বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে যুবক নিহতের ঘটনায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হককে প্রধান আসামি করে ৫৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় স্থানীয় ৪ সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট কোনাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় কলেজ পড়ুয়া মোঃ হৃদয়। হৃদয় নিহত হওয়ার একটি ভিডিও দেশব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়।
এঘটনায় সোমবার (২৬ আগস্ট) নিহতের ফুফাতো ভাই ইব্রাহিম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাংবাদিকদের আসামি করায় তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কলেজে পড়ুয়া হৃদয়কে সশস্ত্র কয়েকজন পুলিশ সদস্য ঘিরে রেখেছে। পোশাক ও হেলমেট পরিহিত কয়েকজন পুলিশ সদস্য আবার তাকে টানাহেঁচড়া করছে। কেউ চড় থাপ্পর মারছে। এরই মধ্যে সামনের দিক থেকে একজন পুলিশ সদস্য এসে হৃদয়ের পেটে অস্ত্র ঠেকিয়ে একটি গুলি করে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ২০ বছরের হৃদয়। রাস্তার ওপর মরদেহ পড়ে থাকে তার। পরে পুলিশ সদস্যরা চারদিকে চলে যেতে থাকে।
নিহত মো.হৃদয় টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার উত্তর আলমনগর এলাকার মো. লাল মিয়ার ছেলে। টাঙ্গাইলের হেমনগর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি কোনাবাড়ি পারিজাত এলাকায় আপন ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহিমের সঙ্গে থাকতেন হৃদয়। কোনাবাড়ি-কাশিমপুর সড়কে তারা দুজনই অটোরিকশা চালাতেন। আন্দোলন চলার সময় একটি দোকান ঘরে আশ্রয় নেওয়া হৃদয়কে ধরে নিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করে পুলিশ।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, মামলার বাদী ইব্রাহিম ওই এলাকার না হওয়ায় তিনি কোনো আসামিকেই চেনেন না। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি চক্র চার সাংবাদিকের নাম মামলায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন।
মামলায় সমকালের কালিয়াকৈর প্রতিনিধি এম তুষারী ছাড়াও আসামি করা হয়েছে বাংলা টিভির গাজীপুর প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম, সকালের সময়ের কোনাবাড়ি প্রতিনিধি মোকলেছুর রহমান, ভোরের ডাকের গাজীপুর প্রতিনিধি এম এম মমিন রানাকে।
সমকালের কালিয়াকৈর প্রতিনিধি এম তুষারী বলেন, আমি কালিয়াকৈর প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি, কোনাবাড়ি এলাকায় যাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা। পূর্বে প্রকাশিত কোনো সংবাদের জের ধরে কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার নামসহ অন্য সংবাদকর্মীদের নাম জড়িয়ে দিয়েছে।
চার সাংবাদিকের নামে মামলার বিষয়ে টেলিভিশন সাংবাদিক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমদ সরকার সংবাদ কে বলেন, ভিডিও ফুটেজ যেটি ভাইরাল হয়েছে সেখানে কোন সাংবাদিকের উপস্থিতি আমরা দেখিনি কিন্তু তারপরেও কোন অদৃশ্য কারণে এই সাংবাদিকদের নামে মামলা দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে তিনি এই মামলা থেকে সাংবাদিকদের হয়রানি না করার এবং এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মামলার বাদি ইব্রাহীমের মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো. জিয়াউল হক বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ ছাড়া কোনো আসামিকে হয়রানি করা হবে না।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আহামারুজ্জামান বলেন, কেউ দায়ী না থাকলে তাকে গ্রেফতার করা হবে না। তদন্ত করে দায়ীদের গ্রেফতার করা হবে।
বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০২৪
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে যুবক নিহতের ঘটনায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হককে প্রধান আসামি করে ৫৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় স্থানীয় ৪ সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট কোনাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় কলেজ পড়ুয়া মোঃ হৃদয়। হৃদয় নিহত হওয়ার একটি ভিডিও দেশব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়।
এঘটনায় সোমবার (২৬ আগস্ট) নিহতের ফুফাতো ভাই ইব্রাহিম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাংবাদিকদের আসামি করায় তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কলেজে পড়ুয়া হৃদয়কে সশস্ত্র কয়েকজন পুলিশ সদস্য ঘিরে রেখেছে। পোশাক ও হেলমেট পরিহিত কয়েকজন পুলিশ সদস্য আবার তাকে টানাহেঁচড়া করছে। কেউ চড় থাপ্পর মারছে। এরই মধ্যে সামনের দিক থেকে একজন পুলিশ সদস্য এসে হৃদয়ের পেটে অস্ত্র ঠেকিয়ে একটি গুলি করে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ২০ বছরের হৃদয়। রাস্তার ওপর মরদেহ পড়ে থাকে তার। পরে পুলিশ সদস্যরা চারদিকে চলে যেতে থাকে।
নিহত মো.হৃদয় টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার উত্তর আলমনগর এলাকার মো. লাল মিয়ার ছেলে। টাঙ্গাইলের হেমনগর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি কোনাবাড়ি পারিজাত এলাকায় আপন ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহিমের সঙ্গে থাকতেন হৃদয়। কোনাবাড়ি-কাশিমপুর সড়কে তারা দুজনই অটোরিকশা চালাতেন। আন্দোলন চলার সময় একটি দোকান ঘরে আশ্রয় নেওয়া হৃদয়কে ধরে নিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করে পুলিশ।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, মামলার বাদী ইব্রাহিম ওই এলাকার না হওয়ায় তিনি কোনো আসামিকেই চেনেন না। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি চক্র চার সাংবাদিকের নাম মামলায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন।
মামলায় সমকালের কালিয়াকৈর প্রতিনিধি এম তুষারী ছাড়াও আসামি করা হয়েছে বাংলা টিভির গাজীপুর প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম, সকালের সময়ের কোনাবাড়ি প্রতিনিধি মোকলেছুর রহমান, ভোরের ডাকের গাজীপুর প্রতিনিধি এম এম মমিন রানাকে।
সমকালের কালিয়াকৈর প্রতিনিধি এম তুষারী বলেন, আমি কালিয়াকৈর প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি, কোনাবাড়ি এলাকায় যাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা। পূর্বে প্রকাশিত কোনো সংবাদের জের ধরে কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার নামসহ অন্য সংবাদকর্মীদের নাম জড়িয়ে দিয়েছে।
চার সাংবাদিকের নামে মামলার বিষয়ে টেলিভিশন সাংবাদিক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমদ সরকার সংবাদ কে বলেন, ভিডিও ফুটেজ যেটি ভাইরাল হয়েছে সেখানে কোন সাংবাদিকের উপস্থিতি আমরা দেখিনি কিন্তু তারপরেও কোন অদৃশ্য কারণে এই সাংবাদিকদের নামে মামলা দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে তিনি এই মামলা থেকে সাংবাদিকদের হয়রানি না করার এবং এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মামলার বাদি ইব্রাহীমের মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো. জিয়াউল হক বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ ছাড়া কোনো আসামিকে হয়রানি করা হবে না।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আহামারুজ্জামান বলেন, কেউ দায়ী না থাকলে তাকে গ্রেফতার করা হবে না। তদন্ত করে দায়ীদের গ্রেফতার করা হবে।