ময়মনসিংহের ফুলপুর ও তারাকান্দায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। এর মধ্যে শুক্রবার রাতে বাস-মাহেন্দ্রা সংঘর্ষে ফুলপুরে মারা গেছেন ৮ জন এবং বিকেলে তারাকান্দায় অ্যাম্বুল্যান্স ও অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফুলপুরে বাস-মাহেন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ৮
রাত পৌনে ৯টার দিকে ফুলপুর উপজেলার কুরিয়ার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় হালুয়াঘাটগামী যাত্রীবাহী মাহেন্দ্রার সঙ্গে ঢাকামুখী শ্যামলী বাংলা পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন মারা যান। পরে হাসপাতালে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়।
নিহতদের মধ্যে পরিচয় পাওয়া গেছে ফরিদ মিয়া (৩৮), জহর আলী (৭০), হাসিনা খাতুন (৫০), শামসুদ্দিন (৬৫) ও আজিম উদ্দিন (৩৫)। তারা সবাই মাহেন্দ্রার যাত্রী।
ফুলপুর থানার ওসি মো. আব্দুল হাদি জানান, বেপরোয়া গতির বাসটি মাহেন্দ্রাকে চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তারাকান্দায় অ্যাম্বুল্যান্স-অটোরিকশা সংঘর্ষে মৃত্যু ৩ জনের
তারাকান্দার রামচন্দ্রপুরে ময়মনসিংহ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বিপরীতমুখী একটি অ্যাম্বুল্যান্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জবেদা খাতুন (৮৫) ও কিশোর রাকিবুল হাসান (১৫)। আহত হন আরও পাঁচজন।
আহতদের মধ্যে অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ আলম (৩৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তারাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ টিপু সুলতান জানান, অ্যাম্বুল্যান্সটি হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলেও এতে কোনো রোগী ছিল না। সংঘর্ষের পর চালক পালিয়ে যান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফুলপুরে গিয়ে পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, “চালকদের অদক্ষতা ও বেপরোয়া গতি এ দুর্ঘটনার কারণ। আহতদের চিকিৎসায় আমরা সহায়তা করছি এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
ময়মনসিংহের ফুলপুর ও তারাকান্দায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। এর মধ্যে শুক্রবার রাতে বাস-মাহেন্দ্রা সংঘর্ষে ফুলপুরে মারা গেছেন ৮ জন এবং বিকেলে তারাকান্দায় অ্যাম্বুল্যান্স ও অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফুলপুরে বাস-মাহেন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ৮
রাত পৌনে ৯টার দিকে ফুলপুর উপজেলার কুরিয়ার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় হালুয়াঘাটগামী যাত্রীবাহী মাহেন্দ্রার সঙ্গে ঢাকামুখী শ্যামলী বাংলা পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন মারা যান। পরে হাসপাতালে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়।
নিহতদের মধ্যে পরিচয় পাওয়া গেছে ফরিদ মিয়া (৩৮), জহর আলী (৭০), হাসিনা খাতুন (৫০), শামসুদ্দিন (৬৫) ও আজিম উদ্দিন (৩৫)। তারা সবাই মাহেন্দ্রার যাত্রী।
ফুলপুর থানার ওসি মো. আব্দুল হাদি জানান, বেপরোয়া গতির বাসটি মাহেন্দ্রাকে চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তারাকান্দায় অ্যাম্বুল্যান্স-অটোরিকশা সংঘর্ষে মৃত্যু ৩ জনের
তারাকান্দার রামচন্দ্রপুরে ময়মনসিংহ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বিপরীতমুখী একটি অ্যাম্বুল্যান্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জবেদা খাতুন (৮৫) ও কিশোর রাকিবুল হাসান (১৫)। আহত হন আরও পাঁচজন।
আহতদের মধ্যে অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ আলম (৩৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তারাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ টিপু সুলতান জানান, অ্যাম্বুল্যান্সটি হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলেও এতে কোনো রোগী ছিল না। সংঘর্ষের পর চালক পালিয়ে যান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফুলপুরে গিয়ে পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, “চালকদের অদক্ষতা ও বেপরোয়া গতি এ দুর্ঘটনার কারণ। আহতদের চিকিৎসায় আমরা সহায়তা করছি এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”