সৈয়দপুর (নীলফামারী): সৈয়দপুর শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে মাছবাহী পিকআপের পানিতে নষ্ট হচ্ছে সড়ক -সংবাদ
মাছ পরিবহনের পিক-আপ থেকে পানি পড়ে প্রধান সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক চলাচল অযোগ্য ও বেহাল হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন সকালে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক মাছের বাজারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ৭/৮ টি মাছবাহী পিক-আপ। সেখানে মাছ রাখার জন্য মোটা পলিথিন দিয়ে করা হয়েছে জলাধার। একই সাথে ওই পানিতে মাছ জীবিত রাখতে বসানো হয়েছে যান্ত্রিক মোটর। মাছ আড়তে আনলোড করার সময় পিক-আপের সব পানিই পড়ছে রাস্তায়। রাস্তাটির পাশ দিয়ে মাষ্টার ড্রেন না থাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় থাকছে জলাবদ্ধতা। ফলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কটি চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
এ প্রসঙ্গে মাছ ব্যবসায়ি বাবলু বলেন, সৈয়দপুর উপজেলার পুকুরসহ বাইরে থেকে পিক-আপে করে মাছ আমদানি করলে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক ছাড়া অন্য কোথাও পিক-আপ দাঁড়ানোর ব্যবস্থা নেই। এই সড়কে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় মাছের গাড়ির পানি রাস্তায় জমে থাকছে। এ বিষয়ে পৌরসভার দায়িত্ব প্রাপ্ত পৌর প্রশাসক নুই আলম সিদ্দিকিকে অবগত করা হয়েছে কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না। তিনি বলেন, জেলার সবচেয়ে বড় মাছের আড়ত হলো সৈয়দপুরে। এ কারণে প্রায় প্রতিদিনই ৮ থেকে ১০টি পিক-আপ ভর্তি মাছ আসে সৈয়দপুরে এবং এখান থেকে সরবরাহ করা হয় নীলফামারীর প্রতিটি উপজেলা সহ পার্শ্ববর্তী তারাগঞ্জ, রাণীরবন্দর, খানসামা, চিরিরবন্দর ও পার্বতীপুরে। এ কারণে মাছ জীবিত রাখতে পিক-আপে পানি রাখা হয়। মাছ আনলোড করার সময় ওই পানি রাস্তায় পড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
বাদল নামের অপর এক ব্যবসায়ি বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ মাছের পিকআপ প্রতি প্রতিদিন ২/৩ শত টাকা নেয় অথচ পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা করছেন না। এর ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সকলেই।
মাছের আড়তে মাছ কিনতে আসা ক’জন ক্রেতা জানান, শুধু ওই সড়কই না, শহরের প্রায় সবকটি সড়কেরই বেহাল অবস্থা। শহরের উন্নয়নে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার বাজেট হলেও উন্নয়ন তেমন হচ্ছে না। বর্তমান পৌর প্রশাসক পৌরসভার দায়িত্বে আছেন এক বছর। তারা শহরের যানজট নিরসন ও রাস্তা নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচতে মাছের আড়তটি বাইপাস সড়কে সরানোর দাবী জানান। এ বিষয়ে পৌর পরিষদের প্রশাসক নুর-ই আলম সিদ্দিকি বলেন, এরই মধ্যে শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ডা. শহীদ শামসুল হক সড়ক সংস্কারের কাজ চলছে। সংস্কার কাজ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন সম্পন্ন হলে এ সমস্যা থাকবে না।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সৈয়দপুর (নীলফামারী): সৈয়দপুর শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে মাছবাহী পিকআপের পানিতে নষ্ট হচ্ছে সড়ক -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
মাছ পরিবহনের পিক-আপ থেকে পানি পড়ে প্রধান সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক চলাচল অযোগ্য ও বেহাল হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন সকালে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক মাছের বাজারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ৭/৮ টি মাছবাহী পিক-আপ। সেখানে মাছ রাখার জন্য মোটা পলিথিন দিয়ে করা হয়েছে জলাধার। একই সাথে ওই পানিতে মাছ জীবিত রাখতে বসানো হয়েছে যান্ত্রিক মোটর। মাছ আড়তে আনলোড করার সময় পিক-আপের সব পানিই পড়ছে রাস্তায়। রাস্তাটির পাশ দিয়ে মাষ্টার ড্রেন না থাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় থাকছে জলাবদ্ধতা। ফলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কটি চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
এ প্রসঙ্গে মাছ ব্যবসায়ি বাবলু বলেন, সৈয়দপুর উপজেলার পুকুরসহ বাইরে থেকে পিক-আপে করে মাছ আমদানি করলে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক ছাড়া অন্য কোথাও পিক-আপ দাঁড়ানোর ব্যবস্থা নেই। এই সড়কে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় মাছের গাড়ির পানি রাস্তায় জমে থাকছে। এ বিষয়ে পৌরসভার দায়িত্ব প্রাপ্ত পৌর প্রশাসক নুই আলম সিদ্দিকিকে অবগত করা হয়েছে কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না। তিনি বলেন, জেলার সবচেয়ে বড় মাছের আড়ত হলো সৈয়দপুরে। এ কারণে প্রায় প্রতিদিনই ৮ থেকে ১০টি পিক-আপ ভর্তি মাছ আসে সৈয়দপুরে এবং এখান থেকে সরবরাহ করা হয় নীলফামারীর প্রতিটি উপজেলা সহ পার্শ্ববর্তী তারাগঞ্জ, রাণীরবন্দর, খানসামা, চিরিরবন্দর ও পার্বতীপুরে। এ কারণে মাছ জীবিত রাখতে পিক-আপে পানি রাখা হয়। মাছ আনলোড করার সময় ওই পানি রাস্তায় পড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
বাদল নামের অপর এক ব্যবসায়ি বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ মাছের পিকআপ প্রতি প্রতিদিন ২/৩ শত টাকা নেয় অথচ পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা করছেন না। এর ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সকলেই।
মাছের আড়তে মাছ কিনতে আসা ক’জন ক্রেতা জানান, শুধু ওই সড়কই না, শহরের প্রায় সবকটি সড়কেরই বেহাল অবস্থা। শহরের উন্নয়নে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার বাজেট হলেও উন্নয়ন তেমন হচ্ছে না। বর্তমান পৌর প্রশাসক পৌরসভার দায়িত্বে আছেন এক বছর। তারা শহরের যানজট নিরসন ও রাস্তা নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচতে মাছের আড়তটি বাইপাস সড়কে সরানোর দাবী জানান। এ বিষয়ে পৌর পরিষদের প্রশাসক নুর-ই আলম সিদ্দিকি বলেন, এরই মধ্যে শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ডা. শহীদ শামসুল হক সড়ক সংস্কারের কাজ চলছে। সংস্কার কাজ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন সম্পন্ন হলে এ সমস্যা থাকবে না।