শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায় মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তারা অন্তত ৫০টি ককটেলের(হাতবোমা) বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার দুপুরে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পুনর্বাসন এলাকায় নাওডোবা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম ও সাবেক সদস্য কাশেম বেপারীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত রবিবার(২ নভেম্বর) উপজেলার বিলাসপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৬০-৭০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এরও আগে গত ৫ এপ্রিল বিলাসপুরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাটি সারা দেশে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। জাজিরার বিভিন্ন গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেই তাতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে স্থানীয় পুলিশ এসব ককটেলের উৎস এখনও খুঁজে বের করতে পারেনি।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা সূত্র জানা যায়, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার দুই কিলোমিটার পশ্চিমে পদ্মা সেতু পুনর্বাসন এলাকা-৬ এলাকায় অবস্থিত। ওই এলাকাটি নাওডোবা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে অবস্থিত। ওই ওয়ার্ডের সদস্য আরিফুল ইসলাম ও সাবেক সদস্য কাশেম বেপারীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ রয়েছে। পুনর্বাসন এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে ওই দুই পক্ষের মধ্যে সোমবার দুপুরে বাকবিতণ্ডা বাধে। এরপরেই দুই পক্ষের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষের লোকজন দেশী অস্ত্র, রামদা, ঢাল, সড়কি নিয়ে একে অপরকে ধাওয়া দেন। ওই সময় দুই পক্ষের লোকজন অন্তত ৫০টি ককটেলের(হাতবোমা) বিস্ফোরণ ঘটান।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুনর্বাসন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় অবিস্ফোরিত পাঁচটি ককটেল উদ্ধার করে। সংঘর্ষে সাবেক ইউপি সদস্য কাশেম বেপারীসহ ১০ জন আহত হন। কাশেম বেপারীকে তার স্বজনেরা চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেছেন। অন্যান্য আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আরিফুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘সাবেক মেম্বার কাশেম বেপারী ও তার লোকজন আমাদের একটি ক্লাব ভেঙে ফেলার জন্য হামলা করেছিলেন। তখন আমার লোকজন বাধা দিয়েছে। তারা আমার পাঁচ-ছয়জনকে কুপিয়ে আহত করেছে।’
সাবেক ইউপি সদস্য কাশেম বেপারী মুঠোফোনে বলেন, ‘আরিফুলের লোকজন আমাকে ও আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। আমি আহত হওয়ার কারণে কথা বলতে পারছি না। তারা অন্যায়ভাবে হামলা করেছে।’
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, মসজিদ নির্মাণ নিয়ে বিরোধে নাওডোবা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ও দেশী অস্ত্র ব্যবহারের তথ্য পাওয়া গেছে। ককটেলের উৎস খোঁজা হচ্ছে। এছাড়াও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ।
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায় মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তারা অন্তত ৫০টি ককটেলের(হাতবোমা) বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার দুপুরে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পুনর্বাসন এলাকায় নাওডোবা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম ও সাবেক সদস্য কাশেম বেপারীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত রবিবার(২ নভেম্বর) উপজেলার বিলাসপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৬০-৭০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এরও আগে গত ৫ এপ্রিল বিলাসপুরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাটি সারা দেশে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। জাজিরার বিভিন্ন গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেই তাতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে স্থানীয় পুলিশ এসব ককটেলের উৎস এখনও খুঁজে বের করতে পারেনি।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা সূত্র জানা যায়, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার দুই কিলোমিটার পশ্চিমে পদ্মা সেতু পুনর্বাসন এলাকা-৬ এলাকায় অবস্থিত। ওই এলাকাটি নাওডোবা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে অবস্থিত। ওই ওয়ার্ডের সদস্য আরিফুল ইসলাম ও সাবেক সদস্য কাশেম বেপারীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ রয়েছে। পুনর্বাসন এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে ওই দুই পক্ষের মধ্যে সোমবার দুপুরে বাকবিতণ্ডা বাধে। এরপরেই দুই পক্ষের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষের লোকজন দেশী অস্ত্র, রামদা, ঢাল, সড়কি নিয়ে একে অপরকে ধাওয়া দেন। ওই সময় দুই পক্ষের লোকজন অন্তত ৫০টি ককটেলের(হাতবোমা) বিস্ফোরণ ঘটান।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুনর্বাসন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় অবিস্ফোরিত পাঁচটি ককটেল উদ্ধার করে। সংঘর্ষে সাবেক ইউপি সদস্য কাশেম বেপারীসহ ১০ জন আহত হন। কাশেম বেপারীকে তার স্বজনেরা চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেছেন। অন্যান্য আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আরিফুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘সাবেক মেম্বার কাশেম বেপারী ও তার লোকজন আমাদের একটি ক্লাব ভেঙে ফেলার জন্য হামলা করেছিলেন। তখন আমার লোকজন বাধা দিয়েছে। তারা আমার পাঁচ-ছয়জনকে কুপিয়ে আহত করেছে।’
সাবেক ইউপি সদস্য কাশেম বেপারী মুঠোফোনে বলেন, ‘আরিফুলের লোকজন আমাকে ও আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। আমি আহত হওয়ার কারণে কথা বলতে পারছি না। তারা অন্যায়ভাবে হামলা করেছে।’
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, মসজিদ নির্মাণ নিয়ে বিরোধে নাওডোবা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ও দেশী অস্ত্র ব্যবহারের তথ্য পাওয়া গেছে। ককটেলের উৎস খোঁজা হচ্ছে। এছাড়াও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ।