১০ লাখ টাকা মূল্যের ১০ হাজার সিএফটি পাথর জব্দ
ডিমলা (নীলফামারী) : জব্দকৃত পাথর -সংবাদ
নীলফামারী ডিমলায় তিস্তা নদীতে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনের বিষয়ে সম্প্রত দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সচিত্র খবর প্রকাশ হলে গতকাল ৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) তিস্তা নদীতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে বিক্রির উদ্দেশ্যে স্তুপ করে রাখা ১০ লাখ টাকা মূল্যের ১০ হাজার সিএফটি পাথর জব্দ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইমরানুজ্জামান, অভিযানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ রংপুর ব্যাটেলিয়নের (বিজিবি) ৫১ এর বিপুল সংখ্যক সদস্য এবং ডিমলা থানার এস আই স্বপন কুমার রায়ের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল ও বিপুলসংখ্যক আনসার ভিডিপি সদস্য অভিযানে সহায়তা করেন ।
জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীতে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল। দীর্ঘদিন ধরে চক্রটির করাল গ্রাস থেকে রক্ষার দাবী জানিয়ে আসছে তিস্তা পাড়ের নদীভাঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে অবৈধ পাথর জব্দ করলেও সামান্যতম এর প্রভাব পড়েনি অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী চক্রটির ওপড়ে। তিস্তা নদী থেকে পাথর উত্তোলনের কারণে ভাঙ্গনের ভয়াবহতা রুদ্র আকার ধারণ করছে। প্রতিবছর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভাঙ্গন রোধে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও কার্যত তেমন সুফলে আসছে না। স্থানীয় সচেতন মহল দীর্ঘদিন যাবত দাবী কর আসছে ,দ্রুততম সময়ে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট ভাঙতে আইন প্রয়োগ করে অভি অভিযান পরিচালনার জন্য। তারা বলছে নইলে প্রতিবছর সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচের লক্ষ্য - উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। সূত্র জানা , তিস্তা নদী হতে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনকারী চক্রটির নেপথ্যে থাকা নেতারা এতই শক্তিশালী ও বেপরোয়া যে তারা স্থানীয় প্রশাসনকে তোয়াক্কাই করেই ক্ষমতার দাপটে শতাধিক নৌকা যোগে তিস্তা নদীর বুক থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছে। স্থানীয়রা বলছেন, একটি প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে নদী থেকে পাথর তুলে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। নির্বিচারে বালু-পাথর উত্তোলনের ফলে নদীভাঙনে আকস্মিক বন্যা ও নদী ভাঙ্গন দেখা দেয় প্রতিবছর। আবাদী জমি, ঘরবাড়ি নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে দেধারছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে অভিযান চালানো হলেও তেমন কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেনি । কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবৈধ পাথর উত্তোলনের কার্যকরী ভূমিকা না রাখায় পাথর উত্তোলনকারী চক্রটি আরো বেশী চরম বেপরোয়া হয়ে পড়ায় কিছুদিন পূর্ব হতে এ বিষয়ে দৈনিক সংবাদে একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। খবর প্রকাশের পর কয়েক দফায় ইতি পূর্বে সর্বশেষ যৌথ অভিযান চালিয়ে পাথর উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত ১৩ টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা বিনষ্ট করা হয় এবং পাথর উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়েছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার তিস্তা বিধৌত এলাকা টেপা খড়িবাড়ি ইউনিয়নের তেলের বাজার, তিস্তা বাজার নামক স্থান সহ কয়েকটি স্থান থেকে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে উত্তরনকৃত ১০ হাজার সিএফটি পরিমাণ পাথরে স্তুপ জব্দ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান। এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা যৌথ অভিযানে সহয়তা করেন, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)রংপুর ব্যাটেলিয়ানে -৫১ এর একটি টহল টিম, ডিমলা থানার একটি পুলিশ দল ও আনসার ভিডিপি সদস্যরা। সর্বোপরি তিস্তা নদীতে অবৈধ পাথর উত্তোলনে স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয় । পাথর খেকো ওই চক্রটি দুর্দান্ত ক্ষমতার দাপটে স্থানীয় প্রশাসন অসহায় ও নির্বিকারের ভূমিকা পালন করার অভিযোগো করে আসছিলেন তারা। তিস্তা হতে অবৈধ পাথর উত্তোলনের। ডিমলার সচেতন মহল প্রশ্ন তুলেন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও।
উপজেলার তিস্তা নদীর ডানতীর ভাঙ্গন রোধ সহ তিস্তা বিধৌত এলাকা তীর রক্ষায় প্রতিবছর শতশত কোটি টাকা সরকারের খরচ করছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পউবো) কর্তৃপক্ষ। ভাঙ্গন রোধে প্রচুর পরিমাণ সরকারের অর্থ খরচ করলেও প্রতিবছর নতুন নতুন এলাকা ভাঙ্গনের কবলে পড়ে তিস্তা নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। সম্প্রতি তিস্তার চ্যানেল তৈরি হয়ে খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছোট খাতা সুপরিটরি গ্রামের শত শত একর আবাদি জমি নদীগর্ভে চলে গিয়ে নতুন নদীর সৃষ্টি হয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কার্যত তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের বাঁচাতে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে কাঙ্খিত সুফল হচ্ছে না। উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ৬ টি এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেয়। তিস্তা নদীর দুই পাড়ের গ্রামগুলো নদীভাঙনের কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে । ভাঙন এলাকায় শ্যলো ইঞ্জিন চালিত নৌকায় লোহার তৈরি যন্ত্র দিয়ে নদীর তলদেশে গভীর গর্ত করে পাথর উত্তোলন করছে এলাকার একাধিক প্রভাবশালী চক্রের ছত্রছায়ায় শ্রমিকরা। নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা জানান, তিস্তা ব্যারাজের আশপাশ, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার , চরখড়িবাড়ি, বাইশপুকুর, কালিগঞ্জ, ভেন্ডাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় পাথর উত্তোলনে প্রায় ১৫ টি প্রভাবশালী চক্র জড়িত রয়েছে ।
তিস্তা ব্যারেজের উজানে তেলির বাজার, ছোটখাতা ও ভাটিতে ডালিয়া বাইশপুকুর এলাকায় দেখা যায়, শ্রমিকেরা বেলচা, কোদাল ও শাবল ব্যবহার করে পাথর উত্তোলন করে অন্তত অর্ধশতাধিক নৌকায় বোঝাই করেছেন। পরে সে সব পাথর বিক্রির জন্য ট্রাক্ট্ররে করে নিয়ে যাওয়া হয় ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাকের ডগায়। তীরবর্তী বাসিন্দারা বলছেন, অবৈধভাবে পাথর-বালু উত্তোলণ করে অনেকেই কোটিপতি হয়েছেন। কিন্তু আমরা নি:স্ব সর্বস্বান্ত হয়েছি। আমাদের বসতভিটা ও আবাদি জমি বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। নিঃস্ব পরিবারগুলোকে রক্ষায় সর্বশেষ ৬নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে তিস্তা নদী হতে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করায় উপজেলা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা। এ অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরানুজ্জামান বলেন, তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অভিযান চলছে, অভিযান অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
১০ লাখ টাকা মূল্যের ১০ হাজার সিএফটি পাথর জব্দ
ডিমলা (নীলফামারী) : জব্দকৃত পাথর -সংবাদ
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
নীলফামারী ডিমলায় তিস্তা নদীতে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনের বিষয়ে সম্প্রত দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সচিত্র খবর প্রকাশ হলে গতকাল ৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) তিস্তা নদীতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে বিক্রির উদ্দেশ্যে স্তুপ করে রাখা ১০ লাখ টাকা মূল্যের ১০ হাজার সিএফটি পাথর জব্দ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইমরানুজ্জামান, অভিযানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ রংপুর ব্যাটেলিয়নের (বিজিবি) ৫১ এর বিপুল সংখ্যক সদস্য এবং ডিমলা থানার এস আই স্বপন কুমার রায়ের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল ও বিপুলসংখ্যক আনসার ভিডিপি সদস্য অভিযানে সহায়তা করেন ।
জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীতে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল। দীর্ঘদিন ধরে চক্রটির করাল গ্রাস থেকে রক্ষার দাবী জানিয়ে আসছে তিস্তা পাড়ের নদীভাঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে অবৈধ পাথর জব্দ করলেও সামান্যতম এর প্রভাব পড়েনি অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী চক্রটির ওপড়ে। তিস্তা নদী থেকে পাথর উত্তোলনের কারণে ভাঙ্গনের ভয়াবহতা রুদ্র আকার ধারণ করছে। প্রতিবছর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভাঙ্গন রোধে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও কার্যত তেমন সুফলে আসছে না। স্থানীয় সচেতন মহল দীর্ঘদিন যাবত দাবী কর আসছে ,দ্রুততম সময়ে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট ভাঙতে আইন প্রয়োগ করে অভি অভিযান পরিচালনার জন্য। তারা বলছে নইলে প্রতিবছর সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচের লক্ষ্য - উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। সূত্র জানা , তিস্তা নদী হতে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনকারী চক্রটির নেপথ্যে থাকা নেতারা এতই শক্তিশালী ও বেপরোয়া যে তারা স্থানীয় প্রশাসনকে তোয়াক্কাই করেই ক্ষমতার দাপটে শতাধিক নৌকা যোগে তিস্তা নদীর বুক থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছে। স্থানীয়রা বলছেন, একটি প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে নদী থেকে পাথর তুলে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। নির্বিচারে বালু-পাথর উত্তোলনের ফলে নদীভাঙনে আকস্মিক বন্যা ও নদী ভাঙ্গন দেখা দেয় প্রতিবছর। আবাদী জমি, ঘরবাড়ি নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে দেধারছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে অভিযান চালানো হলেও তেমন কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেনি । কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবৈধ পাথর উত্তোলনের কার্যকরী ভূমিকা না রাখায় পাথর উত্তোলনকারী চক্রটি আরো বেশী চরম বেপরোয়া হয়ে পড়ায় কিছুদিন পূর্ব হতে এ বিষয়ে দৈনিক সংবাদে একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। খবর প্রকাশের পর কয়েক দফায় ইতি পূর্বে সর্বশেষ যৌথ অভিযান চালিয়ে পাথর উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত ১৩ টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা বিনষ্ট করা হয় এবং পাথর উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়েছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার তিস্তা বিধৌত এলাকা টেপা খড়িবাড়ি ইউনিয়নের তেলের বাজার, তিস্তা বাজার নামক স্থান সহ কয়েকটি স্থান থেকে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে উত্তরনকৃত ১০ হাজার সিএফটি পরিমাণ পাথরে স্তুপ জব্দ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান। এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা যৌথ অভিযানে সহয়তা করেন, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)রংপুর ব্যাটেলিয়ানে -৫১ এর একটি টহল টিম, ডিমলা থানার একটি পুলিশ দল ও আনসার ভিডিপি সদস্যরা। সর্বোপরি তিস্তা নদীতে অবৈধ পাথর উত্তোলনে স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয় । পাথর খেকো ওই চক্রটি দুর্দান্ত ক্ষমতার দাপটে স্থানীয় প্রশাসন অসহায় ও নির্বিকারের ভূমিকা পালন করার অভিযোগো করে আসছিলেন তারা। তিস্তা হতে অবৈধ পাথর উত্তোলনের। ডিমলার সচেতন মহল প্রশ্ন তুলেন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও।
উপজেলার তিস্তা নদীর ডানতীর ভাঙ্গন রোধ সহ তিস্তা বিধৌত এলাকা তীর রক্ষায় প্রতিবছর শতশত কোটি টাকা সরকারের খরচ করছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পউবো) কর্তৃপক্ষ। ভাঙ্গন রোধে প্রচুর পরিমাণ সরকারের অর্থ খরচ করলেও প্রতিবছর নতুন নতুন এলাকা ভাঙ্গনের কবলে পড়ে তিস্তা নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। সম্প্রতি তিস্তার চ্যানেল তৈরি হয়ে খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছোট খাতা সুপরিটরি গ্রামের শত শত একর আবাদি জমি নদীগর্ভে চলে গিয়ে নতুন নদীর সৃষ্টি হয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কার্যত তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের বাঁচাতে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে কাঙ্খিত সুফল হচ্ছে না। উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ৬ টি এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেয়। তিস্তা নদীর দুই পাড়ের গ্রামগুলো নদীভাঙনের কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে । ভাঙন এলাকায় শ্যলো ইঞ্জিন চালিত নৌকায় লোহার তৈরি যন্ত্র দিয়ে নদীর তলদেশে গভীর গর্ত করে পাথর উত্তোলন করছে এলাকার একাধিক প্রভাবশালী চক্রের ছত্রছায়ায় শ্রমিকরা। নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা জানান, তিস্তা ব্যারাজের আশপাশ, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার , চরখড়িবাড়ি, বাইশপুকুর, কালিগঞ্জ, ভেন্ডাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় পাথর উত্তোলনে প্রায় ১৫ টি প্রভাবশালী চক্র জড়িত রয়েছে ।
তিস্তা ব্যারেজের উজানে তেলির বাজার, ছোটখাতা ও ভাটিতে ডালিয়া বাইশপুকুর এলাকায় দেখা যায়, শ্রমিকেরা বেলচা, কোদাল ও শাবল ব্যবহার করে পাথর উত্তোলন করে অন্তত অর্ধশতাধিক নৌকায় বোঝাই করেছেন। পরে সে সব পাথর বিক্রির জন্য ট্রাক্ট্ররে করে নিয়ে যাওয়া হয় ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাকের ডগায়। তীরবর্তী বাসিন্দারা বলছেন, অবৈধভাবে পাথর-বালু উত্তোলণ করে অনেকেই কোটিপতি হয়েছেন। কিন্তু আমরা নি:স্ব সর্বস্বান্ত হয়েছি। আমাদের বসতভিটা ও আবাদি জমি বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। নিঃস্ব পরিবারগুলোকে রক্ষায় সর্বশেষ ৬নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে তিস্তা নদী হতে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করায় উপজেলা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা। এ অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরানুজ্জামান বলেন, তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অভিযান চলছে, অভিযান অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।