গাজীপুর মহনগরীর কোনাবাড়ী শিল্পাঞ্চল এলাকায় বিভিন্ন কারখানায় ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পূনর্বহালের দাবিতে দুই কারখানার প্রায় দশ হাজার পোশাক শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করছেন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৯টার সময় মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত এম.এম নীটওয়্যার লি. ও মামুন নীটওয়্যার লিঃ কারখানার পোশাক শ্রমিকরা এ কর্মবিরতি শুরু করেন। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে কারখানার ভিতরে অবস্থান করছেন।
জানা যায়, গত ৩ নভেম্বর দুপুর আড়াইটার সময় শ্রমিকরা কিছু অযৌক্তিক দাবি নিয়ে কাজ বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করে। শ্রমিকদের কিছু দাবীদাওয়া কর্তৃপক্ষ মেনে নিলেও আরও কিছু অযৌক্তিক দাবি উৎথাপন করে কাজে যোগদান থেকে বিরত থাকে। পরে কর্তৃপক্ষ কারখানার নিরাপত্তার স্বার্থে গেল ৪ নভেম্বর থেকে শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক কারখানার সকল কার্যক্রম অনির্ষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গেল ৯ নভেম্বর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী এম এম নীটওয়্যার লিঃ থেকে ৬৮ জন এবং মামুন নীটওয়্যার লিঃ থেকে ৪৫ জন শ্রমিককে টার্মিনেশন বা (অব্যাহতি) প্রদান করে কর্তৃপক্ষ। শনিবার ৯ নভেম্বর থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করলেও আজকে হঠাৎ সকাল ৯ টা থেকে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পূনর্বহালের দাবিতে কাজ বন্ধ কওে বসে থাকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শ্রমিক বলেন, আন্দোলনের পরে কারখানা চালু হওয়ার পর মালিক বলেছিল কোন শ্রমিক ছাঁটাই করা হবেনা। কিন্তু এতগুলো শ্রমিক কেন ছাঁটাই করা হলো এর প্রতিবাদেই আমরা কাজ বন্ধ করে বসে আছি।
এবিষয়ে এম এম নীটওয়্যার লিমিটেড এর প্রশাসকি কর্মকর্তা মো: মনোয়ার হোসেন জানান, যেসব শ্রমিকদের টার্মিনেশন বা চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের পাওনাদি পরিশোধ করা হয়েছে। তার পরেও কিছু শ্রমিক আজকে কারখানায় কাজ বন্ধ করে বসে আছেন।
তিনি আরো বলেন, যে অবস্থা চলছে তাতে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
অন্যদিকে কোনাবাড়ী জরুন এলাকায় স্বাধীন গার্মেন্টস এরশ্রমিকরা গত এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে তিন দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন। এসময় কাজ বন্ধ করে শ্রমিকরা কারখানা মূল ফটকের সামনে অবস্থান করছেন। হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল ও নাইট বিলসহ দশ দফা দাবি অদায়ে বিক্ষোভ করছেন বাইমাইল এলাকায় কাশেমল্যাম্পস কারখানার শ্রমিকরা।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম সংবাদকে বলেন, বিভিন্ন দাবিতে আজ গাজীপুরে টিএ্যনজেড গ্রুপের ৫টি কারখানাসহ অন্য দিকে ৯টি সব মিলে ১৪টি কারখানা বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
গাজীপুর মহনগরীর কোনাবাড়ী শিল্পাঞ্চল এলাকায় বিভিন্ন কারখানায় ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পূনর্বহালের দাবিতে দুই কারখানার প্রায় দশ হাজার পোশাক শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করছেন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৯টার সময় মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত এম.এম নীটওয়্যার লি. ও মামুন নীটওয়্যার লিঃ কারখানার পোশাক শ্রমিকরা এ কর্মবিরতি শুরু করেন। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে কারখানার ভিতরে অবস্থান করছেন।
জানা যায়, গত ৩ নভেম্বর দুপুর আড়াইটার সময় শ্রমিকরা কিছু অযৌক্তিক দাবি নিয়ে কাজ বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করে। শ্রমিকদের কিছু দাবীদাওয়া কর্তৃপক্ষ মেনে নিলেও আরও কিছু অযৌক্তিক দাবি উৎথাপন করে কাজে যোগদান থেকে বিরত থাকে। পরে কর্তৃপক্ষ কারখানার নিরাপত্তার স্বার্থে গেল ৪ নভেম্বর থেকে শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক কারখানার সকল কার্যক্রম অনির্ষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গেল ৯ নভেম্বর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী এম এম নীটওয়্যার লিঃ থেকে ৬৮ জন এবং মামুন নীটওয়্যার লিঃ থেকে ৪৫ জন শ্রমিককে টার্মিনেশন বা (অব্যাহতি) প্রদান করে কর্তৃপক্ষ। শনিবার ৯ নভেম্বর থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করলেও আজকে হঠাৎ সকাল ৯ টা থেকে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পূনর্বহালের দাবিতে কাজ বন্ধ কওে বসে থাকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শ্রমিক বলেন, আন্দোলনের পরে কারখানা চালু হওয়ার পর মালিক বলেছিল কোন শ্রমিক ছাঁটাই করা হবেনা। কিন্তু এতগুলো শ্রমিক কেন ছাঁটাই করা হলো এর প্রতিবাদেই আমরা কাজ বন্ধ করে বসে আছি।
এবিষয়ে এম এম নীটওয়্যার লিমিটেড এর প্রশাসকি কর্মকর্তা মো: মনোয়ার হোসেন জানান, যেসব শ্রমিকদের টার্মিনেশন বা চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের পাওনাদি পরিশোধ করা হয়েছে। তার পরেও কিছু শ্রমিক আজকে কারখানায় কাজ বন্ধ করে বসে আছেন।
তিনি আরো বলেন, যে অবস্থা চলছে তাতে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
অন্যদিকে কোনাবাড়ী জরুন এলাকায় স্বাধীন গার্মেন্টস এরশ্রমিকরা গত এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে তিন দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন। এসময় কাজ বন্ধ করে শ্রমিকরা কারখানা মূল ফটকের সামনে অবস্থান করছেন। হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল ও নাইট বিলসহ দশ দফা দাবি অদায়ে বিক্ষোভ করছেন বাইমাইল এলাকায় কাশেমল্যাম্পস কারখানার শ্রমিকরা।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম সংবাদকে বলেন, বিভিন্ন দাবিতে আজ গাজীপুরে টিএ্যনজেড গ্রুপের ৫টি কারখানাসহ অন্য দিকে ৯টি সব মিলে ১৪টি কারখানা বন্ধ রয়েছে।