সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় ঘুষ, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত সেকেন্ড অফিসার এসআই মো.শহিদুল ইসলাম ও এএসআই মাহবুবকে তাৎক্ষণিকভাবে সলঙ্গা থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
দৈনিক সংবাদ এ প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পরপরই বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দুই কর্মকর্তাকে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয় এবং ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ্যাডিশনাল এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম খাঁনকে।
এদিকে দুই কর্মকর্তার প্রত্যাহারের পর সলঙ্গা থানার ভেতরে স্বস্তি ফিরেছে বলে জানিয়েছেন একাধিক পুলিশ সদস্য। স্থানীয় জনসাধারণও প্রশাসনের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
সাংবাদিককে হুমকির অভিযোগ তবে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সাংবাদিক নিরাপত্তা নিয়ে। অভিযোগ উঠেছে, প্রত্যাহারকৃত দুই কর্মকর্তা ও প্রতিবেদনে যাদের নাম এসেছে, তারা সলঙ্গার কিছু অসাধু সন্ত্রাসী চক্রের মাধ্যমে প্রতিবেদক মো. সৌরভ হোসাইনকে গায়েবি ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করছে।
প্রতিবেদকের দাবি, আমি পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকে সত্য তথ্য তুলে ধরেছি। এরপর থেকেই স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মাধ্যমে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সুশীল সমাজ ও সাংবাদিক মহল এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন,
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা গণমাধ্যমের দায়িত্ব। একজন সাংবাদিককে ভয় দেখিয়ে বা হুমকি দিয়ে সত্য গোপন করা যায় না। প্রশাসনের উচিত বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা এবং সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সচেতন নাগরিক ও স্থানীয় অধিকারকর্মীরা জানান, ঘুষ দুর্নীতির মতো সংবেদনশীল বিষয়ে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। একই সঙ্গে সাংবাদিক ও ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
সলঙ্গা থানার ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপের সূচনা হলেও হুমকির ঘটনাটি সাংবাদিক নিরাপত্তা ও গণমাধ্যম স্বাধীনতার প্রশ্নে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে। স্থানীয়রা চান, এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করা হোক।
রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ্যাডিশনাল এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম খান বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছি, যা এখনো চলমান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
এবিষয় সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন মোবাইলে বলেন, এ বিষয়ে অনুসন্ধান করছি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় ঘুষ, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত সেকেন্ড অফিসার এসআই মো.শহিদুল ইসলাম ও এএসআই মাহবুবকে তাৎক্ষণিকভাবে সলঙ্গা থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
দৈনিক সংবাদ এ প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পরপরই বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দুই কর্মকর্তাকে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয় এবং ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ্যাডিশনাল এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম খাঁনকে।
এদিকে দুই কর্মকর্তার প্রত্যাহারের পর সলঙ্গা থানার ভেতরে স্বস্তি ফিরেছে বলে জানিয়েছেন একাধিক পুলিশ সদস্য। স্থানীয় জনসাধারণও প্রশাসনের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
সাংবাদিককে হুমকির অভিযোগ তবে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সাংবাদিক নিরাপত্তা নিয়ে। অভিযোগ উঠেছে, প্রত্যাহারকৃত দুই কর্মকর্তা ও প্রতিবেদনে যাদের নাম এসেছে, তারা সলঙ্গার কিছু অসাধু সন্ত্রাসী চক্রের মাধ্যমে প্রতিবেদক মো. সৌরভ হোসাইনকে গায়েবি ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করছে।
প্রতিবেদকের দাবি, আমি পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকে সত্য তথ্য তুলে ধরেছি। এরপর থেকেই স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মাধ্যমে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সুশীল সমাজ ও সাংবাদিক মহল এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন,
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা গণমাধ্যমের দায়িত্ব। একজন সাংবাদিককে ভয় দেখিয়ে বা হুমকি দিয়ে সত্য গোপন করা যায় না। প্রশাসনের উচিত বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা এবং সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সচেতন নাগরিক ও স্থানীয় অধিকারকর্মীরা জানান, ঘুষ দুর্নীতির মতো সংবেদনশীল বিষয়ে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। একই সঙ্গে সাংবাদিক ও ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
সলঙ্গা থানার ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপের সূচনা হলেও হুমকির ঘটনাটি সাংবাদিক নিরাপত্তা ও গণমাধ্যম স্বাধীনতার প্রশ্নে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে। স্থানীয়রা চান, এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করা হোক।
রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ্যাডিশনাল এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম খান বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছি, যা এখনো চলমান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
এবিষয় সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন মোবাইলে বলেন, এ বিষয়ে অনুসন্ধান করছি।