সূর্যমুখী চাষে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন বুনছে ভৈরবের কৃষকরা। এখন তাদের জমিতে প্রস্ফুটিত ফুলের মৌতাত চারদিকের বাতাসকে সুবাসিত করছে। মৃদুমন্দ বাতাসে দোলছে হলুদে ফুল। যেনে কৃষকের স্বপ্নই দোলছে সূর্যমুখীর ফুলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সূর্যমুখী একটি উচ্চফলনশীল লাভজনক ফসল। অল্পখরচ আর পরিশ্রমে ভালো ফলন আর বাজারদর ভালো হওয়ায় ভৈরবের কৃষকদের মাঝে এই তেলজাতীয় ফসলটির চাষাবাদে আগ্রহ বাড়ছে।
এদিকে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত এই তেলবীজটির অধিক চাষাবাদ ও ফলনের জন্য কৃষি বিভাগ বীজ-সারের প্রণোদনাসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা করে যাচ্ছে। ফলে এক সময় এখানে এই ফসলটির উৎপাদন আশারূপ বৃদ্ধি পাবে বলে বিশ্বাস তাদের।
এক বিঘা জমির বীজ থেকে বিক্রি আসে এক লাখ ১০-২০ হাজার টাকা। এতে নিট মুনাফা আসে ৯০ থেকে এক লাখ টাকা। অন্যদিকে ফুলের খোসা ও গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে তাদের জ্বালানি খরচ সাশ্রয় হয়
প্রস্ফুটিত ফুলে ফুলে নয়নাভিরাম দৃশ্যপট ভৈরবের সূর্যমুখীর জমিতে। গাঢ় হলুদবর্ণের ফুলের মাঝখানে শক্তদানার বৃত্ত। সেই ফুলে ফুলে মৌমাছির ঘন ঘন যাতায়াত। জানান দিচ্ছে ভালো ফলনের।
চৈত্রের মৃদুমন্দ বাতাসে ভরা জমিতে দোলছে সূর্যমুখী ফুল। এ যেনো ‘কৃষকের স্বপ্নদোলে, সূর্যমুখীর ফুলে”
কৃষকরা জানায়, সূর্যমুখী চাষে খরচ খুবই কম। পরিশ্রমও খুব একটা নেই। এক বিঘা জমি চাষে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার এত খরচ হয়। প্রতি কেজি বীজ দুইশ থেকে দুইশ ১০-২০ টাকা দরে বিক্রি করা যায়। ফলে এক বিঘা জমির বীজ থেকে বিক্রি আসে এক লাখ ১০-২০ হাজার টাকা। এতে নিট মুনাফা আসে ৯০ থেকে এক লাখ টাকা। অন্যদিকে ফুলের খোসা ও গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে তাদের জ্বালানি খরচ সাশ্রয় হয়।
ভৈরব পৌর এলাকার লক্ষ্মীপুরের কৃষক আবুল বাশার জানান, তিনি চলতি মৌসুমে প্রথমবারের এত আধাবিঘা জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেছেন। এতে তার ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। যদি লাভবান হন, তবে আগামীতে ৪-৫ বিঘা জমিতে চাষাবাদের পরিকল্পনা রয়েছে।
সাদেকপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের কৃষাণী স্বপ্না বেগম জানান, তিনি গত বছর এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেন। এতে তার খরচ হয়েছিল ২০ হাজার টাকা।
তিনি দুইশ টাকা কেজি দরে একটি সিড কোম্পানির কাছে বীজ বিক্রি করেন এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ফলে তার নিট লাভ হয় ৯০ হাজার টাকা। তিনি এবারও একই পরিমাণ জমিতে চাষাবাদ করেছেন। এবারও তিনি লাভবান হবেন বলে আশাবাদী।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম জানান, সূর্যমুখী একটি উচ্চফলনশীল তৈলজাতীয় ফসল যা মানবদেহের জন্য খুবই পুষ্টিকর ও উপকারী। বাজারে এই ফসলটির প্রচুর চাহিদা থাকায় দরও ভালো। এতে করে এর চাষাবাদে কৃষক খুব লাভবান হয়।
এই ফসলটি চাষাবাদে খরচ ও শ্রম খুব কম। তেলবীজ ছাড়াও এর আঁটি ও খোসা গো-খাদ্য ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে কৃষকরা উপকৃত হন।
তাই এই লাভজনক ফসলটি চাষাবাদের তার বিভাগ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ বীজ, সার প্রণোদনা হিসেবে দিয়ে যাচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে এখানে এই ফসলটির আবাদ আশানুরূপ হবে বলে তার ধারণা।
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
সূর্যমুখী চাষে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন বুনছে ভৈরবের কৃষকরা। এখন তাদের জমিতে প্রস্ফুটিত ফুলের মৌতাত চারদিকের বাতাসকে সুবাসিত করছে। মৃদুমন্দ বাতাসে দোলছে হলুদে ফুল। যেনে কৃষকের স্বপ্নই দোলছে সূর্যমুখীর ফুলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সূর্যমুখী একটি উচ্চফলনশীল লাভজনক ফসল। অল্পখরচ আর পরিশ্রমে ভালো ফলন আর বাজারদর ভালো হওয়ায় ভৈরবের কৃষকদের মাঝে এই তেলজাতীয় ফসলটির চাষাবাদে আগ্রহ বাড়ছে।
এদিকে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত এই তেলবীজটির অধিক চাষাবাদ ও ফলনের জন্য কৃষি বিভাগ বীজ-সারের প্রণোদনাসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা করে যাচ্ছে। ফলে এক সময় এখানে এই ফসলটির উৎপাদন আশারূপ বৃদ্ধি পাবে বলে বিশ্বাস তাদের।
এক বিঘা জমির বীজ থেকে বিক্রি আসে এক লাখ ১০-২০ হাজার টাকা। এতে নিট মুনাফা আসে ৯০ থেকে এক লাখ টাকা। অন্যদিকে ফুলের খোসা ও গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে তাদের জ্বালানি খরচ সাশ্রয় হয়
প্রস্ফুটিত ফুলে ফুলে নয়নাভিরাম দৃশ্যপট ভৈরবের সূর্যমুখীর জমিতে। গাঢ় হলুদবর্ণের ফুলের মাঝখানে শক্তদানার বৃত্ত। সেই ফুলে ফুলে মৌমাছির ঘন ঘন যাতায়াত। জানান দিচ্ছে ভালো ফলনের।
চৈত্রের মৃদুমন্দ বাতাসে ভরা জমিতে দোলছে সূর্যমুখী ফুল। এ যেনো ‘কৃষকের স্বপ্নদোলে, সূর্যমুখীর ফুলে”
কৃষকরা জানায়, সূর্যমুখী চাষে খরচ খুবই কম। পরিশ্রমও খুব একটা নেই। এক বিঘা জমি চাষে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার এত খরচ হয়। প্রতি কেজি বীজ দুইশ থেকে দুইশ ১০-২০ টাকা দরে বিক্রি করা যায়। ফলে এক বিঘা জমির বীজ থেকে বিক্রি আসে এক লাখ ১০-২০ হাজার টাকা। এতে নিট মুনাফা আসে ৯০ থেকে এক লাখ টাকা। অন্যদিকে ফুলের খোসা ও গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে তাদের জ্বালানি খরচ সাশ্রয় হয়।
ভৈরব পৌর এলাকার লক্ষ্মীপুরের কৃষক আবুল বাশার জানান, তিনি চলতি মৌসুমে প্রথমবারের এত আধাবিঘা জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেছেন। এতে তার ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। যদি লাভবান হন, তবে আগামীতে ৪-৫ বিঘা জমিতে চাষাবাদের পরিকল্পনা রয়েছে।
সাদেকপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের কৃষাণী স্বপ্না বেগম জানান, তিনি গত বছর এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেন। এতে তার খরচ হয়েছিল ২০ হাজার টাকা।
তিনি দুইশ টাকা কেজি দরে একটি সিড কোম্পানির কাছে বীজ বিক্রি করেন এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ফলে তার নিট লাভ হয় ৯০ হাজার টাকা। তিনি এবারও একই পরিমাণ জমিতে চাষাবাদ করেছেন। এবারও তিনি লাভবান হবেন বলে আশাবাদী।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম জানান, সূর্যমুখী একটি উচ্চফলনশীল তৈলজাতীয় ফসল যা মানবদেহের জন্য খুবই পুষ্টিকর ও উপকারী। বাজারে এই ফসলটির প্রচুর চাহিদা থাকায় দরও ভালো। এতে করে এর চাষাবাদে কৃষক খুব লাভবান হয়।
এই ফসলটি চাষাবাদে খরচ ও শ্রম খুব কম। তেলবীজ ছাড়াও এর আঁটি ও খোসা গো-খাদ্য ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে কৃষকরা উপকৃত হন।
তাই এই লাভজনক ফসলটি চাষাবাদের তার বিভাগ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ বীজ, সার প্রণোদনা হিসেবে দিয়ে যাচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে এখানে এই ফসলটির আবাদ আশানুরূপ হবে বলে তার ধারণা।