নাটোরের লালপুরে আবহাওয়া ও মাটি মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে স্বাদে ও পুষ্টিগুণে ভরা মাল্টা চাষ। বাজারে ফলের ভালো দাম ও চাহিদা থাকায় দিন দিন বাড়ছে মাল্টা ফলের কদর। কম পুঁজিতে মাল্টা চাষ করে বেকারদের স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
জানা যায়, লালপুর উপজেলার ডহরশৈলা গ্রামের আশরাফ আলী প্রথমে ৩০ শতাংশ জমিতে বারি-১ দেশিয় জাতের মাল্টা ফলের চাষ শুরু করেন। ইতোমধ্যে মাল্টা ফলের চাষ করে তিনি একজন সফল চাষি হিসেবে পরিচিতি বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। তার মাল্টা চাষ দেখে অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক মাল্টা চাষ শুরু করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বর্তমান আশরাফ আলী ৮ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা ফলের চাষ করেছেন। প্রতিটি মাল্টার চারা ৬০ টাকা দরে ক্রয় করেছেন। বিঘা প্রতি প্রথমে ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আর ৬ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রয় করেছেন। ২য় দফায় বিঘা প্রতি ১ লাখ ৫০ টাকা খরচ হয়েছে। আর বিঘা প্রতি ৪ লাখ ৫০ টাকার মাল্টা বিক্রয় করা হয়েছে। প্রতি কেজি ফলের মূল্য ৭০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। এখন আর মাল্টার চারা ক্রয় করা লাগে না। শুধু বাগানের গাছ পরিচর্যা করা লাগে। এতে প্রতি মাসে ১০ জন শ্রমিক কাজ করেন। আশরাফ আলী এখন একজন সফল চাষি। অনেকেই বাগানে ঘুরতে এসে সতেজ এবং পুষ্ট মাল্টা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের পরিবারের সদস্যদের জন্য। এ বিষয়ে বাগান ঘুরতে আসা শাহ আলম বলেন, বাগানে সবুজ রঙের মাল্টা দেখে নয়ন জুড়িয়ে গেছে। মাল্টা খেয়ে দেখলাম মিষ্টি আছে। বাগানের মালিক আশরাফ আলীর কথা শুনে আমি খুব মুগ্ধ হয়েছি। এ বিষয়ে মাল্টা চাষি আশরাফ আলী বলেন, সংসারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে মাল্টা বিক্রয় করে আমি লাভবান হয়েছি। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, মো. আশরাফ আলী একজন অগ্রগামী ও উদ্যোমী কৃষক।
তিনি কৃষি বিভাগের মাধ্যমে লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ৫০ শতকের বারি-১ জাতের একটি প্রদর্শনী পেয়েছিলেন। প্রদর্শনী থেকে মাল্টা চাষ করে লাভবান হওয়ার পরে তিনি নিজেই উদ্ধুদ্ধ হয়ে তার মাল্টা চাষ সম্প্রসারণ করেন। বর্তমান তার জমির পরিমাণ প্রায় আট বিঘা। কৃষি বিভাগ তার মাল্টা চাষে বিভিন্ন কারগরি সহযোগিতা এবং নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
নাটোরের লালপুরে আবহাওয়া ও মাটি মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে স্বাদে ও পুষ্টিগুণে ভরা মাল্টা চাষ। বাজারে ফলের ভালো দাম ও চাহিদা থাকায় দিন দিন বাড়ছে মাল্টা ফলের কদর। কম পুঁজিতে মাল্টা চাষ করে বেকারদের স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
জানা যায়, লালপুর উপজেলার ডহরশৈলা গ্রামের আশরাফ আলী প্রথমে ৩০ শতাংশ জমিতে বারি-১ দেশিয় জাতের মাল্টা ফলের চাষ শুরু করেন। ইতোমধ্যে মাল্টা ফলের চাষ করে তিনি একজন সফল চাষি হিসেবে পরিচিতি বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। তার মাল্টা চাষ দেখে অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক মাল্টা চাষ শুরু করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বর্তমান আশরাফ আলী ৮ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা ফলের চাষ করেছেন। প্রতিটি মাল্টার চারা ৬০ টাকা দরে ক্রয় করেছেন। বিঘা প্রতি প্রথমে ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আর ৬ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রয় করেছেন। ২য় দফায় বিঘা প্রতি ১ লাখ ৫০ টাকা খরচ হয়েছে। আর বিঘা প্রতি ৪ লাখ ৫০ টাকার মাল্টা বিক্রয় করা হয়েছে। প্রতি কেজি ফলের মূল্য ৭০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। এখন আর মাল্টার চারা ক্রয় করা লাগে না। শুধু বাগানের গাছ পরিচর্যা করা লাগে। এতে প্রতি মাসে ১০ জন শ্রমিক কাজ করেন। আশরাফ আলী এখন একজন সফল চাষি। অনেকেই বাগানে ঘুরতে এসে সতেজ এবং পুষ্ট মাল্টা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের পরিবারের সদস্যদের জন্য। এ বিষয়ে বাগান ঘুরতে আসা শাহ আলম বলেন, বাগানে সবুজ রঙের মাল্টা দেখে নয়ন জুড়িয়ে গেছে। মাল্টা খেয়ে দেখলাম মিষ্টি আছে। বাগানের মালিক আশরাফ আলীর কথা শুনে আমি খুব মুগ্ধ হয়েছি। এ বিষয়ে মাল্টা চাষি আশরাফ আলী বলেন, সংসারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে মাল্টা বিক্রয় করে আমি লাভবান হয়েছি। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, মো. আশরাফ আলী একজন অগ্রগামী ও উদ্যোমী কৃষক।
তিনি কৃষি বিভাগের মাধ্যমে লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ৫০ শতকের বারি-১ জাতের একটি প্রদর্শনী পেয়েছিলেন। প্রদর্শনী থেকে মাল্টা চাষ করে লাভবান হওয়ার পরে তিনি নিজেই উদ্ধুদ্ধ হয়ে তার মাল্টা চাষ সম্প্রসারণ করেন। বর্তমান তার জমির পরিমাণ প্রায় আট বিঘা। কৃষি বিভাগ তার মাল্টা চাষে বিভিন্ন কারগরি সহযোগিতা এবং নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছেন।