মানিকগঞ্জ: পাটের পসরা সাজিয়ে বসে আছে চাষীরা -সংবাদ
মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলার উপজেলার পাটের ফলনে গত বছরের চেয়ে কম হয়েছে। তবে দাম ভাল পেয়ে হাসি ফুটেছে পাট চাষিদের মুখে। বাজারে নতুন পাট বিক্রির শুরুতেই বাড়তি দাম পেয়ে কৃষকদের মধ্যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। পুরাতন ঐতিহ্য ফিরে এসেছে পাট শিল্পে। পাট শিল্পের সাথে জড়িত হাজার হাজার কৃষকের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন হচ্ছে । ফলে দেশের উৎপাদিত সার, চিনি,সিমেন্ট ও ফসলের বীজ সহ বিভিন্ন পন্য সামগ্রী বাজারজাত করতে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহারের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। ভাল দাম পাওয়ায় এবার পাট কাটা,জাগ দেওয়া,আশ ছাড়ানো,শুকানো এবং গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠবে। এ আশায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে মানিকগঞ্জের ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়, হরিরামপুর, সিংগাইর, সাটুরিয়াতে পাট চাষের সাথে জরিত হাজার কৃষক।
মানিকগঞ্জে এক সময় দেশের প্রথম অর্থকরি ফসল সোনালি আশ খ্যাত পাটের আবাদ হতো। হাজার- হাজার মন পাট জেলার বৃহত্তম ঘিওর, বরংগাইলে, তরা হাটে কেনা বেচা হচ্ছে। গ্রামীন জনপদে পাটের মান অত্যন্ত ভাল হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় এর চাহিদা ছিল অনেক। মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলার হাটবাজারের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ফরিয়ারা পাট ক্রয় করে নারায়নগঞ্জ, খুলনা, ফরিদপুর, রাজবাড়ি সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাট চালান দিত। এক কথায় মানিকগঞ্জের পাটের ব্যাপক চাহিদা ছিল। এ অঞ্চলের জলবায়ু পাট চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। নদী, নালা, খাল, বিলের পানিতে পাট জাগ দেয়া, পাটের আশ এবং রং ভাল হওয়ায় তুলনামুলক পাটের চাহিদা ভালো । বিগত বছর গুলোতে পাট আবাদে সার, বীজ,কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির ফলে উৎপাদিত খরচ বৃদ্ধি সেই সাথে উৎপাদিত পাটের বাজারে ভাল দর না পাওয়ায় সাধারন কৃষকেরা পাটের আবাদ ভুলতে বসেছিল।
উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বালিয়াবাঁধা গ্রামের রমজান আলী জানান, জানান, এবার ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় জমিতে জো আসার সাথেই বীজ রোপণ করেছিলাম। মাটিতে জো আসায় চারাগুলো ভালো হয়। নিড়ানী,পরিচর্জা করায় পাটের চেহারা ভালো হয়। নিড়ানী,আগাছা দমন, সার, বীজ, কীটনাশক, কীটনাশক, পাট কাটা, ধুয়া সহ প্রতি বিঘা পাটে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।
বাজারের পাট ব্যবসায়ী মো. শরিফুল ইসলাম জানান, বর্তমান বাজারে প্রতিমন দেশী পাট ৩ হাজার ৫০০ টাকা। তোষা পাট ৩ হাজার ৮শ’ টাকা। বাজার দর ও বিভিন্ন মিলে পাটের চাহিদা থাকায় চাষীদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। বাজার দর এভাবে থাকলে পাট চাষে এলাকার কৃষকদের আগ্রহ বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, সার, চাল, চিনি, সিমেন্ট, ফসলের বীজ সহ বিভিন্ন পন্য বাজারজাত করনের জন্য পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহারের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করায় এবং পাট চাষের উপর গুরত্ব আরোপ করায় বর্তমানে পাটের চাহিদা তুলনামূলোক বেড়ে গেছে। পাট ও পাটজাত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে দেশে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অজর্নে সক্ষম হবে। এদিকে সরকারি ভাবে পাট ক্রয় গুলো চালু হলে এলাকার হাজার-হাজার কৃষকদের অনেক উপকার হবে।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর (খামারবাড়ি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার ৭টি উপজেলাতে মোট ৪ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। গত বছরে আবাদ হযেছে ৪ হাজার ২৯৬ হেক্টও জমিতে। এবার ২০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ কম হয়েছে।
মানিকগঞ্জ: পাটের পসরা সাজিয়ে বসে আছে চাষীরা -সংবাদ
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলার উপজেলার পাটের ফলনে গত বছরের চেয়ে কম হয়েছে। তবে দাম ভাল পেয়ে হাসি ফুটেছে পাট চাষিদের মুখে। বাজারে নতুন পাট বিক্রির শুরুতেই বাড়তি দাম পেয়ে কৃষকদের মধ্যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। পুরাতন ঐতিহ্য ফিরে এসেছে পাট শিল্পে। পাট শিল্পের সাথে জড়িত হাজার হাজার কৃষকের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন হচ্ছে । ফলে দেশের উৎপাদিত সার, চিনি,সিমেন্ট ও ফসলের বীজ সহ বিভিন্ন পন্য সামগ্রী বাজারজাত করতে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহারের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। ভাল দাম পাওয়ায় এবার পাট কাটা,জাগ দেওয়া,আশ ছাড়ানো,শুকানো এবং গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠবে। এ আশায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে মানিকগঞ্জের ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়, হরিরামপুর, সিংগাইর, সাটুরিয়াতে পাট চাষের সাথে জরিত হাজার কৃষক।
মানিকগঞ্জে এক সময় দেশের প্রথম অর্থকরি ফসল সোনালি আশ খ্যাত পাটের আবাদ হতো। হাজার- হাজার মন পাট জেলার বৃহত্তম ঘিওর, বরংগাইলে, তরা হাটে কেনা বেচা হচ্ছে। গ্রামীন জনপদে পাটের মান অত্যন্ত ভাল হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় এর চাহিদা ছিল অনেক। মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলার হাটবাজারের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ফরিয়ারা পাট ক্রয় করে নারায়নগঞ্জ, খুলনা, ফরিদপুর, রাজবাড়ি সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাট চালান দিত। এক কথায় মানিকগঞ্জের পাটের ব্যাপক চাহিদা ছিল। এ অঞ্চলের জলবায়ু পাট চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। নদী, নালা, খাল, বিলের পানিতে পাট জাগ দেয়া, পাটের আশ এবং রং ভাল হওয়ায় তুলনামুলক পাটের চাহিদা ভালো । বিগত বছর গুলোতে পাট আবাদে সার, বীজ,কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির ফলে উৎপাদিত খরচ বৃদ্ধি সেই সাথে উৎপাদিত পাটের বাজারে ভাল দর না পাওয়ায় সাধারন কৃষকেরা পাটের আবাদ ভুলতে বসেছিল।
উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বালিয়াবাঁধা গ্রামের রমজান আলী জানান, জানান, এবার ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় জমিতে জো আসার সাথেই বীজ রোপণ করেছিলাম। মাটিতে জো আসায় চারাগুলো ভালো হয়। নিড়ানী,পরিচর্জা করায় পাটের চেহারা ভালো হয়। নিড়ানী,আগাছা দমন, সার, বীজ, কীটনাশক, কীটনাশক, পাট কাটা, ধুয়া সহ প্রতি বিঘা পাটে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।
বাজারের পাট ব্যবসায়ী মো. শরিফুল ইসলাম জানান, বর্তমান বাজারে প্রতিমন দেশী পাট ৩ হাজার ৫০০ টাকা। তোষা পাট ৩ হাজার ৮শ’ টাকা। বাজার দর ও বিভিন্ন মিলে পাটের চাহিদা থাকায় চাষীদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। বাজার দর এভাবে থাকলে পাট চাষে এলাকার কৃষকদের আগ্রহ বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, সার, চাল, চিনি, সিমেন্ট, ফসলের বীজ সহ বিভিন্ন পন্য বাজারজাত করনের জন্য পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহারের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করায় এবং পাট চাষের উপর গুরত্ব আরোপ করায় বর্তমানে পাটের চাহিদা তুলনামূলোক বেড়ে গেছে। পাট ও পাটজাত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে দেশে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অজর্নে সক্ষম হবে। এদিকে সরকারি ভাবে পাট ক্রয় গুলো চালু হলে এলাকার হাজার-হাজার কৃষকদের অনেক উপকার হবে।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর (খামারবাড়ি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার ৭টি উপজেলাতে মোট ৪ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। গত বছরে আবাদ হযেছে ৪ হাজার ২৯৬ হেক্টও জমিতে। এবার ২০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ কম হয়েছে।