নতুন বছর শুরুর পর দেড় মাস অতিবাহিত হলেও বরগুনার বেতাগী উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের অর্ধেক সংখ্যক শিক্ষার্থী এখনো হাতে পায়নি নতুন পাঠ্যবই। পড়া এগিয়ে নিতে বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় থেকে, শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরাতন বই সংগ্রহ করে চলছে শ্রেণি কক্ষের পাঠদান। এতে করে শিক্ষার্থীরা হতাশা ও উৎকন্ঠা নিয়ে শ্রেণি পাঠদানে অংশ নিচ্ছে। সম্প্রতি সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয়েযেয়ে দেখা গেছে, এই উপজেলায় কয়েক ধাপে দশম শ্রেণির সব বইসমূহ বিতরণ করা হয়েছে। ষষ্ঠ, সপ্তম এবং নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ২/৩টি করে বই পেলেও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এই শিক্ষাবর্ষের গত দেড় মাস অতিবাহিত হলেও কোন বই দেওয়া হয়নি। এতে শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক মহল হতাশায় রয়েছে। শিক্ষকরা বলছেন, যেসব নতুন বই পাওয়া গেছে সেগুলোতে ক্লাসে পাঠদানের পাশাপাশি পুরাতন বই দেখে পড়াশোনা চালানো হচ্ছে। এদিকে বেতাগী পৌর শহরের কম্পিউটার প্রিন্ট এবং ফটোকপির দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবকসহ কোচিং সেন্টারের শিক্ষকরা এসে নতুন বইয়ের পিডিএফ প্রিন্ট করে নিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার টাকা বাঁচাতে প্রিন্ট করা পৃষ্ঠা ফটোকপিও করছেন। এরপর সেগুলো পড়ছে শিক্ষার্থীরা। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই উপজেলায় ষষ্ঠ, সপ্তম, নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই পেয়ে বিতরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন শ্রেণিরই পাঠ্যক্রমের সব বই আসেনি। এছাড়া এই উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির একটি বইও শিক্ষার্থীরা পায়নি। শিক্ষকরা পুরাতন বই দেখে পাঠদান করছেন। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করানো হয়। কোনো শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, আবার কোনো শ্রেণির জন্য শুধুমাত্র গণিত বই এসেছে। ফলে শিক্ষকরা পুরাতন বই পড়াচ্ছেন।
উপজেলার পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী দিপক চক্রবর্তী বই পেয়েছে কি না জানতে চাইলে বলে, তিনটা বই পেয়েছি। অন্যান্য বইগুলো না পাওয়ায় পড়তে পারছি না। এভাবে সময় যেতে থাকলে পড়ালেখায় পিছিয়ে যাবো। এজন্য পরিবারের সদস্যরা পুরোনো বই পরিচিতজনদের কাছে খোঁজাখুঁজি করছে কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না। পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে তারুণ্যের উৎসব ও বার্ষিক খেলাধুলার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই সব বই পাওয়া যাবে। বেতাগী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এসএম মাসুদুর রহমান বলেন, দশম শ্রেণির সব বই দেয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্য অন্যান্য শ্রেণীর সব বই দিয়ে দেয়া হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নতুন বছর শুরুর পর দেড় মাস অতিবাহিত হলেও বরগুনার বেতাগী উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের অর্ধেক সংখ্যক শিক্ষার্থী এখনো হাতে পায়নি নতুন পাঠ্যবই। পড়া এগিয়ে নিতে বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় থেকে, শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরাতন বই সংগ্রহ করে চলছে শ্রেণি কক্ষের পাঠদান। এতে করে শিক্ষার্থীরা হতাশা ও উৎকন্ঠা নিয়ে শ্রেণি পাঠদানে অংশ নিচ্ছে। সম্প্রতি সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয়েযেয়ে দেখা গেছে, এই উপজেলায় কয়েক ধাপে দশম শ্রেণির সব বইসমূহ বিতরণ করা হয়েছে। ষষ্ঠ, সপ্তম এবং নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ২/৩টি করে বই পেলেও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এই শিক্ষাবর্ষের গত দেড় মাস অতিবাহিত হলেও কোন বই দেওয়া হয়নি। এতে শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক মহল হতাশায় রয়েছে। শিক্ষকরা বলছেন, যেসব নতুন বই পাওয়া গেছে সেগুলোতে ক্লাসে পাঠদানের পাশাপাশি পুরাতন বই দেখে পড়াশোনা চালানো হচ্ছে। এদিকে বেতাগী পৌর শহরের কম্পিউটার প্রিন্ট এবং ফটোকপির দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবকসহ কোচিং সেন্টারের শিক্ষকরা এসে নতুন বইয়ের পিডিএফ প্রিন্ট করে নিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার টাকা বাঁচাতে প্রিন্ট করা পৃষ্ঠা ফটোকপিও করছেন। এরপর সেগুলো পড়ছে শিক্ষার্থীরা। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই উপজেলায় ষষ্ঠ, সপ্তম, নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই পেয়ে বিতরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন শ্রেণিরই পাঠ্যক্রমের সব বই আসেনি। এছাড়া এই উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির একটি বইও শিক্ষার্থীরা পায়নি। শিক্ষকরা পুরাতন বই দেখে পাঠদান করছেন। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করানো হয়। কোনো শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, আবার কোনো শ্রেণির জন্য শুধুমাত্র গণিত বই এসেছে। ফলে শিক্ষকরা পুরাতন বই পড়াচ্ছেন।
উপজেলার পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী দিপক চক্রবর্তী বই পেয়েছে কি না জানতে চাইলে বলে, তিনটা বই পেয়েছি। অন্যান্য বইগুলো না পাওয়ায় পড়তে পারছি না। এভাবে সময় যেতে থাকলে পড়ালেখায় পিছিয়ে যাবো। এজন্য পরিবারের সদস্যরা পুরোনো বই পরিচিতজনদের কাছে খোঁজাখুঁজি করছে কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না। পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে তারুণ্যের উৎসব ও বার্ষিক খেলাধুলার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই সব বই পাওয়া যাবে। বেতাগী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এসএম মাসুদুর রহমান বলেন, দশম শ্রেণির সব বই দেয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্য অন্যান্য শ্রেণীর সব বই দিয়ে দেয়া হবে।