লাকসাম (কুমিল্লা) : বস্তা ও বাঁশের খুঁটি দিয়ে রেললাইন মেরামত -সংবাদ
কুমিল্লার লাকসামে রেলওয়ের জমি দখল করে প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে মাছ চাষ করার কারণে রেললাইনের দুই পাশ ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর ফলে লাকসাম থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত রেললাইনের অধিকাংশ অংশে ট্রেন চলাচল ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। অনিরাপদ এই রেললাইনে যে কোনো সময় ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা দাবি যাত্রীদের। সরেজমিনে দেখা গেছে, লাকসাম-নোয়াখালী রেলপথের কালিয়াচৌ এলাকায় সড়কের দুই পাশ ভেঙে পড়ছে। দেবে গেছে রেললাইন। ভেঙে যাওয়া রেললাইন দুই পাশে মাটির বস্তা ও বাঁশের খুঁটি দিয়ে নামমাত্র মেরামত করা হয়েছে। যা স্থানীয়দের কাছে হাস্যকর। রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, রেলপথের দৌলতগঞ্জ, খিলা ও নাথেরপেটুয়া রেলস্টেশনের এলাকায়ও মাছ চাষের কারণে ট্রেন চলাচল দিন দিন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। রেললাইন ভেঙে পড়ার কারণে ট্রেনকে গতি কমিয়ে চলতে হয়।
জানা গেছে, লাকসাম থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত প্রায় ৪৯.৮ কিলোমিটার রেললাইন রয়েছে। এখানে একটি আন্তঃনগর ও একটি এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। রেললাইনের নিরাপত্তার জন্য দুই পাশে কমপক্ষে ৪৮ ফুট জায়গা রাখতে হয়, কিন্তু প্রভাবশালীরা সেই জায়গা খুঁড়ে মাছের ঘের তৈরি করেছেন। মাটির ভাঙনের কারণে রেললাইন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। রুটে চলাচলকারী সাদেকুর রহমান নামে এক যাত্রী জানান, ট্রেন চলার সময় লাইন দোলনার মতো দুলে, মনে হয় যেন ট্রেন পড়ে যাচ্ছে। ফলে ধীরগতি বজায় রেখে ভয়ে চলাচল করতে হয়। এর কারণে যাত্রীসংখ্যাও কমেছে।
সচেতন মহল মনে করেন, রেলওয়ের যথাযথ তদারকির অভাবে অনেকে রেলের জমি দখল করে নিজেদের মতো ব্যবহার করছে। এতে ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে এবং রেলওয়ের মূল্যবান সম্পদ বেদখল হচ্ছে।
কুমিল্লা রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) গোলাম সারোয়ার বলেন, আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়গুলো এখনো আমার নজরে আসেনি। তবে রেল বিভাগের পিডব্লিউ বিভাগ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন শুনেছি। বিস্তারিত জানতে পিডব্লিউ বিভাগের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
লাকসাম (কুমিল্লা) : বস্তা ও বাঁশের খুঁটি দিয়ে রেললাইন মেরামত -সংবাদ
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
কুমিল্লার লাকসামে রেলওয়ের জমি দখল করে প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে মাছ চাষ করার কারণে রেললাইনের দুই পাশ ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর ফলে লাকসাম থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত রেললাইনের অধিকাংশ অংশে ট্রেন চলাচল ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। অনিরাপদ এই রেললাইনে যে কোনো সময় ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা দাবি যাত্রীদের। সরেজমিনে দেখা গেছে, লাকসাম-নোয়াখালী রেলপথের কালিয়াচৌ এলাকায় সড়কের দুই পাশ ভেঙে পড়ছে। দেবে গেছে রেললাইন। ভেঙে যাওয়া রেললাইন দুই পাশে মাটির বস্তা ও বাঁশের খুঁটি দিয়ে নামমাত্র মেরামত করা হয়েছে। যা স্থানীয়দের কাছে হাস্যকর। রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, রেলপথের দৌলতগঞ্জ, খিলা ও নাথেরপেটুয়া রেলস্টেশনের এলাকায়ও মাছ চাষের কারণে ট্রেন চলাচল দিন দিন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। রেললাইন ভেঙে পড়ার কারণে ট্রেনকে গতি কমিয়ে চলতে হয়।
জানা গেছে, লাকসাম থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত প্রায় ৪৯.৮ কিলোমিটার রেললাইন রয়েছে। এখানে একটি আন্তঃনগর ও একটি এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। রেললাইনের নিরাপত্তার জন্য দুই পাশে কমপক্ষে ৪৮ ফুট জায়গা রাখতে হয়, কিন্তু প্রভাবশালীরা সেই জায়গা খুঁড়ে মাছের ঘের তৈরি করেছেন। মাটির ভাঙনের কারণে রেললাইন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। রুটে চলাচলকারী সাদেকুর রহমান নামে এক যাত্রী জানান, ট্রেন চলার সময় লাইন দোলনার মতো দুলে, মনে হয় যেন ট্রেন পড়ে যাচ্ছে। ফলে ধীরগতি বজায় রেখে ভয়ে চলাচল করতে হয়। এর কারণে যাত্রীসংখ্যাও কমেছে।
সচেতন মহল মনে করেন, রেলওয়ের যথাযথ তদারকির অভাবে অনেকে রেলের জমি দখল করে নিজেদের মতো ব্যবহার করছে। এতে ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে এবং রেলওয়ের মূল্যবান সম্পদ বেদখল হচ্ছে।
কুমিল্লা রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) গোলাম সারোয়ার বলেন, আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়গুলো এখনো আমার নজরে আসেনি। তবে রেল বিভাগের পিডব্লিউ বিভাগ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন শুনেছি। বিস্তারিত জানতে পিডব্লিউ বিভাগের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।