alt

ঠিকাদার লাপাত্তা, খুলনায় বন্ধ দুই উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, খুলনা : সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

খুলনার দাকোপ উপজেলার লাউডোব খালের ওপর সেতু নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ২০২১ সালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স লিমিটেড সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে। ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুর দুটি পিলার নির্মাণ হয়েছে। বাকি কাজ রেখেই চলে গেছেন ঠিকাদার। এছাড়া একই বছর কয়রা উপজেলার মদিনাবাদ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মোড় থেকে কয়রা লঞ্চঘাট সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হয়। তবে সড়ক খোঁড়ার পর ইটের খোয়া ফেলে তিন বছরের বেশি সময় ধরে লাপাত্তা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে প্রায় চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে উন্নয়ন প্রকল্প দুটির কাজ।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ও লাউডোব ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী লাউডোব খালের ওপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বানিশান্তা ইউনিয়ন পরিষদ ও বাজার সড়কে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্য আরসিসি গার্ডার সেতুটির নির্মাণ কাজ পায় মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স লিমিটেড। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ শুরু করে ২০২১ সালের ২০ এপ্রিল। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে নির্মাণ কাজ শেষ না করেই চলে গেছেন ঠিকাদার।

লাউডোব ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিহার ম-ল বলেন, ‘সেতু নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রকৌশলীকে অনুরোধ করেছি। কিন্তু কাজ হয়নি।’

এ ব্যাপারে দাকোপ উপজেলা প্রকৌশলী এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নির্মাণ কাজ শেষ না করায় আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের ব্যবস্থা নিয়েছি।’

অন্যদিকে কয়রা সদরের মদিনাবাদ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মোড় থেকে কয়রা লঞ্চঘাট অভিমুখে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। তবে সড়ক খোঁড়ার পর ইটের খোয়া ফেলে তিন বছরের বেশি সময় ধরে লাপাত্তা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় আড়াই কিলোমিটার। ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে সড়কটিতে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। এ পরিস্থিতিতে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। খানাখন্দ সংস্কার করে সড়কটি নতুন করে কার্পেটিং করার জন্য বরাদ্দ হয় ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। কাজটি পায় মেসার্স রাকা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের প্রথমদিকে তারা কাজ শুরু করে। কয়েকমাস ধরে সড়ক খুঁড়ে ইটের খোয়া ফেলার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কাজ ফেলে চলে যান। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। অথচ সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পর আরও তিন বছর পেরিয়ে গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় সড়কের খোঁয়া সরে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে। কাজ ফেলে রাখায় বর্ষার সময় চলতে যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়, তেমনি শুকনো মৌসুমেও ধুলায় চলাচল বেশ কষ্টকর।

এ প্রসঙ্গে কয়রা উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবুল ফজেল বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সড়কের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারের কোনো খোঁজ নেই। মোবাইল ফোনেও যোগাযোগের চেষ্টা করে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এ পরিস্থিতিতে গত অর্থবছরে সড়কটি নির্মাণে পুনরায় দরপত্র আহ্বানের জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু অনুমোদন না হওয়ায় এই অর্থবছরে আবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’

গাজীপুরের সাবেক পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান বরখাস্ত

নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড়ের আভাস, বৃষ্টি ৩-৬ দিন, কুয়াশা পড়তে পারে

ছবি

মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা দগ্ধ

ছবি

হাই কোর্টের রায়: বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল

চিংড়িজোনের বহিরাগতদের চিংড়িপ্লট বাতিল করে স্থানীয় চাষিদের বরাদ্দের সুপারিশ

ছবি

চাটখিলে প্রতিবন্ধী শিশুদের উপবৃত্তি বিষয়ক সেমিনার

নবাবগঞ্জে বৃদ্ধের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

ধামসা-মাদলের তালে বরেন্দ্র অঞ্চলে আদিবাসীদের সংস্কৃতির উৎসব

ছবি

দেবগ্রামে গ্রাম বাংলার বিলুপ্ত প্রায় ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা

ছবি

জেলে নয়, ভিন্ন পেশার মানুষ পেলো বকনা বাছুর

ছবি

শেরপুরে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প বিলীনের পথে

সন্ধা রাতেই হচ্ছে ডাকাতি

সীতাকুণ্ডে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যা

শিবচরে বাবা নিহত, ছেলে আটক

সাঘাটায় জমি বেদখলে বাধা দেয়ায় প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত ও প্রাণনাশের হুমকি

ছবি

পদ্মার বিস্তীর্ণ চরজুড়ে চলছে অপারেশন ফার্স্ট লাইট

ছবি

নিখোঁজের ১৭ দিন পরও মাদ্রাসা ছাত্রের সন্ধান মেলেনি

ছবি

৫৯ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মোবাইল উদ্ধার

ছবি

পার্বতীপুরে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের ১৭ কিলোমিটার বৈদ্যুতিক তার চুরি

ছবি

বাগাতিপাড়ায় মঞ্চস্থ হলো যাত্রাপালা গৌরি মালা, গ্রামজুড়ে উৎসবের আমেজ

ছবি

৫৬ কিলোমিটার মহাসড়কে ১৯টি অবৈধ বাজার

ছবি

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশে থাকবে গণতন্ত্র মানবাধিকার ও ভোটাধিকার’

ছবি

রাজবাড়ীতে রাতের আঁধারে কেটে ফেলা হলো কৃষকের ৫০০ কলাগাছ

ছবি

খড়ের দামে কৃষক খুশি, বিপাকে খামারিরা

ছবি

চুয়াডাঙ্গা জুড়ে চলছে খেজুর রস সংগ্রহের প্রস্তুতি

মোহনগঞ্জে নাশকতা মামলায় সাবেক পৌর কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

ছবি

ভালুকায় বাস চাপায় স্বামী-স্ত্রী নিহত

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে মাগুড়া-তুলসীপাড়া সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগে মানুষ

ছবি

মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা

ছবি

কিশোরগঞ্জের মাটে মাঠে আমন ধান পাকতে শুরু করেছে

ছবি

‘চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে’

ছবি

ঝিকরগাছায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী নিহত, স্ত্রী আহত

ছবি

আইডিইবি’র নবগঠিত গাইবান্ধা জেলা কমিটির শপথ

ছবি

চট্টগ্রামে বন্দরে চার দিনের সফরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ

ছবি

ঘোড়াঘাটে দাবিহীন ১৫’শ দলিল পুড়িয়ে বিনষ্ট

ছবি

পীরগাছায় চাষ করা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার টি ট্রি গাছ

tab

ঠিকাদার লাপাত্তা, খুলনায় বন্ধ দুই উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, খুলনা

সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

খুলনার দাকোপ উপজেলার লাউডোব খালের ওপর সেতু নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ২০২১ সালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স লিমিটেড সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে। ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুর দুটি পিলার নির্মাণ হয়েছে। বাকি কাজ রেখেই চলে গেছেন ঠিকাদার। এছাড়া একই বছর কয়রা উপজেলার মদিনাবাদ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মোড় থেকে কয়রা লঞ্চঘাট সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হয়। তবে সড়ক খোঁড়ার পর ইটের খোয়া ফেলে তিন বছরের বেশি সময় ধরে লাপাত্তা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে প্রায় চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে উন্নয়ন প্রকল্প দুটির কাজ।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ও লাউডোব ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী লাউডোব খালের ওপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বানিশান্তা ইউনিয়ন পরিষদ ও বাজার সড়কে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্য আরসিসি গার্ডার সেতুটির নির্মাণ কাজ পায় মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স লিমিটেড। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ শুরু করে ২০২১ সালের ২০ এপ্রিল। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে নির্মাণ কাজ শেষ না করেই চলে গেছেন ঠিকাদার।

লাউডোব ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিহার ম-ল বলেন, ‘সেতু নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রকৌশলীকে অনুরোধ করেছি। কিন্তু কাজ হয়নি।’

এ ব্যাপারে দাকোপ উপজেলা প্রকৌশলী এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নির্মাণ কাজ শেষ না করায় আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের ব্যবস্থা নিয়েছি।’

অন্যদিকে কয়রা সদরের মদিনাবাদ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মোড় থেকে কয়রা লঞ্চঘাট অভিমুখে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। তবে সড়ক খোঁড়ার পর ইটের খোয়া ফেলে তিন বছরের বেশি সময় ধরে লাপাত্তা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় আড়াই কিলোমিটার। ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে সড়কটিতে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। এ পরিস্থিতিতে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। খানাখন্দ সংস্কার করে সড়কটি নতুন করে কার্পেটিং করার জন্য বরাদ্দ হয় ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। কাজটি পায় মেসার্স রাকা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের প্রথমদিকে তারা কাজ শুরু করে। কয়েকমাস ধরে সড়ক খুঁড়ে ইটের খোয়া ফেলার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কাজ ফেলে চলে যান। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। অথচ সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পর আরও তিন বছর পেরিয়ে গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় সড়কের খোঁয়া সরে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে। কাজ ফেলে রাখায় বর্ষার সময় চলতে যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়, তেমনি শুকনো মৌসুমেও ধুলায় চলাচল বেশ কষ্টকর।

এ প্রসঙ্গে কয়রা উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবুল ফজেল বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সড়কের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারের কোনো খোঁজ নেই। মোবাইল ফোনেও যোগাযোগের চেষ্টা করে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এ পরিস্থিতিতে গত অর্থবছরে সড়কটি নির্মাণে পুনরায় দরপত্র আহ্বানের জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু অনুমোদন না হওয়ায় এই অর্থবছরে আবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’

back to top