভায় কোন ভাঙচুর করা হয়নি। পৌরসভার কার্যালয়ের ২য় তলার পশ্চিম পাশের জানালার ৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪ ফুট প্রস্থর ২টি জানালার গ্লাস ইটপাটকেলে ফেটে গেছে এমটাই দেখা যায়। এছাড়া তেমন কোন
পৌরসভার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, দেশের সব জেলার চেয়ে টেকনাফের সকল প্রশাসনিক ভবন নিরাপদ ছিলো। আমাদের পৌরসভায় ভাঙচুর হয়নি, যে পরিমাণ সাবেক মেয়র ক্ষতি দেখিয়েছে তা বিস্ময় প্রকাশ করার মতো। এভাবে বিগত ১৭ বছর পৌরসভাকে লুটেপটে খেয়েছে তারা। বলার সাহস কেউ করেনি। তাদের কারণে আমরাও নিরাপদ ছিলাম না।
এ বিষয়ে পৌরসভার নবনিযুক্ত দায়িত্ব পাওয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, টেকনাফ পৌরসভার ক্ষয়ক্ষতি সরাসরি নির্ধারণ করে তেমন কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তিনি বলেন, সাবেক মেয়র কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি দেখিয়েছেন সেটা তাঁর জানা নেই। আমার দায়িত্ব পালনের সময়ে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই।