ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইসবপুর দ্বি-মূখী ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মুহা. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠনসহ নানাবিধ অনিয়ম-দুর্ণীতির অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দুপুরের দিকে ওই মাদরাসায় এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা সুপারের নিকট গোপন কমিটি গঠনের ব্যাখা জানতে চান। এসময় মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দ্রুত মাদরাসা ত্যাগ করেন মুহা. রেজাউল করিম। মাদরাসাটির অভিভাবকসহ স্থানীয়রা জানায়, কয়েক বছর আগে ইসবপুর দ্বি-মূখী ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসায় সুপারিনটেনডেন্ট পদে যোগদান করেন মুহা. রেজাউল করিম। এরপর থেকে তিনি নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা ধরণের অনিয়ম-দুর্ণীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় কতিপয় স্বার্থন্বেশী ব্যক্তির সঙ্গে আতাঁত করে গত ২৫ অক্টোবর মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি গোপনে গঠন করেছেন এই সুপার রেজাউল করিম। সেখানে তার শ্যালক মনজুরুল ইসলামকে সভাপতি বানিয়েছেন। অথচ এই মনজুরুলের বাড়ি মাদরাসা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে কামারপাড়ার হাটবামুনী গ্রামে। সামনে একাধিক পদে নিয়োগ বাণিজ্যের লক্ষ্যে গোপন কমিটি গঠন করেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এদিকে গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের বিষয়টি সম্প্রতি ফাঁস হলে ফুসে ওঠেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী। সুপার রেজাউল করিমের এই অনিয়মের প্রতিবাদে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা। এ বিষয়ে অভিভাবক রায়হান মিয়া, তারা মিয়া ও কুদ্দুস আলীসহ আরও বেশ কিছু অভিভাবক বলেন, বিধিমালা অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি গঠনে প্রকাশ্যে তফসিল প্রকাশ করা অবশ্যক। যা শিক্ষার্থীসহ ক্যাচম্যান এলাকার সবাই অবগত থাকবেন। কিন্তু সেটি না করে গোপনে কমিটি গঠন করে সামনে নিয়োগ বাণিজ্যের চেষ্টা করছেন সুপার রেজাউল করিম। তাই এই পকেট কমিটি বাতিল করে আমরা পুনরায় কমিটি গঠনের দাবি করছি। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে মাঠে নামবো আমরা। এ বিষয়ে ইসবপুর দ্বি-মূখী ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার অভিযুক্ত সুপার মাওলানা মুহা. রেজাউল করিম বলেন, এখনও ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়নি। পুর্বের এডহক কমিটি চলমান রয়েছে। সাদুল্লাপুর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর একেএম আজিজুল বারী জানান, তফসিল অনুযায়ী গত ২৫ অক্টোবর ওই মাদসার কমিটি গঠন হয়েছে। আমি প্রিজাইডিং অফিসার হয়ে সেই কমিটি অনুমোদনের জন্য বোর্ডে পাঠিয়েছি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইসবপুর দ্বি-মূখী ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মুহা. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠনসহ নানাবিধ অনিয়ম-দুর্ণীতির অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দুপুরের দিকে ওই মাদরাসায় এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা সুপারের নিকট গোপন কমিটি গঠনের ব্যাখা জানতে চান। এসময় মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দ্রুত মাদরাসা ত্যাগ করেন মুহা. রেজাউল করিম। মাদরাসাটির অভিভাবকসহ স্থানীয়রা জানায়, কয়েক বছর আগে ইসবপুর দ্বি-মূখী ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসায় সুপারিনটেনডেন্ট পদে যোগদান করেন মুহা. রেজাউল করিম। এরপর থেকে তিনি নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা ধরণের অনিয়ম-দুর্ণীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় কতিপয় স্বার্থন্বেশী ব্যক্তির সঙ্গে আতাঁত করে গত ২৫ অক্টোবর মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি গোপনে গঠন করেছেন এই সুপার রেজাউল করিম। সেখানে তার শ্যালক মনজুরুল ইসলামকে সভাপতি বানিয়েছেন। অথচ এই মনজুরুলের বাড়ি মাদরাসা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে কামারপাড়ার হাটবামুনী গ্রামে। সামনে একাধিক পদে নিয়োগ বাণিজ্যের লক্ষ্যে গোপন কমিটি গঠন করেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এদিকে গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের বিষয়টি সম্প্রতি ফাঁস হলে ফুসে ওঠেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী। সুপার রেজাউল করিমের এই অনিয়মের প্রতিবাদে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা। এ বিষয়ে অভিভাবক রায়হান মিয়া, তারা মিয়া ও কুদ্দুস আলীসহ আরও বেশ কিছু অভিভাবক বলেন, বিধিমালা অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি গঠনে প্রকাশ্যে তফসিল প্রকাশ করা অবশ্যক। যা শিক্ষার্থীসহ ক্যাচম্যান এলাকার সবাই অবগত থাকবেন। কিন্তু সেটি না করে গোপনে কমিটি গঠন করে সামনে নিয়োগ বাণিজ্যের চেষ্টা করছেন সুপার রেজাউল করিম। তাই এই পকেট কমিটি বাতিল করে আমরা পুনরায় কমিটি গঠনের দাবি করছি। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে মাঠে নামবো আমরা। এ বিষয়ে ইসবপুর দ্বি-মূখী ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার অভিযুক্ত সুপার মাওলানা মুহা. রেজাউল করিম বলেন, এখনও ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়নি। পুর্বের এডহক কমিটি চলমান রয়েছে। সাদুল্লাপুর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর একেএম আজিজুল বারী জানান, তফসিল অনুযায়ী গত ২৫ অক্টোবর ওই মাদসার কমিটি গঠন হয়েছে। আমি প্রিজাইডিং অফিসার হয়ে সেই কমিটি অনুমোদনের জন্য বোর্ডে পাঠিয়েছি।