alt

সারাদেশ

মধ্যপাড়া খনিতে ১২ লাখ টন পাথর মজুদ, ক্রেতা নেই

প্রতিনিধি, দিনাজপুর : শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

দেশের একমাত্র পাথর খনির অত্যন্ত মানসম্মত পাথর দেশের মেঘা প্রকল্পগুলোর কাজ বন্ধ থাকায় বা ব্যবহার না হওয়ায় মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি’র উৎপাদিত পাথর অবিত্রিুত অবস্থায় খনি ইয়ার্ডে স্তুুপ হয়ে আছে। খনি কর্তৃপক্ষ বলছেন, পূর্বের তুলনায় পাথর বিত্রিুর পরিমান বেড়েছে।

অচিরেই মধ্যপাড়ার বোল্ডার অন্তর্ভুক্ত হবে। খনিতে প্রায় ১২ লাখ টন পাথর মজুদ রয়েছে- যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪শ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ২৪৫ কোটি টাকার ৯ লাখ টন পাথর বিক্রি হয়েছে
রেলপথের জন্য ব্লাস্ট পাথর, বোল্ডার, নদী শাসন কাজে ব্যবহার না হওয়ায় দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনির ১৪টি ইয়ার্ডে প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন মজুদ রয়েছে। ব্লাস্ট ও বোল্ডারের অন্যতম ক্রেতা বাংলাদেশ রেলওয়ে ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু ওই দুই সরকারি প্রতিষ্ঠানে মধ্যপাড়ার পাথর ব্যবহার না করায় পাথরের স্তুপ। মধ্যপাড়া পাথর খনিতে উৎপাদনের ৫১ শতাংশ ব্লাস্ট ও বোল্ডার। অথচ এই দুই সাইজের পাথরের বিক্রি নেই। মধ্যপাড়া থেকে বছরে বিভিন্ন সাইজের প্রায় ১৫ লাখ টন পাথর উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে ৫-২০ মিলি সাইজ ১৮ শতাংশ, ২০-৪০ মিলি সাইজ ৫ শতাংশ, ৪০-৬০ মিলি (ব্লাস্ট) সাইজ ৩৪ শতাংশ, ৬০-৮০ মিলি সাইজ ১১ শতাংশ, বোল্ডার সাইজ ১৭শতাংশ ও ০-৫ মিলি (স্টোন ডাস্ট) সাইজ ১৫ শতাংশ। অধিকাংশ নির্মাণ কাজে থ্রি ফোর (৮-১২মিলি) সাইজের পাথর ব্যবহৃত হয়। তবে, ৫-২০ মিলি সাইজ থ্রি ফোর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই সাইজের পাথরের চাহিদা প্রচুর। কিন্তু উৎপাদন হয় মাত্র ১৮ শতাংশ।

সম্প্রতি রেলের পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আলোকে বাকিতে ব্লাস্ট পাথর সরবরাহ শুরু করেছে। নদীশাসন কাজে খনির বোল্ডার প্রচলিত ব্লকের তুলনায় অনেক বেশি টেকসই, উন্নতমানের ও আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড মধ্যপাড়া বোল্ডার ব্যবহার করে না। এখানকার স্টোন ডাস্ট সড়ক নির্মাণে সিলকোট কাজে ব্যবহার উপযোগী হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ল্যাবে উত্তীর্ণ। এরপরও এলজিইডির কাজে মধ্যপাড়ার স্টোন ডাস্ট ব্যবহার না করে আমদানিকৃত স্টোন ডাস্ট দিয়ে রাস্তার সিলকোট সম্পাদন করা হয়।

মধ্যপাড়া পাথর খনির উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) সৈয়দ রফিজুল ইসলাম বলেন, আমদানী পাথরের উপর শুল্ক বৃদ্ধি এবং মধ্যপাড়ার পাথরের ট্যারিফ ভ্যালু বৃদ্ধি প্রয়োজন। এতে পাথরের বিক্রিতে সুবিধা হবে এবং দেশের একমাত্র ভূগর্ভস্থ পাথর খনিটিকেও বাঁচিয়ে রাখা যাবে। এই কর্মকতা আরও বলেন, রেল ও পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নিলে আজকে পাথরে মজুদ হতো না। মধ্যপাড়ার পাথর যমুনা সেতুতে ব্যবহার করা হয়নি। বর্তমান দেশের মেঘা প্রকল্প বন্ধ থাকায় এই পাথর ব্যবহার হচ্ছে না। ২০২৫ সালের গত ১২ ফেব্রুয়ারী পশ্চিমাঞ্চল রেলে পাথর ব্যবহার বিষয়ে মধ্যপাড়ার দ্বিমুখি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। রেলের পূর্বাঞ্চলে অনুরুপভাবে চুক্তির বিষয়টি চলমান রয়েছে। তবে, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে তাদেরকে অচিরেই মধ্যপাড়ার বোল্ডার অন্তভূক্ত হবে। খনিতে প্রায় ১২ লক্ষ মেট্রিক টন পাথর মজুদ রয়েছে- যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা। চলতি অর্থ বছরে ২৪৫ কোটি টাকার ৯ লাখ মেট্রিক টন পাথর বিক্রি হয়েছে। খনিটি ২০০৭ সালে বাণিজ্যিকভাবে পাথর উৎপাদনে যায়। কিন্ত প্রতিদিন পাথর উত্তোলন হয় ৭শ’ থেকে ৮শ’ মেট্রিক টন। খনিটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়ে পড়েছিল। ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর সরকারের সঙ্গে উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খনির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি হয় জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর সঙ্গে। জিটিসি ইউক্রেন, রাশিয়ান ও বেলারুশের সুদক্ষ মাইনিং বিষেশজ্ঞ দল ও দেশীয় শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে পাথর খনি থেকে দৈনিক সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করে। জিটিসি খনি’র সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর হতেই খনিটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়। জিটিসিথর হাত ধরে গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে প্রথম মধ্যপাড়া পাথর খনিটি লাভের মুখ দেখতে পায়। সেটি টানা ৫ বছর ধরে এখনো অব্যাহত রয়েছে। জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) খনির দায়িত্ব গ্রহণের পর খনির আভ্যন্তরীন নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে জিটিসি দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বিদেশী খনি বিশেষজ্ঞ ও দেশীয় খনি শ্রমিক দিয়ে খনিটিকে সচল রেখেছে। বর্তমান চুক্তিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পাথর উৎপাদন করছে মধ্যপাড়া পাথর খনি। মোট উৎপাদনের পরিমান দাঁড়িয়েছে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন। পাথর উৎপাদনের এই গতি অব্যাহত থাকলে উৎপাদন খরচ, সরকারকে দেয় ভ্যাট ও আয়কর প্রদান করেও মজুতকৃত পাথর বিক্রি করে খনিটি তাদের লাভের যাত্রা ধরে রাখতে সক্ষম হবে।

মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী ডি.এম জোবায়েদ হোসেন বলেন, পাথর উৎপাদন কাজে বিস্ফোরক কিনতে ছিল ০% পারছেন। এখন তা ৩৭% করা হয়েছে। পূর্বের ঋত মওকুফ দরকার। মধ্যপাড়া রেলপথে ১৪ কিলোমিটার রেললাইন সংস্কার হলে পূর্বাঞ্চল রেলে পাথর পরিবহনে খরচ কমবে। রয়্যালটি হার ৪% থেকে কমিয়ে ১% নির্ধারন করা দরকার। খনি গেটে স্থানীয় ক্রেতাদের চাহিদা বিবেচনা করে শীগ্রই ক্রাসিং পয়েন্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বর্তমান পাথর বিক্রির পরিমাণ অনেক বেড়েছে এবং একই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সফল আলোচনার মাধ্যমে পাথর বিক্রয়ে গতিশীলতা এসেছে। জিটিসির পাথর উত্তোলন এই ধারা অব্যাহত থাকায় উৎপাদন খরচ, ভ্যাট ও আয়কর প্রদান করে খনির ইয়ার্ডে মজুতকৃত লাভের পাথর প্রায় ৪শ’ কোটি টাকার। আর এই লাভের পাথর বিক্রয় হলে খনিটি আরও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

ছবি

এখন আর নতুন করে কেউ তৈরি করছে না ‘শান্তির নীড়’ মাটির ঘর

শ্রীমঙ্গলে হাওর থেকে নিষিদ্ধ জাল জব্দ

লামায় অস্ত্র সরঞ্জামসহ ৯ অপহরণকারী আটক

ছবি

উপকূল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখি

সিংগাইরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত ১, আহত ৫

কালীগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযান : ৫ জনের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড

ছবি

নৌকার ব্যবহার কমায় কমছে কাঠ মিস্ত্রিদের আয়-রোজগার

ছবি

কচুয়ায় ভাঙা ঘরে রিকশাচালক দুলাল মিয়ার বসবাস

ছবি

স্বজনদের আহাজারি থামছে না দ্রুত বিচার দাবি

নোয়াখালীতে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রবাসী নিহত

চাঁদপুর ঘাটে মাছের আমদানি কম, কেজি দরে ইলিশের ডিম!

দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ছবি

বর্ষণে বেতাগীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, দুর্ভোগে স্বল্প আয়ের মানুষ

মব জাস্টিস বিরুদ্ধে কঠোর থাকবে সেনাবাহিনী

‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে পোস্টার ছাপিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়া দরকার’

বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়ল

দলীয় কোন্দলে অস্থির মতলব বিএনপি

ফুলপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

ডুমুরিয়ায় কাঁঠালের ফলন ভালো না হওয়ায় বাগান মালিকরা হতাশ

ছবি

১৪ বছরের শিশুর জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন আড়াই লাখ টাকা

পাহাড়ি এলাকায় মৌমাছি পালন প্রশিক্ষণ

বাগেরহাটে ডাকাতি

ভুয়া অ্যাকাউন্টে আওয়ামী লীগের পক্ষে রাজনৈতিক অপতৎপরতা শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার

ছবি

সিংড়ায় আত্রাই নদীতে জমে থাকা কচুরিপানা পরিষ্কারের উদ্যোগ

চুয়াডাঙ্গায় পিস্তল, গুলি টাকাসহ সন্ত্রাসী আটক

পরিত্যক্ত ট্রেন নাইটিং কক্ষে চলছে রেল নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম

গফরগাঁওয়ে কৃষক কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

লিবিয়া থেকে আরও ১২৩ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে

কটিয়াদীতে বেকারত্ব কমাচ্ছে অটোরিকশা

ছবি

এক কালের খরস্রোতা ভূবেনেশ^র নদী এখন মৃতপ্রায়

সোনারগাঁয়ে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি ট্রাক মালিকদের

ছবি

পলাশে ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব

ছবি

মোরেলগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ভূমি অফিসের কার্যক্রম

নবীগঞ্জে সিআইডি পরিচয়ে শিক্ষককে অপহরণের চেষ্টা, আটক ২

tab

সারাদেশ

মধ্যপাড়া খনিতে ১২ লাখ টন পাথর মজুদ, ক্রেতা নেই

প্রতিনিধি, দিনাজপুর

শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

দেশের একমাত্র পাথর খনির অত্যন্ত মানসম্মত পাথর দেশের মেঘা প্রকল্পগুলোর কাজ বন্ধ থাকায় বা ব্যবহার না হওয়ায় মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি’র উৎপাদিত পাথর অবিত্রিুত অবস্থায় খনি ইয়ার্ডে স্তুুপ হয়ে আছে। খনি কর্তৃপক্ষ বলছেন, পূর্বের তুলনায় পাথর বিত্রিুর পরিমান বেড়েছে।

অচিরেই মধ্যপাড়ার বোল্ডার অন্তর্ভুক্ত হবে। খনিতে প্রায় ১২ লাখ টন পাথর মজুদ রয়েছে- যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪শ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ২৪৫ কোটি টাকার ৯ লাখ টন পাথর বিক্রি হয়েছে
রেলপথের জন্য ব্লাস্ট পাথর, বোল্ডার, নদী শাসন কাজে ব্যবহার না হওয়ায় দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনির ১৪টি ইয়ার্ডে প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন মজুদ রয়েছে। ব্লাস্ট ও বোল্ডারের অন্যতম ক্রেতা বাংলাদেশ রেলওয়ে ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু ওই দুই সরকারি প্রতিষ্ঠানে মধ্যপাড়ার পাথর ব্যবহার না করায় পাথরের স্তুপ। মধ্যপাড়া পাথর খনিতে উৎপাদনের ৫১ শতাংশ ব্লাস্ট ও বোল্ডার। অথচ এই দুই সাইজের পাথরের বিক্রি নেই। মধ্যপাড়া থেকে বছরে বিভিন্ন সাইজের প্রায় ১৫ লাখ টন পাথর উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে ৫-২০ মিলি সাইজ ১৮ শতাংশ, ২০-৪০ মিলি সাইজ ৫ শতাংশ, ৪০-৬০ মিলি (ব্লাস্ট) সাইজ ৩৪ শতাংশ, ৬০-৮০ মিলি সাইজ ১১ শতাংশ, বোল্ডার সাইজ ১৭শতাংশ ও ০-৫ মিলি (স্টোন ডাস্ট) সাইজ ১৫ শতাংশ। অধিকাংশ নির্মাণ কাজে থ্রি ফোর (৮-১২মিলি) সাইজের পাথর ব্যবহৃত হয়। তবে, ৫-২০ মিলি সাইজ থ্রি ফোর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই সাইজের পাথরের চাহিদা প্রচুর। কিন্তু উৎপাদন হয় মাত্র ১৮ শতাংশ।

সম্প্রতি রেলের পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আলোকে বাকিতে ব্লাস্ট পাথর সরবরাহ শুরু করেছে। নদীশাসন কাজে খনির বোল্ডার প্রচলিত ব্লকের তুলনায় অনেক বেশি টেকসই, উন্নতমানের ও আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড মধ্যপাড়া বোল্ডার ব্যবহার করে না। এখানকার স্টোন ডাস্ট সড়ক নির্মাণে সিলকোট কাজে ব্যবহার উপযোগী হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ল্যাবে উত্তীর্ণ। এরপরও এলজিইডির কাজে মধ্যপাড়ার স্টোন ডাস্ট ব্যবহার না করে আমদানিকৃত স্টোন ডাস্ট দিয়ে রাস্তার সিলকোট সম্পাদন করা হয়।

মধ্যপাড়া পাথর খনির উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) সৈয়দ রফিজুল ইসলাম বলেন, আমদানী পাথরের উপর শুল্ক বৃদ্ধি এবং মধ্যপাড়ার পাথরের ট্যারিফ ভ্যালু বৃদ্ধি প্রয়োজন। এতে পাথরের বিক্রিতে সুবিধা হবে এবং দেশের একমাত্র ভূগর্ভস্থ পাথর খনিটিকেও বাঁচিয়ে রাখা যাবে। এই কর্মকতা আরও বলেন, রেল ও পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নিলে আজকে পাথরে মজুদ হতো না। মধ্যপাড়ার পাথর যমুনা সেতুতে ব্যবহার করা হয়নি। বর্তমান দেশের মেঘা প্রকল্প বন্ধ থাকায় এই পাথর ব্যবহার হচ্ছে না। ২০২৫ সালের গত ১২ ফেব্রুয়ারী পশ্চিমাঞ্চল রেলে পাথর ব্যবহার বিষয়ে মধ্যপাড়ার দ্বিমুখি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। রেলের পূর্বাঞ্চলে অনুরুপভাবে চুক্তির বিষয়টি চলমান রয়েছে। তবে, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে তাদেরকে অচিরেই মধ্যপাড়ার বোল্ডার অন্তভূক্ত হবে। খনিতে প্রায় ১২ লক্ষ মেট্রিক টন পাথর মজুদ রয়েছে- যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা। চলতি অর্থ বছরে ২৪৫ কোটি টাকার ৯ লাখ মেট্রিক টন পাথর বিক্রি হয়েছে। খনিটি ২০০৭ সালে বাণিজ্যিকভাবে পাথর উৎপাদনে যায়। কিন্ত প্রতিদিন পাথর উত্তোলন হয় ৭শ’ থেকে ৮শ’ মেট্রিক টন। খনিটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়ে পড়েছিল। ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর সরকারের সঙ্গে উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খনির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি হয় জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর সঙ্গে। জিটিসি ইউক্রেন, রাশিয়ান ও বেলারুশের সুদক্ষ মাইনিং বিষেশজ্ঞ দল ও দেশীয় শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে পাথর খনি থেকে দৈনিক সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করে। জিটিসি খনি’র সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর হতেই খনিটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়। জিটিসিথর হাত ধরে গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে প্রথম মধ্যপাড়া পাথর খনিটি লাভের মুখ দেখতে পায়। সেটি টানা ৫ বছর ধরে এখনো অব্যাহত রয়েছে। জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) খনির দায়িত্ব গ্রহণের পর খনির আভ্যন্তরীন নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে জিটিসি দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বিদেশী খনি বিশেষজ্ঞ ও দেশীয় খনি শ্রমিক দিয়ে খনিটিকে সচল রেখেছে। বর্তমান চুক্তিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পাথর উৎপাদন করছে মধ্যপাড়া পাথর খনি। মোট উৎপাদনের পরিমান দাঁড়িয়েছে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন। পাথর উৎপাদনের এই গতি অব্যাহত থাকলে উৎপাদন খরচ, সরকারকে দেয় ভ্যাট ও আয়কর প্রদান করেও মজুতকৃত পাথর বিক্রি করে খনিটি তাদের লাভের যাত্রা ধরে রাখতে সক্ষম হবে।

মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী ডি.এম জোবায়েদ হোসেন বলেন, পাথর উৎপাদন কাজে বিস্ফোরক কিনতে ছিল ০% পারছেন। এখন তা ৩৭% করা হয়েছে। পূর্বের ঋত মওকুফ দরকার। মধ্যপাড়া রেলপথে ১৪ কিলোমিটার রেললাইন সংস্কার হলে পূর্বাঞ্চল রেলে পাথর পরিবহনে খরচ কমবে। রয়্যালটি হার ৪% থেকে কমিয়ে ১% নির্ধারন করা দরকার। খনি গেটে স্থানীয় ক্রেতাদের চাহিদা বিবেচনা করে শীগ্রই ক্রাসিং পয়েন্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বর্তমান পাথর বিক্রির পরিমাণ অনেক বেড়েছে এবং একই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সফল আলোচনার মাধ্যমে পাথর বিক্রয়ে গতিশীলতা এসেছে। জিটিসির পাথর উত্তোলন এই ধারা অব্যাহত থাকায় উৎপাদন খরচ, ভ্যাট ও আয়কর প্রদান করে খনির ইয়ার্ডে মজুতকৃত লাভের পাথর প্রায় ৪শ’ কোটি টাকার। আর এই লাভের পাথর বিক্রয় হলে খনিটি আরও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

back to top