নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্মাণাধীন ভবনটি পরিত্যক্ত ভবনে পরিণত হতে যাচ্ছে -সংবাদ
দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে আছে। কবে নাগাদ চালু হবে তাও নির্দিষ্ট করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। ফলে নির্মাণ কাজটি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বিগত সরকারের আমলে দলীয় ঠিকাদার কাজটি সম্পন্ন করার কার্যাদেশ পায়। যথাযথভাবে কাজ শুরুও করা হয়। ভিত্তির কাজও শেষ হয়। উপরের গাঁথুনি ও আরসিসি পিলার নির্মাণের সময় জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। এর ফলে গত বছরের ৫ আগস্ট এই ভবনের নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রেখে ঠিকাদার পালিয়ে যায়। এতে করে দেড় বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ভবন নির্মাণের কাজ। ইতোমধ্যে নির্মাণাধীন ভবনের মেঝে, দেয়াল ও পিলারে লতাপাতার গাছ ছেয়ে ধরেছে। পানিতে মরিচা পড়েছে পিলারের রডে। এমন অবস্থায় বিশিষ্টজনরা বলছেন দ্রুত ভবনটি নির্মাণ করা না হলে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার তিনতলা এই কার্যালয়টি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে কোটি টাকার কিছু উপরে। দক্ষিণ কোরিয়া এ ব্যয়ের অর্থায়ন করেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটির নির্মাণ কাজ শেষ না হলে বিদেশীএই অর্থ ফেরত চলে যাবে। এদিকে বর্তমান মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসটি রযেছে উপজেলা পরিষদের ভবনে। মাত্র দুটি রুম নিয়ে তাদের কর্মযজ্ঞ চলছে। এই অফিসে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় নতুন ভবন নির্মাণ শুরু হয়। তারপরেও মাঝপথে ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে কর্মরত ব্যক্তিরা অনেক কষ্টের মধ্যে কাজ করছেন।
জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রামানিক বলেন, নতুন করে দ্রুত ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্মাণাধীন ভবনটি পরিত্যক্ত ভবনে পরিণত হতে যাচ্ছে -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে আছে। কবে নাগাদ চালু হবে তাও নির্দিষ্ট করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। ফলে নির্মাণ কাজটি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বিগত সরকারের আমলে দলীয় ঠিকাদার কাজটি সম্পন্ন করার কার্যাদেশ পায়। যথাযথভাবে কাজ শুরুও করা হয়। ভিত্তির কাজও শেষ হয়। উপরের গাঁথুনি ও আরসিসি পিলার নির্মাণের সময় জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। এর ফলে গত বছরের ৫ আগস্ট এই ভবনের নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রেখে ঠিকাদার পালিয়ে যায়। এতে করে দেড় বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ভবন নির্মাণের কাজ। ইতোমধ্যে নির্মাণাধীন ভবনের মেঝে, দেয়াল ও পিলারে লতাপাতার গাছ ছেয়ে ধরেছে। পানিতে মরিচা পড়েছে পিলারের রডে। এমন অবস্থায় বিশিষ্টজনরা বলছেন দ্রুত ভবনটি নির্মাণ করা না হলে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার তিনতলা এই কার্যালয়টি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে কোটি টাকার কিছু উপরে। দক্ষিণ কোরিয়া এ ব্যয়ের অর্থায়ন করেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটির নির্মাণ কাজ শেষ না হলে বিদেশীএই অর্থ ফেরত চলে যাবে। এদিকে বর্তমান মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসটি রযেছে উপজেলা পরিষদের ভবনে। মাত্র দুটি রুম নিয়ে তাদের কর্মযজ্ঞ চলছে। এই অফিসে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় নতুন ভবন নির্মাণ শুরু হয়। তারপরেও মাঝপথে ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে কর্মরত ব্যক্তিরা অনেক কষ্টের মধ্যে কাজ করছেন।
জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রামানিক বলেন, নতুন করে দ্রুত ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।