ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
পাষ- পিতা ও মায়ের কারণে দুইটি কন্যা সন্তানের ভবিষ্যত অনির্শ্চিত হয়ে পড়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় লাখাই উপজেলার করাব গ্রামের সামছু মিয়ার মেয়ে সাবিনা আক্তার এবং পশ্চিম বুল্লা গ্রামের আরুসতন মিয়ার ছেলে রহুল আমিনের সাথে আজ থেকে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে সৃষ্টি হয় ঝামেলা। তার মধ্যেই জন্মগ্রহণ করে তাদের কন্যা সুপ্রীয়া আক্তার প্রায় ৪ বছর, এর পরের জম্ম নেয় আর একটি কন্যা সন্তান মীনহা আক্তার প্রায় ২ বছর। তাদের স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া যেন দিন দিন বেড়েই চলছে।
এলাকা বাসী জানায়,তাদের ঝগড়ার ব্যাপারে মাসে ২/৩ বার বিচার শালিস হয়। সাবিনা প্রায়ই বাবার বাড়িত আটক থাকে। গত তিন অক্টোবর তাদের স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া নিয়ে এলাকার মুরুব্বিয়ান শালিসে বসে মীমাংশা করে দেয় এবং পরের দিন ৪ অক্টোবর স্ত্রী সাবিনা স্বামীর বাড়িতে যাওয়া কথা। কিন্তু সাবিনা পরের দিন স্বামীর বাড়িতে যাইতে তার স্বামীকে অস্বীকৃতি জানায় পরে স্বামী চলে যায়।
ঐ দিনই সাবিনা বাচ্চা দুইটিকে বাবা সামছু মিয়ার বাড়িতে রেখে অলিপুর কোম্পানিতে চলে যায়। পরে নানা সামছু মিয়া দুইটি কন্যান সন্তানকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাড়ির পাশে আব্দুল গনি রোডে রেখে চলে যায়। পাশের বাড়ির অদুদ মিয়া বলে আমি রাস্তা দিয়ে যাইতে বাচ্চা দুইটির আর্তচিৎকার শুনে বাচ্চা দুইটি কাছে গিয়ে চিনতে পেরে বাচ্চা দুইটিকে নিয়ে নানা সামছু মিয়ার বাড়িতে আসে কিন্তু সামছু মিয়া বচ্চাদেরকে রাখতে অপরাগতা প্রকাশ করে বাচ্চাদেরকে রাস্তায় ফেলে আসার কথা বলে। পরে আমি বাচ্চার বাবার সাথে যোগাযোগ করলে বাবাও বাচ্চাদেরকে নিতে অপরাগতা প্রকাশ করে। তখন আমি গত বুধবার উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের সৈয়দ আহম্মদ বাচ্চা দুইটিকে নিয়ে যোগাযোগ করিলে তারা আমাকে থানা সাধারন ডায়েরী করতে বলে আমি থানায় সাধারন ডায়েরী করি। পরে থানার সহযোগীতায় সমাজ সেবা অফিস মা বাবার বাড়িতে আসে বাচ্চাদেরকে রাখতে বললে নানা সামছু মিয়া প্রথমে অস্বীকার করে পরে ৩/৪ দিনের জন্য বাচ্চা একটিকে নানার জিম্মায় রাখে। অন্য একটিকে অদুদ মিয়ার জিম্মআয় ৩/৪ দিনের জন্য রেখে যান। বাবা রহুল আমিনের বাড়িতে গিয়ে ঘড়ে তালা দেয়া পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে সমাজ সেবা কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা আইন অনুযায়ী কাজ করব। আইনে যে ভাবে বলা আছে আমরা সেই ভাবেই করব। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বন্দে আলী জানান পুলিশের পিএস আই মুন্না মিয়া ও সমাজ সেবার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সন্তানদের তাদের পিতা মাতার কাছে পাঠানো হয়েছে এবং আপাতত সন্তান ২টি কে নানা ও অপর একজনের কাছে জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
এখন সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে কেন বাচ্চাকে নিতে অস্বীকার করছে তার মা ও তার বাবা প্রশাসন কি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
পাষ- পিতা ও মায়ের কারণে দুইটি কন্যা সন্তানের ভবিষ্যত অনির্শ্চিত হয়ে পড়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় লাখাই উপজেলার করাব গ্রামের সামছু মিয়ার মেয়ে সাবিনা আক্তার এবং পশ্চিম বুল্লা গ্রামের আরুসতন মিয়ার ছেলে রহুল আমিনের সাথে আজ থেকে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে সৃষ্টি হয় ঝামেলা। তার মধ্যেই জন্মগ্রহণ করে তাদের কন্যা সুপ্রীয়া আক্তার প্রায় ৪ বছর, এর পরের জম্ম নেয় আর একটি কন্যা সন্তান মীনহা আক্তার প্রায় ২ বছর। তাদের স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া যেন দিন দিন বেড়েই চলছে।
এলাকা বাসী জানায়,তাদের ঝগড়ার ব্যাপারে মাসে ২/৩ বার বিচার শালিস হয়। সাবিনা প্রায়ই বাবার বাড়িত আটক থাকে। গত তিন অক্টোবর তাদের স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া নিয়ে এলাকার মুরুব্বিয়ান শালিসে বসে মীমাংশা করে দেয় এবং পরের দিন ৪ অক্টোবর স্ত্রী সাবিনা স্বামীর বাড়িতে যাওয়া কথা। কিন্তু সাবিনা পরের দিন স্বামীর বাড়িতে যাইতে তার স্বামীকে অস্বীকৃতি জানায় পরে স্বামী চলে যায়।
ঐ দিনই সাবিনা বাচ্চা দুইটিকে বাবা সামছু মিয়ার বাড়িতে রেখে অলিপুর কোম্পানিতে চলে যায়। পরে নানা সামছু মিয়া দুইটি কন্যান সন্তানকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাড়ির পাশে আব্দুল গনি রোডে রেখে চলে যায়। পাশের বাড়ির অদুদ মিয়া বলে আমি রাস্তা দিয়ে যাইতে বাচ্চা দুইটির আর্তচিৎকার শুনে বাচ্চা দুইটি কাছে গিয়ে চিনতে পেরে বাচ্চা দুইটিকে নিয়ে নানা সামছু মিয়ার বাড়িতে আসে কিন্তু সামছু মিয়া বচ্চাদেরকে রাখতে অপরাগতা প্রকাশ করে বাচ্চাদেরকে রাস্তায় ফেলে আসার কথা বলে। পরে আমি বাচ্চার বাবার সাথে যোগাযোগ করলে বাবাও বাচ্চাদেরকে নিতে অপরাগতা প্রকাশ করে। তখন আমি গত বুধবার উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের সৈয়দ আহম্মদ বাচ্চা দুইটিকে নিয়ে যোগাযোগ করিলে তারা আমাকে থানা সাধারন ডায়েরী করতে বলে আমি থানায় সাধারন ডায়েরী করি। পরে থানার সহযোগীতায় সমাজ সেবা অফিস মা বাবার বাড়িতে আসে বাচ্চাদেরকে রাখতে বললে নানা সামছু মিয়া প্রথমে অস্বীকার করে পরে ৩/৪ দিনের জন্য বাচ্চা একটিকে নানার জিম্মায় রাখে। অন্য একটিকে অদুদ মিয়ার জিম্মআয় ৩/৪ দিনের জন্য রেখে যান। বাবা রহুল আমিনের বাড়িতে গিয়ে ঘড়ে তালা দেয়া পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে সমাজ সেবা কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা আইন অনুযায়ী কাজ করব। আইনে যে ভাবে বলা আছে আমরা সেই ভাবেই করব। এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বন্দে আলী জানান পুলিশের পিএস আই মুন্না মিয়া ও সমাজ সেবার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সন্তানদের তাদের পিতা মাতার কাছে পাঠানো হয়েছে এবং আপাতত সন্তান ২টি কে নানা ও অপর একজনের কাছে জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
এখন সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে কেন বাচ্চাকে নিতে অস্বীকার করছে তার মা ও তার বাবা প্রশাসন কি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না