ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নীলফামারীর ডিমলায় মাদ্রাসার ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ডিমলা সদর ইউনিয়নের ডিমলা নিজ পাড়া কামিল মাদ্রাসা এলাকায়। অপহরণের ৭ দিন অতিবাহিত হলেও অপহৃতা ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি ডিমলা থানার পুলিশ প্রশাসন।
জানা গেছে, ডিমলা সদর ইউনিয়নের উত্তর কুমার পাড়া গ্রামের বাবুল ইসলামের কন্যা ও ডিমলা নিজ পাড়া কামিল মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রী গত ৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে মাদ্রাসা যাওয়ার পথে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা জানতে পারে যে, একটি সাদা মাইক্রোযোগে ছাত্রীটিকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এলাকাবাসী অপহরণে ব্যবহৃত মাইক্রোসহ অপহরণকারীদের আটকের চেষ্টা করলেও অপহরণকারীরা ঘটনা বেগতিক দেখে ভিকটিমকে মাইক্রো নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে অপহৃতা ভিকটিমের অভিভাবকরা অনুসন্ধানের একপর্যায়ে জানতে পারেন যে, খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রামের মো,রেজউল ইসলামের ছেলে মো. স্বাধীন ইসলাম (২৫), ওসমান গনির ছেলে মো. মোস্তাকিম (২৩) ও একই গ্রামের মো. মোকলেছার রহমানের ছেলে আালিফ উদ্দিনসহ (২৪) ৪/৫ জন মিলে ছাত্রীকে (ভিকটিমক) অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত মোস্তাকিমের পিতা কথিত ভুয়া কাজি মো. ওসমান গনি (৫৫) এর প্রত্যক্ষ সহায়তায় ছাত্রী অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছে এবং তারই ছত্র ছায়ায় অপহৃতা ভিকটিমকে আটক করে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে অপহৃতা ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার বিষয়ে ডিমলা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অপহৃতা ছাত্রীর মাতা মোছা, মর্জিনা বেগম জানান, আমার কন্যা প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার,(১৩ নভেম্বর ২০২৫) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি থেকে ডিমলা নিজপাড়া কামিল মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে যায়। মাদ্রাসা ছুটি দেয়ার পরেও নির্ধারিত সময়ে মধ্যে আমার কন্যা বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুজি করতে শুরু করি এর একপর্যায়ে জানতে পারি যে. আমার কন্যাকে ৫/৬ জন্য অপরিচিত যুবক সাদা মাইক্রো কারে জোরপূর্বক তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, অনেক খোঁজাখুঁজি পর জানতে পারি যে, উল্লেখিত যুবকরা মাদ্রাসা যাওয়ার পথে পথিমধ্যে রাস্তা হতে আমার নাবালিকা কন্যাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রেখেছে।
ডিমলা থানার এস আই, মো, রেজাউল ইসলাম জানান, অপহৃতা ভিকটিম উদ্ধারের স্বার্থে ঘটনার বিষয়ে ডিমলা থানার জিডি নং ৩১৭ তাং-৮-১১-২৫ ইং দ্বায়ের করা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তদের অবস্থান জানতে মোবাইল নাম্বার টেকিং এর জন্য পাঠানো হয়েছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হব হবো।
এ ব্যাপারে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফজলে এলাহী বলেন, ঘটনার সময় আমি সাক্ষী জনিত কারণে থানার বাইরে ছিলাম। সাক্ষী দিয়ে ফিরে থানার দায়িত্ব নেয়ার পর ঘটনাটি জেনেছি।
অপহৃতা ভিকটিম ছাত্রীকে দ্রুত উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্তকারী অফিসার এস.আই রেজাউল ইসলামকে বলা হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলায় মাদ্রাসার ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ডিমলা সদর ইউনিয়নের ডিমলা নিজ পাড়া কামিল মাদ্রাসা এলাকায়। অপহরণের ৭ দিন অতিবাহিত হলেও অপহৃতা ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি ডিমলা থানার পুলিশ প্রশাসন।
জানা গেছে, ডিমলা সদর ইউনিয়নের উত্তর কুমার পাড়া গ্রামের বাবুল ইসলামের কন্যা ও ডিমলা নিজ পাড়া কামিল মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রী গত ৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে মাদ্রাসা যাওয়ার পথে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা জানতে পারে যে, একটি সাদা মাইক্রোযোগে ছাত্রীটিকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এলাকাবাসী অপহরণে ব্যবহৃত মাইক্রোসহ অপহরণকারীদের আটকের চেষ্টা করলেও অপহরণকারীরা ঘটনা বেগতিক দেখে ভিকটিমকে মাইক্রো নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে অপহৃতা ভিকটিমের অভিভাবকরা অনুসন্ধানের একপর্যায়ে জানতে পারেন যে, খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রামের মো,রেজউল ইসলামের ছেলে মো. স্বাধীন ইসলাম (২৫), ওসমান গনির ছেলে মো. মোস্তাকিম (২৩) ও একই গ্রামের মো. মোকলেছার রহমানের ছেলে আালিফ উদ্দিনসহ (২৪) ৪/৫ জন মিলে ছাত্রীকে (ভিকটিমক) অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত মোস্তাকিমের পিতা কথিত ভুয়া কাজি মো. ওসমান গনি (৫৫) এর প্রত্যক্ষ সহায়তায় ছাত্রী অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছে এবং তারই ছত্র ছায়ায় অপহৃতা ভিকটিমকে আটক করে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে অপহৃতা ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার বিষয়ে ডিমলা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অপহৃতা ছাত্রীর মাতা মোছা, মর্জিনা বেগম জানান, আমার কন্যা প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার,(১৩ নভেম্বর ২০২৫) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি থেকে ডিমলা নিজপাড়া কামিল মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে যায়। মাদ্রাসা ছুটি দেয়ার পরেও নির্ধারিত সময়ে মধ্যে আমার কন্যা বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুজি করতে শুরু করি এর একপর্যায়ে জানতে পারি যে. আমার কন্যাকে ৫/৬ জন্য অপরিচিত যুবক সাদা মাইক্রো কারে জোরপূর্বক তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, অনেক খোঁজাখুঁজি পর জানতে পারি যে, উল্লেখিত যুবকরা মাদ্রাসা যাওয়ার পথে পথিমধ্যে রাস্তা হতে আমার নাবালিকা কন্যাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রেখেছে।
ডিমলা থানার এস আই, মো, রেজাউল ইসলাম জানান, অপহৃতা ভিকটিম উদ্ধারের স্বার্থে ঘটনার বিষয়ে ডিমলা থানার জিডি নং ৩১৭ তাং-৮-১১-২৫ ইং দ্বায়ের করা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তদের অবস্থান জানতে মোবাইল নাম্বার টেকিং এর জন্য পাঠানো হয়েছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হব হবো।
এ ব্যাপারে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফজলে এলাহী বলেন, ঘটনার সময় আমি সাক্ষী জনিত কারণে থানার বাইরে ছিলাম। সাক্ষী দিয়ে ফিরে থানার দায়িত্ব নেয়ার পর ঘটনাটি জেনেছি।
অপহৃতা ভিকটিম ছাত্রীকে দ্রুত উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্তকারী অফিসার এস.আই রেজাউল ইসলামকে বলা হয়েছে।