চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডে বেলাল হোসেন (৩০) নামক এক মানসিক প্রতিবন্ধী যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার গভীর রাতে সৈয়দপুর ইউনিয়নের মিরেরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বেলাল মিরেরহাট এলাকার জয়নাল উকিলের বাড়ির আবুল কালামের পুত্র। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেলাল মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। সে বাজারে রাতে জেগে থাকতেন। তার কারনে চোর-ডাকাত সুবিধা করতে পারত না। ভোরে স্থানীয় লোকজন বাজারের দক্ষিন পাশে ফ্লোরে রক্তাক্ত কম্বল মোড়ানো অবস্থায় বেলালের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন। বেলালের ফুফাতো ভাই মো: জাহাঙ্গীর বলেন, বেলালের থাকা-খাওয়া-ঘুমানো সব এই বাজারে। সবাইকে তাকে চিনত। তার কোন শত্রু ছিল না। ঘুমন্ত অবস্থায় বেলালকে গাছ দিয়ে পিঠিয়ে আঘাত করা হয়। গাছের আঘাতে তার মাথা রক্তাক্ত হয়ে যায়। গাছ দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা পালিয়ে যায়।
বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি জামশেদ আলম বলেন, বাজারে থাকার কারনে চোর, ডাকাত ও মাদকসেবীর কাছে সে শত্রুতে পরিনত হয়েছিল। নৈশ প্রহরীর পাশাপাশি সে বাজারে ঘুরে ঘুরে চিৎকার করে পাহারা দিত। যার কারনে তাকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, বেলাল মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। ধারনা করছি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারে করা হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডে বেলাল হোসেন (৩০) নামক এক মানসিক প্রতিবন্ধী যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার গভীর রাতে সৈয়দপুর ইউনিয়নের মিরেরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বেলাল মিরেরহাট এলাকার জয়নাল উকিলের বাড়ির আবুল কালামের পুত্র। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেলাল মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। সে বাজারে রাতে জেগে থাকতেন। তার কারনে চোর-ডাকাত সুবিধা করতে পারত না। ভোরে স্থানীয় লোকজন বাজারের দক্ষিন পাশে ফ্লোরে রক্তাক্ত কম্বল মোড়ানো অবস্থায় বেলালের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন। বেলালের ফুফাতো ভাই মো: জাহাঙ্গীর বলেন, বেলালের থাকা-খাওয়া-ঘুমানো সব এই বাজারে। সবাইকে তাকে চিনত। তার কোন শত্রু ছিল না। ঘুমন্ত অবস্থায় বেলালকে গাছ দিয়ে পিঠিয়ে আঘাত করা হয়। গাছের আঘাতে তার মাথা রক্তাক্ত হয়ে যায়। গাছ দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা পালিয়ে যায়।
বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি জামশেদ আলম বলেন, বাজারে থাকার কারনে চোর, ডাকাত ও মাদকসেবীর কাছে সে শত্রুতে পরিনত হয়েছিল। নৈশ প্রহরীর পাশাপাশি সে বাজারে ঘুরে ঘুরে চিৎকার করে পাহারা দিত। যার কারনে তাকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, বেলাল মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। ধারনা করছি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারে করা হবে।